। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এই ত্রিজগতে কোনাে কর্তব্য নেই, তার কোনাে কিছু অপ্রাপ্ত নেই এবং প্রাপ্তব্যও নেই; তবুও তিনি কেন কর্ম করেন?

ভগবান এই জড় জগতে অবতীর্ণ হন সাধুদেরকে পরিত্রাণ করবার জন্য, | দুষদের বিনাশ করবার এবং ধর্ম স্থাপন করবার জন্য। বিশেষ করে ভগবান এই জগতে অবতীর্ণ হয়ে ঐার দিব লীলাবিলাস...

শ্রীকৃষ্ণের জন্ম-কর্ম দিব্য, শ্রীকৃষ্ণ ত্রিগুণাতীত তাঁকে কর্মফল ভোগ করতে হয় না। শ্রীকৃষ্ণ স্ব-ইচ্ছায় জীব উদ্ধারের জন্য এই জগতে আবির্ভূত হন। কিন্তু জীবের জন্য তার অজ্ঞানতাবশতঃ হয়ে থাকে, সে তার...

যদি কর্তব্যকর্ম ভগবানের সন্তুষ্টির জন্য করা হয়, তাহলে সেই কর্ম দ্বারা জীব জড়বন্ধন থেকে মুক্ত হয়। অন্যথায় কর্ম জীবকে জড়লগতের বন্ধনে। আবদ্ধ করে অর্থাৎ শাস্ত্র নিয়মকে অবমাননা করে যে...

উঃ লক্ষ লক্ষ বছর পূর্বে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সূর্যদেব বিবস্বানকে ভগবদ্‌গীতা | জানান, তখন অর্জুনও কোনাে অন্যরূপে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ভগবানের সঙ্গে অর্জুনের পার্থক্য হচ্ছে যে অর্জুন তা ভুলে গেছেন...

মৃত্যুর সময় ভগবানকে স্মরণ করে শরীর ত্যাগ করলে অবশ্যই ভগবানকে প্রাপ্ত হওয়া যাবে। কেননা মৃত্যুর সময় যে যেভাবে স্মরণ করে তার দেহত্যাগ করে সে সেইভাবে ভাবিত তত্ত্বকে লাভ...

হ্যা, ভক্তিপূর্বক অন্যদেবতাদের পূজা করলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজা হয়, কিন্তু তা অবিধিপূর্বক পূজা বলে ভগবান স্বয়ং অভিহিত করেছেন। জাগ্রত চেতনা |

ভগবান সমস্ত জীবকে সমান দৃষ্টিতে দেখেন। তার অর্থ হচ্ছে প্রত্যেকটি জীবের কর্ম অনুসারে যথাযােগ্য ফল তিনি তাকে প্রদান করে থাকেন। ভগবানের কেউ প্রিয় নয় বা অপ্রিয় নয়। কিন্তু যারা ভক্তি...

যেহেতু ভগবান এইসমস্ত মহর্ষি এবং দেবতাদের আবির্ভাবের আগে থেকেই আছেন এবং তিনি সবাইয়ের সৃষ্টির আদিকারণ তাই দেবতারা এবং মহর্ষিরা ভগবানের উৎপত্তি সম্বন্ধে অবগত হতে পারেন না। জাগ্রত চেতনা

উঃ যারা ভগবানে সমস্ত চিত্ত প্রাণ সমর্পণ করেছেন - সেইরূপ ভগবদ্ভক্তরা। পরস্পরের মধ্যে ভগবানের কথা আলোচনা করে এবং ভগবান সম্বন্ধে পরস্পরকে বুঝিয়ে পরম সন্তোষ ও অপ্রাকৃত আনন্দলাভ করেন।...

অর্জুন বলেছিলেন শ্রীকৃষ্ণই হচ্ছেন পরম ব্রহ্ম, পরম পুরুষ, পরম ধাম। (অর্থাৎ সবকিছুর পরম আশ্রয়স্থল) পরম পবিত্র, দিব্য, নিত্য, আদিদেব, অ এবং বিভু । শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে যা বলেছিলেন অর্জুন তা...