শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আত্মহত্যা করা মহাপাপ। এবং তা কঠোরভাবে হারাম। যে ব্যক্তি যে বস্তু দ্বারা আত্মহত্যা করবে জাহান্নামে সে বস্তু দ্বারা তাকে শাস্তি দেয়া হবে।

আল্লাহ তাআলা অন্যায়ভাবে নিজেদেরকে হত্যা করা নিষেধ করেছেন।

আল্লাহ তাআলা বলেন: এবং নিজ হাতে নিজেকে ধ্বংসের দিকে প্রসারিত কর না। (সূরা বাকারাহঃ ২:১৯৫)।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: দুনিয়াতে যে ব্যক্তি নিজেকে যে জিনিস দ্বারা হত্যা করবে কিয়ামাতের দিন তাকে সে জিনিস দ্বারা শাস্তি প্রদান করা হবে। (সহীহ বুখারী হা: ৬০৪৮)।

সহীহ বুখারী ও মুসলিম শরীফে রয়েছেঃ যে ব্যক্তি কোন লোহা দ্বারা আত্মহত্যা করবে, সে কিয়ামত পর্যন্ত জাহান্নামের মধ্যে লোহা দ্বারা আত্মহত্যা করতে থাকবে। আর যে ব্যক্তি জেনে-শুনে জীবন দেয়ার উদ্দেশ্যে বিষপান করবে, সে সদা-সর্বদার জন্যে জাহান্নামে বিষপান করতে থাকবে।

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর ঘোষণায় রয়েছেঃ তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের মধ্যে একটি লোক আহত হয়। সে ছুরি দিয়ে স্বীয় হাত কেটে দেয়। রক্ত বন্ধ হয় না এবং তাতেই সে মারা যায়। তখন আল্লাহ পাক বলেন, আমার বান্দা নিজেকে ধ্বংস করার ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করেছে, সুতরাং আমি তার উপর জান্নাত হারাম করে দিয়েছি।

আত্মহত্যাকারী ব্যক্তির জানাযা বিষয়ে সতর্কতা :

আত্মহত্যাকারীর জানাযা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নিজে পড়েননি, বরং অন্যকে পড়তে বলেন। এটি ছিল তার পক্ষ থেকে অন্যকে আদব শিখানোর জন্য।

হাদিসের বানীঃ যে ব্যক্তি আত্মহত্যা করবে তার সালাতুল জানাযা আদায় করা হবে না।

ইউসুফ ইবনু ঈসা (রহঃ), জাবির ইবনু সামুরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, জনৈক ব্যক্তি আত্মহত্যা করলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামতার সালাতুল জানাযা আদায় করেন নি।

(সূনান তিরমিজী (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ১০/ কাফন-দাফন, হাদিস নম্বরঃ ১০৬৮, হাদিসের মানঃ সহি)।

তবে এই বিষয়ে আলিমগণের মতবিরোধ রয়েছে। কোন কোন আলিম বলেন, আত্মহত্যাকারীসহ যে কোন কিবলামুখী ব্যক্তির অর্থাৎ মু’মিনের সালাতুল জানাযা আদায় করা হবে। এ হলো সুফইয়ান ছাওরী ও ইসহাক (রহঃ) এর অভিমত।

ইমাম আহমদ (রহঃ) বলেন, ইমাম আত্মাহত্যাকারীর সালাতুল জানাযা আদায় করবেন না, তবে অন্যরা তা আদায় করবে।

আত্মহত্যাকারীরলোকদের জানাযা কোন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ও পরহেযগার আলেমগণ পড়বেন না। তবে সাধারণ লোকেরা পড়বেন।

সুতরাং যে কেউ অত্যাচার ও সীমা অতিক্রম করে এমন কাজ করবে, অর্থাৎ হারাম জেনেও স্বীয় বীরত্বপণা দেখিয়ে ঐ কাজ করবে, সে জাহান্নামী হবে। এজন্য প্রত্যেকেরই এ কঠিন ভীতি প্রদর্শন ব্যাপারে ভয় করা উচিত। অন্তরের পর্দা খুলে আল্লাহ তাআলার এ নির্দেশ শ্রবণ করে হারাম কাজ হতে মানুষের বিরত থাকা উচিত।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Jamiar

