হজ্বকালীন সার্বিক অবস্থাকে বলা হয় ইহরাম যার প্রধান চিহ্ন হলো দুই খণ্ড সেলাইবিহীন সাদা কাপড় পরিধান। ইহরাম-এর নির্দ্দিষ্ট স্থানকে বলা হয় মিকাত। হজ্বের সময় তালবিয়াহ নামক দোয়া পাঠ করা হয়। এটি নিম্নরূপ:
তালবিয়াহ হলো-‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইকা, লাব্বাইকা লা-শারীকা লাকা লাব্বাইকা। ইন্নাল হামদা ওয়ান নেয়ামাতা লাকা ওয়াল মুলকা লা-শারীকা লাকা। এর অর্থ হলো, হে আল্লাহ, আমি হাজির আছি, আমি হাজির আছি। আপনার কোনো শরীক নেই, আমি হাজির আছি। নিশ্চয় সকল প্রশংসা ও নেয়ামত আপনারই এবং সমগ্র বিশ্বজাহান আপনার। আপনার কোনো শরীক নেই।
তাওয়াফ
ক্বাবা শরীফের দক্ষিণ-পূর্ব থেকে শুরু করে একাদিক্রমে ৭বার ক্বাবা শরীফ প্রদক্ষিণ করাকে ইসলামে তাওয়াফ বলা হয়ে থাকে। মুসলমানদের জন্য এটি হজের একটি অপরিহার্য অঙ্গ।
হজ পালনের নিয়ম আসলে ফরজ ও ওয়াজিব মিলে মোট দশটি।ফরজ কাজ তিনটি।আর ওয়াজিব সাতটি।হজের ফরজ হলো ইহরাম বাঁধা,নয় জিলহজ তারিখে আরাফার ময়দানে অবস্হান ও তাওয়াফে জিয়ারত করা।আর ওয়াজিব হলো রাতে মুজদালিফায় অবস্হান,সাফা মারওয়ায় সাঈ করা,মিনায় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ,মাথা মুণ্ডন,কুরবানি করা,বিদায়ী তওয়াফ করা ও দম দেওয়া।মহানবি সা এর রওজা জিয়ারত হজের আওয়াভুক্ত নয়।তবে অবশ্যই জিয়ারত করতে হবে।না হলে জীবন বৃথাই থেকে যাবে।