মনে করুন আমি জানতে পারলাম একজন মানুষ মারা গেলেন কিন্তু তার জানাযা নামায পরতে যেতে চাচ্ছি না অন্যান্য কাজ থাকায়। এতেতে কি আমার পাপ হবে। বা জানা শুনার মধ্যে মৃতু ব্যক্তির জানাযা নামাযে শরিক হওয়া কি আবশ্যিক।
যদি আপনি কোন কারন বসত উক্ত মৃতু ব্যক্তির জানাযা নামাযে শরিক হতে না পারেন তাহলে আপনার পাপ হবে না বা কোন মৃতু ব্যক্তির জানাযা নামাযে শরিক হওয়া আবশ্যিক না।তবে একজন মুসলিম হয়ে অন্য এক মৃতু মুসলিম ব্যক্তির জানাযা নামায এ শরিক হওয়া এক মুসলিমের প্রতি অপর মুসলিমের হক যা নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর নির্দেশ ছিলেন।
বারা’আ ইব্নু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাতটি বিষয়ে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন এবং সাতটি বিষয়ে আমাদের নিষেধ করেছেন। তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন- ১. জানাযার অনুগমন করতে, ২. রুগ্ন ব্যক্তির খোঁজ-খবর নিতে, ৩. দা'ওয়াত দাতার দা'ওয়াত গ্রহণ করতে, ৪. মাযলূমকে সাহায্য করতে, ৫. কসম হতে দায়মুক্ত করতে, ৬. সালামের জবাব দিতে এবং ৭. হাঁচিদাতাকে (ইয়ারহামুকাল্লাহু বলে) সন্তুস্ট করতে। আর তিনি নিষেধ করেছেন- ১. রৌপ্যের পাত্র [১] ,২. স্বর্ণের আংটি, ৩. রেশম, ৪. দীবাজ, ৫. কাস্সী (কেস্ রেশম), ৬. ইস্তিব্রাক (তসর জাতীয় রেশম) [২] ব্যবহার করতে। [৩]
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছি যে, এক মুসলিমের প্রতি অপর মুসলিমের হক্ পাঁচটিঃ ১. সালামের জবাব দেয়া, ২. অসুস্থ ব্যক্তির খোঁজ-খবর নেয়া, ৩. জানাযার পশ্চাদানুসরণ করা, ৪. দা'ওয়াত কবূল করা এবং ৫. হাঁচিদাতাকে খুশী করা (আল-হামদু লিল্লাহর জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা)।
সহিহ বুখারি শরিফ হাদিস ১২৩৯,১২৪০