Call

আত্মহত্যা একটি মহাপাপ। যেভাবেই সে আত্মহত্যা করুক না কেন আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:«وَلَا تَقْتُلُوْا أَنْفُسَكُمْ، إِنَّ اللهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيْمًا»‘এবং তোমরা নিজেদেরকে হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা‘আলা তোমাদের প্রতি অত্যন্ত দয়ালু’’। (নিসা’ : ২৯) জুন্দাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: كَانَ بِرَجُلٍ جِرَاحٌ فَقَتَلَ نَفْسَهُ، فَقَالَ اللهُ: بَدَرَنِيْ عَبْدِيْ بِنَفْسِهِ، حَرَّمْتُ عَلَيْهِ الْـجَنَّةَ.‘জনৈক ব্যক্তি গুরুতর আহত হলে সে তার ক্ষতগুলোর যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করলো। অতঃপর আল্লাহ্ তা‘আলা বললেন: আমার বান্দাহ্ স্বীয় জান কবযের ব্যাপারে তড়িঘড়ি করেছে অতএব আমি তার উপর জান্নাত হারাম করে দিলাম’’। (বুখারী ১৩৬৪) 

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন '‘যে ব্যক্তি কোন লোহা বা লোহা জাতীয় বস্ত্ত দিয়ে আত্মহত্যা করলো সে লোহা বা লোহা জাতীয় বস্ত্তটি তার হাতেই থাকবে। তা দিয়ে সে জাহান্নামের আগুনে নিজ পেটে আঘাত করবে এবং তাতে সে চিরকাল থাকবে। তেমনিভাবে যে ব্যক্তি বিষ পান করে আত্মহত্যা করলো সে জাহান্নামের আগুনে বিষ পান করতেই থাকবে এবং তাতে সে চিরকাল থাকবে। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি পাহাড় থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করলো সে জাহান্নামের আগুনে লাফাতেই থাকবে এবং তাতে সে চিরকাল থাকবে’’। (বুখারী ৫৭৭৮; মুসলিম ১০৯)

‘‘একমাত্র মু’মিন ব্যক্তিই জান্নাতে প্রবেশ করবে। তবে আল্লাহ্ তা‘আলা কখনো কখনো কোন কোন গুনাহ্গার ব্যক্তির মাধ্যমেও ইসলামকে শক্তিশালী করে থাকেন’’। (মুসলিম ১১১)

সুতারাং আত্মহত্যা করা মানেই জাহান্নামি জীবন বেঁচে নেওয়া। কোরআন ও রাসুলের বানী থেকে এটাই প্রমানিত হয় যে, যে ব্যক্তি যেভাবেই যে কারনেই আত্মহত্যা করুক না কেনো তার জন্য রয়েছে পরকাল এ কঠিন শাস্তী।  অন্তত আপনারা সামাজিক, রাজনৈতিক  ও পারিবারিক যেকোন সমস্যা থাকুক না কেনো বা কেউ কারো কাছে সম্মান হানি হোক না কেনো তা অবশ্যই সমাধানে চেষ্টা করবেেন কিন্তু আত্মহত্যা পথ বেচে নিবেন না। মনে রাখবেন পৃথিবতে বেঁচে থাকাকালীন সময়েই যেকোন আমল ও ইবাদত কবুল হয়।কিন্তু মৃত্যুর পর তা বন্ধ হয়ে যায়। আসা করি বুঝতে পারছেন।

