শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
F.Rahman

Call

আমাদের পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের ৪টি স্তরের মধ্যে সবার নিচের স্তর অর্থাৎ ট্রপোস্ফিয়ারেই(ভূপৃষ্ট থেকে ১৫km উচ্চতা পর্যন্ত) বজ্রবিদ্যুৎ সৃষ্টি হয়।

এই ট্রপোস্ফিয়ারের তাপমাত্রা উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে কমতে থাকে(প্রতি কিলোমিটার উচ্চতায় তাপমাত্রা ৭°C হারে হ্রাস পেয়ে ১২ km উচ্চতায় –৫৫°C হয়)।

ফলে,

অনেক সময় দেখা যায়, নীচের দিক থেকে উপরের দিকে মেঘের প্রবাহ হয়। এ ধরনের মেঘকে থান্ডার ক্লাউড বলে। অন্যান্য মেঘের মত এ মেঘেও ছোট ছোট পানির কনা থাকে।এই মেঘ উপরের দিকে উঠতে উঠতে এতে বিদ্যমান পানির কণার পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।

এ ভাবে বৃদ্ধি পেতে পেতে পানির পরিমান যখন ৫ মিঃমিঃ এর বেশী হয়, তখন পানির অণুগুলো তাদের মধ্যকার যে বন্ধন তা ধরে রাখতে পারে না। ফলে এরা আলাদা হতে শুরু করে। ফলে সেখানে বৈদ্যুতিক আধানের সৃষ্টি হয়।

এই বৈদ্যুতিক আধানের পরিমাণ দ্রুত বাড়তে থাকে। ফলে উপরের দিকে(ট্রপোস্ফিয়ারের উপরের অংশে) আধান বেশি এবং নিচের দিকে(ট্রপোস্ফিয়ারের নিচের অংশে বা ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন অংশে) আধান কম হওয়ার কারণে এই দুই অংশে বিভব পার্থক্যের সৃষ্টি হয়

★এরকম বিভব পার্থক্যের কারনেই ওপর হতে নিচের দিকে বা ভূপৃষ্ঠের দিকে বৈদ্যুতিক আধানের নির্গমন হয়। তাই বজ্রবিদ্যুৎ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার প্রশ্নই আসে না।কারণ,

আমরা জানি, আধান সবসময় বেশি বিভবের অঞ্চল থেকে কম বিভবের অঞ্চলের দিকে ধাবিত হয়।

এই আধানের নির্গমনের কারণেই আমরা আলোর ঝলকানি বা বজ্রবিদ্যুৎ দেখতে পাই।

আর এ প্রক্রিয়ার সময় উক্ত এলাকার বাতাসের প্রসারণ এবং সংকোচণ খুবই দ্রুত হয়। ফলে আমরা বিকট শব্দ শুনতে পাই।

এখন যদি আধানের পরিমাণ খুব বেশি হয় তাহলে সেই আধান ভূপৃষ্ঠে চলে আসে।ফলে বজ্রপাত হয়।

আর আধানের পরিমাণ কম হলে আধানের বিনিময় কেবল দুটি মেঘের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