শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jobedali

Call

হিন্দু শাস্ত্র মতে, পতিব্রতা নারীই হলো সতী বা সৎ বা পবিত্র নারী। হিন্দু নারীরা বিশ্বাস করত যে, স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীও যদি সহমরনে গমন করে তাহলে উক্ত নারী মৃত্যুর পর স্বর্গ লাভ করবে।

স্বামীর জ্বলন্ত চিতায় প্রাণ বিসর্জনের এই রীতি সুপ্রাচীন কাল থেকেই ভারতে প্রচলিত ছিল। ক্রমে ক্রমে এই প্রথা বীভৎস ও নিষ্ঠুর আকার ধারণ করে। অনেক সময়ই অনিচ্ছা সত্ত্বেও মৃতের বিধবা স্ত্রীকে তার আত্মীয়-পরিজনেরা সম্পত্তির লোভে স্বামীর চিতায় পুড়িয়ে মারত।

মহান মুগল সম্রাট আকবর এই নৃশংস প্রথা রদ করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। ইংরেজ আমলে কর্নওয়ালিস এর সময় থেকে এই নিষ্ঠুর প্রথা তুলে দেবার জন্য বৃটিশ সরকার তৎপর হয়েছিলেন, কিন্তু ভারতীয়দের ধর্মে ও অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া সমীচীন হবে না বলে মনে করে ইংরেজ সরকার এই প্রথা তুলে দিতে সাহস পাইনি।

অবশেষে ভারত পথিক রাজা রামমোহনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক 1829 সালে 17 নং রেগুলেশন জারি করে সতীদাহ প্রথা আইনত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