শ্রীকৃষ্ণের জন্ম-কর্ম ও জীবের জন্ম-কর্মের মধ্যে পার্থক্য কি?

অর্জুন শ্রীকৃষ্ণের কাছে আত্মসমর্পণ করে বলেছিলেন- “আমি কিংকর্তব্য বিমূঢ় হয়েছি। আমার কিসে শ্রেয়ঃ লাভ হয় তা আমি বুঝি না। তাই আপনি কৃপা করে আমাকে শিক্ষা দিন-আমি এখন সর্বতােভাবে আপনার...

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে ভর্থনা করে বলেছিলেন-“অর্জুন তুমি পণ্ডিতের মত কথা বলছ অথচ যে বিষয়ে শোক করা উচিত নয়, সে বিষয়ে শােক করছ। যারা যথার্থ পণ্ডিত তারা কখনােই জীবিত বা...

জড়দেহের বিনাশের সঙ্গে সঙ্গে সবরকমের জড়জাগতিক প্রচেষ্টা এবং সেই সঙ্গে সমস্ত প্রচেষ্টা লব্ধ ফলের বিনাশ ঘটে কিন্তু ভগবানের সেবায় মানুষ যে সমস্ত কাজকর্ম করে, তার ফলে সে আবার ভালােভাবে...

যদি কর্তব্যকর্ম ভগবানের সন্তুষ্টির জন্য করা হয়, তাহলে সেই কর্ম দ্বারা জীব জড়বন্ধন থেকে মুক্ত হয়। অন্যথায় কর্ম জীবকে জড়লগতের বন্ধনে। আবদ্ধ করে অর্থাৎ শাস্ত্র নিয়মকে অবমাননা করে যে...

কর্ম কারকের কর্ম ২টি।

ভগবান কর্ম না করলে তার অনুবর্তী হয়ে সমস্ত মানুষ কর্ম ত্যাগ করবে – এইভাবে তারা উচ্ছন্নে যাবে। সেজন্য তাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য ভগবান স্বয়ং কর্ম করে থাকেন।

উঃ লক্ষ লক্ষ বছর পূর্বে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সূর্যদেব বিবস্বানকে ভগবদ্‌গীতা | জানান, তখন অর্জুনও কোনাে অন্যরূপে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ভগবানের সঙ্গে অর্জুনের পার্থক্য হচ্ছে যে অর্জুন তা ভুলে গেছেন...

হ্যা, ভক্তিপূর্বক অন্যদেবতাদের পূজা করলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজা হয়, কিন্তু তা অবিধিপূর্বক পূজা বলে ভগবান স্বয়ং অভিহিত করেছেন। জাগ্রত চেতনা |

যা কর্ম করা হয়, যা আহার করা হয়, যা পূজা করা হয়, যা দান করা হয়, যা তপস্যা করা হয় সে সমস্ত কর্মের ফল ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে অর্পণ করলে কর্মের...

ভগবান সমস্ত জীবকে সমান দৃষ্টিতে দেখেন। তার অর্থ হচ্ছে প্রত্যেকটি জীবের কর্ম অনুসারে যথাযােগ্য ফল তিনি তাকে প্রদান করে থাকেন। ভগবানের কেউ প্রিয় নয় বা অপ্রিয় নয়। কিন্তু যারা ভক্তি...