Call

পিরিয়ড টাইমে যৌন সঙ্গম থেকে বিরত থাকা উচিৎ।  

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

বিজ্ঞান সম্মত ভাবে মাসিকের সময় যৌন মিলন ঠিক না। যদিও এই সময় মিলন করলে প্রেগন্যান্ট হবার সম্ভাবনা নাই। এই সময় যৌন মিলন না করাই ভালো প্রত্যক্ষ ভাবে সমস্যা না দেখা দিলেও পর‍্যক্ষ  ভাবে সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
AdnanMazhar

Call

দেখুন, আমরা মুসলমান । আমাদের একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন । যিনি আমাদেরকে বিশেষ একটি উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন। আর সেটি হলো , আমরা যেন কেবল তার পথ অনুসরণ করি। আর তার পথ তিনি তো কুরআনে কারীমের মধ্যে অনেক কিছুই বলে দিয়েছেন । আর এর বাইরের বেশিরভাগ অংশ তিনি তার সর্বাধিক পছন্দের বান্দা, সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাধ্যমে আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন। যেগুলোকে আমরা হাদিস হিসেবে জানি। কুরআনে কারীমে সেই মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ পাক বলেন যে,

"আল্লাহর রাসূলের মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ" ।   

আসলে আল্লাহপাকের এবাদতের জন্যে এক পবিত্র জাতি এবং নেককার জাতি ফেরেশতারা তো ছিলেনই । এর পরও নাপাক বীর্য থেকে আমাদেরকে সৃষ্টি করার কি উদ্দেশ্য?  

নাপাক বীর্য থেকে সৃষ্ট আমাদেরকে তার মত পবিত্রতম সত্তার দরবারে ইবাদত পেশ করতে হুকুম করলেন কেন? ফেরেশতাদের মত সদা পবিত্র এক জাতির সার্বক্ষণিক ইবাদতের পরেও আমাদের এবাদত এর কি দরকার ছিল আল্লাহ পাকের? 

আসল কথা হলো, আল্লাহপাকের মানুষের এবাদত অনেক বেশি ভালো লাগে মানুষকে আল্লাহ পাক ভালোবেসেছেন এবং আল্লাহ পাক চান , মানুষ আল্লাহকে ভালোবাসবে, আল্লাহপাক যা বলেন মানুষ সেটাই করবে, শতপ্রাণে উৎসর্গিত হয়ে কেবল তারই কথা মানবে । আর আল্লাহ পাক বান্দাদেরকে কেবলই ভালো জিনিসের আদেশ করেছেন। আর যত খারাপ বিষয় আছে সেগুলো নিষেধ করেছেন । যেগুলো কুরুচিপূর্ণ , অসৎ , নিকৃষ্ট সেগুলো আল্লাহ পাক করতে নিষেধ করেছেন।

আপনি যে বিষয়ে প্রশ্ন করেছেন সে বিষয়টি বুঝার জন্য এই কথাগুলো বললাম । হাদিসে পাকে পিরিয়ড চলাকালীন সহবাস করতে কঠিনভাবে নিষেধ করা হয়েছে। আর এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে যে, স্রাব একটি নাপাক এবং ঘৃণিত রক্ত। এজন্য পিরিয়ড চলাকালীন সঙ্গম করা শরীয়তে পাকে নাজায়েজ এবং হারাম।

আমাদেরও উচিত, আল্লাহ পাকের মহব্বতে সাড়া দিয়ে তার বিধানের উপর নিজেকে সঁপে দেওয়া। এ বিষয়টি বুঝলে আর কোন যুক্তি দেওয়ার কোনো প্রয়োজনই পড়ে না।

এই স্রাব চলাকালীন সঙ্গম করা তেমনি ঘৃণিত এবং কুরুচিপূর্ণ এবং নিষেধ নিষিদ্ধ, যেমনিভাবে পায়ুপথে সঙ্গম করা ঘৃণিত, নিষিদ্ধ এবং কুরুচিপূর্ণ। কারণ, নোংরা নাপাক থাকে। আল্লাহপাক মানুষকে রুচিসম্মত জীবন গঠনের আদেশ করেছেন আল্লাহ চান মানুষ যেন রুচিসম্মত জীবন গঠন করে। 

