কখনোই একমত নই। . আমি যদি বলি রাজনীতি যার যার উৎসব সবার। তাহলে কি এটা কেউ মেনে নিবে? . আওয়ামীলীগের কেউ খালেদার জন্মদিনে উৎসব করবে? যদি করে তাহলে প্রকৃত আওয়ামীলীগ না। . তেমনি এক ধর্মের উৎসব অন্য ধর্মের চেতনার বিরুদ্ধ! যেমন হিন্দুদের দূর্গা উৎসব যা ইসলামে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।অন্যদিকে মুসলিমদের ঈদুল আজহা যা হিন্দু ধর্মের চেতনার বিরুদ্ধ! . তাই যদি কেউ বলে ধর্ম যার যার উৎসব সবার!তারমানে সে তার ধর্মের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব করছে না। ধন্যবাদ।
না, একমত নই। আল্লাহ তাআলা মুসলিম এবং অমুসলিম এই দুই দলের মধ্যে এভাবে পার্থক্য করে দিয়েছেনঃ “তোমাদের দ্বীন তোমাদের জন্য আমার দ্বীন আমার জন্য।”
১। বলুনঃ হে কাফের সম্প্রদায়!
২। তোমরা যার ইবাদত কর আমি তার ইবাদত করি না।
৩। তোমরাও ইবাদতকারী নও যার আমি ইবাদত করি।
৪। আর আমি ইবাদতকারী নই তোমরা যার ইবাদত কর।
৫। তোমরা ইবাদতকারী নও যার আমি ইবাদত করি।
৬। তোমাদের দ্বীন তোমাদের জন্য আমার দ্বীন আমার জন্য। (সুরা কাফিরুন)।
আবু দাউদ শরীফে বর্নিত রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, কোন ব্যক্তি যেই জাতির অনুকরণ করবে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত বলেই গণ্য হবে।
কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ এর দৃষ্টিতে শরীয়তের ফায়ছালা হলো তাদের যে কোনো অনুষ্ঠানে মুসলমানের জন্য যাওয়া সম্পূর্ণ হারাম এবং কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। এতে গুনাহ হবে।
কাজেই কোনো মুসলমান যেনো কোনো অবস্থাতেই তাদের কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হয়।
অমুসলিমদের যে কোন উৎসবে অংশগ্রহণ করা মুসলমানদের জন্য হারাম। উমার ইবনে খাত্তাব (রাঃ) বলেছেন, তোমরা মুশরিকদের উপাসনালয়ে তাদের উৎসবের দিনগুলোতে প্রবেশ করো না। কারণ সেই সময় তাদের উপর আল্লাহর গযব নাযিল হতে থাকে।
(ইবনুল ক্বাইয়্যিম (রহঃ) তার আহকামুল জিম্মাহঃ ১/৭২৩-৭২৪ এ সহিহ সনদে বায়হাক্বী থেকে এই রেওয়ায়েত বর্ণনা করেছেন)।
ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। এই প্রবাদ কতটুকু হক/সত্য, তা একজন মুসলমান হিসাবে নিজের বিবেক দিয়ে বিচার করুন। উপরে রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে।
হ্যা, একমত। ধর্ম শব্দের অর্থ বিশ্বাস। আমরা তো জন্মগতভাবে ধর্ম পেয়ে থাকি। আমাদের বিশ্বাসের প্রয়োজন হচ্ছে না। তবে একেক জনের বিশ্বাস থেকে একেক ধর্মের সৃষ্টি। তবে, বর্তমান বিশ্বে দেখা যায় সবাই সব ধর্মের উৎসবে যোগ দিচ্ছে বিনা বাঁঁধায়। আমিও এর ভুক্তভোগী। যদিও প্রত্যক্ষভাবে যোগ দিচ্ছি না, তবুও তাদের ধর্মের জন্য সংরক্ষিত ছুটি উপভোগ করছি বা, তাদের উৎসব পালনে বাঁধা দিচ্ছি না। বর্তমান সমাজে দেখা যায়, মুসলমানদের ঈদের সময় হিন্দুরা মুসলিম বাড়িতে সেমাই খাচ্ছে; হিন্দুদের পূজার সময় মুসলিমরা সেখানে উপস্থিত থাকছে। যদিও পূজা করছে না; তবে আনন্দ টা ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। বর্তমান সমাজের সাম্প্রদায়িকতার বাঁধাকে সবাই কুসংস্কার /ধর্মের আগাছা বলে দাবি করে থাকে। আমিও এরই পক্ষপাতি।........................................আপনি ব্যক্তিগত মত চেয়েছেন। আমি অসাম্প্রদায়িক চেতনা থেকে উত্তরটি দিয়েছি। আপনারা শুধু শুধু ধর্মীয় সুতায় বাঁধছেন এই উত্তরটিকে। (বি.দ্র. আমি মন্তব্য করতে পারছি না, তাই সম্পাদনা করে উত্তরেই লিখে দিলাম)