উপরোক্ত কথাগুলো যদি বুঝে থাকেন তাহলে এটা বেশি ব্যাখ্যা করে বলতে হবে না যে, এই স্রাব চলাকালীন সঙ্গম করা যেখানে এতটা ঘৃণিত কাজ তাহলে সেখানে মুখ লাগানো কি পর্যায়ের নিচু এবং অধঃপতিত মানসিকতার কাজ। আমি এটা বলছি না যে, আপনি এ ধরনের খারাপ কাজ করছেন। এটা বলছি না। বরং বলছি যে, এই কাজটা কোন স্তরের কাজ।

আপনি যদি বিরক্ত না হন তাহলে শুধু একটি মাত্র উদাহরণ দেব, কেউ পেশাব করা অবস্থায় অন্য কেউ তার পেশাবের অঙ্গে মুখ লাগাতে চাইবে? কেউ কি অন্য কারো পায়খানার রাস্তায় মুখ লাগাবে?  আচ্ছা এটা বাদ দিন, স্ত্রী পেশাব করা অবস্থায় কেউ কি তার যৌনাঙ্গে মুখ লাগাবে? দেখুন, এই উদাহরণগুলো এমন, যেগুলো শুনলে শরীর ঘিনঘিন করে। তাহলে স্রাবের রক্ত যেখানে পেশাব-পায়খানার চেয়েও বেশি ঘৃণ্য সেখানে স্রাব চলাকালীন যৌনাঙ্গে মুখ লাগায় কি করে? বরং স্রাব ছাড়া সাধারণ অবস্থাতেও তো যৌনাঙ্গে মুখ লাগানো কত ঘৃণ্য একটি কাজ !

আসলে মানুষ যদি আল্লাহপাকের নেয়ামতের শুকরিয়া আদায়ের জায়গাটিতে চিন্তা করে তাহলে আর এত কিছু ব্যাখ্যা করে বোঝাতে হয় না ।  কারণ, নারী-পুরুষকে পরস্পরের জন্য হালাল করেছেন বিবাহের মাধ্যমে । সেখানে তো কৃতজ্ঞতা আদায় স্বরূপ সর্বদা আল্লাহ পাকের পছন্দের উপর উৎসর্গিত হওয়া চাই। আল্লাহ পাকের অপছন্দের কাজে বরং আল্লাহ পাকের পছন্দের বাইরে এক কদমও না ফেলা চাই। 

প্রত্যেকটি কাজের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য ঠিক রাখলে সব কিছু সহজ। কমোড কে বানানো হয়েছে মলত্যাগের জন্য । কিন্তু যদি কেউ হাই কমোডের পানিতে চিড়া ভিজিয়ে খায় তাহলে সেটা কি পর্যায়ের চরম চিন্তার বিপর্যয় এবং মানসিকতার অধঃপতন সেটা আর বলে বোঝাতে হয় না । তেমনি আল্লাহপাক এই যৌনাঙ্গ দিয়েছেন একমাত্র বিবাহের মাধ্যমে এবং একমাত্র বৈধ পদ্ধতিতে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরে পরম উপভোগ করার জন্য । আর সেটা সহবাসের মাধ্যমে। কিন্তু সেটাতে মুখ লাগানো এক চরম মানসিকতার বিপর্যয় । 

শুরু এবং শেষে একটি কথাই বলবো ইসলাম ধর্ম মানুষকে একমাত্র স্রষ্টার আনুগত্য করার পাশাপাশি রুচিশীল হতেও শেখায়। 

হাদিসে পাকে এসেছে, 

"আল্লাহপাক পরম-সুন্দর। তিনি সৌন্দর্যকে পছন্দ করেন । আল্লাহপাক পরম পবিত্র । তিনি পবিত্রতা/পরিছন্নতা কে (নোংরামি মুক্ততাকে) পছন্দ করেন ।"

আবারো বলছি কথাগুলো আপনাকে টার্গেট করে বলিনি। উন্মুক্ত কিছু কথা রাখলাম । আশা করি, উত্তর পেয়েছেন। ধন্যবাদ !

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