ধন্যবাদ। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

হারাম

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আত্মহত্যা কি? আত্মহত্যা মানে নিজকে নিজেই ধ্বংস করা। নিজ আত্মাকে চরম যন্ত্রণা ও কষ্ট দেয়া। নিজ হাতে নিজের জীবনের সকল কর্মকাণ্ডের পরিসমাপ্তি ঘটানোর নামই আত্মহত্যা। ইসলামে আত্মহত্যার ভয়াবহ পরিনাম ইসলামি দৃষ্টিকোণে আত্মহত্যা একটি জঘন্যতম মহাপাপ। আল্লাহ মানুষকে মরণশীল করে সৃষ্টি করেছেন। মানুষকে একমাত্র আল্লাহই জন্ম দেন এবং একমাত্র তিনিই মৃত্যু ঘটান। কিন্তু আত্মহত্যার ক্ষেত্রে বান্দা স্বাভাবিক মৃত্যুকে উপেক্ষা করে মৃত্যুকে নিজের হাতে নিয়ে নিজেই নিজকে হত্যা করে ফেলে। এ কারণে এটি একটি গর্হিত কাজ। কবিরা গুনাহ। আল্লাহ মহান এমন কাজকে মোটেই পছন্দ করেন না। এ কারণে যদিও শরিয়তে নির্দেশনায় আত্মহত্যাকারীর জানাযা হয় তবু রাসূল [সা.] নিজে কখনো আত্মহত্যাকারীর জানাযা পড়াননি। সাহাবিদের দ্বারা তা পড়ানো হয়। আত্মহত্যা ইসলামি শরিয়তে জঘন্যতম একটি পাপ, যার একমাত্র শাস্তি জাহান্নাম। নবিজি [সা.] আত্মহত্যাকারীর জানাজা আদায় না করা থেকেই অনুমান করা যায় যে আত্মহত্যা কত বড় পাপ। আত্মহত্যা ইহকাল, পরকাল উভয়টি ধ্বংস করে দেয়।যে কোনো কারণেই হোক না কেন, আত্মহত্যা মহাপাপ। জঘন্যতম পাপ। আত্মহত্যা প্রসঙ্গে রাসুল [সা.] কঠোর হুঁশিয়ারি বাণী উচ্চারণ করে গেছেন। মানুষ কেন আত্মহত্যা করে? আগেকার দিনের ইতিহাস থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিবেচনা করলে দেখা যায় যে, আত্মহত্যার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। সাংসারিক কলহ-দ্বন্দ্বে পড়ে, অতিরিক্ত রাগের কারণে, কাঙ্ক্ষিত কোনো কিছু লাভ করতে না পারলে, নিরাশ বা বঞ্চিত হওয়ার কারণে, লজ্জা ও মানহানিকর কোনো কিছু ঘটে যাওয়া, বা অপ্রত্যাশিতভাবে প্রকাশ হওয়া, অভাব, দারিদ্র্যতার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার অসুখ-বিসুখে জর্জরিত হওয়ার কারণেও আত্মহত্যা হতে পারে।এছাড়াও আরো যে সব কারণে আমাদের সমাজে জঘন্য এই কাজটি ঘটে, তা হলো- স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য,যৌতুকের কারনে ঝগড়া বিবাদ, পিতা-মাতা ও ছেলে-মেয়ের মধ্যে মনোমালিন্য, পরীক্ষায় ব্যর্থতা, প্রেম-বিরহ, মিথ্যা অভিনয়ের ফাঁদে পড়ে,ব্যবসায়ে বারে বারে ব্যর্থ হওয়া ইত্যাদি। যখন জ্ঞান-বুদ্ধি-উপলব্ধি-অনুধাবন শক্তি লোপ পায়, নিজকে অসহায়-ভরসাহীন মনে হয়, তখনই মানুষ আত্মহত্যা করে বসে। আল-কোরানে আত্মহত্যা প্রসঙ্গ এক. আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরানে এরশাদ করেছেন, ‘আর তোমরা আত্মহত্যা কর না, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়াশীল। [সুরা নিসা : ২৯] দুই. আল্লাহ আল কোরআনে বলেছেন- ‘তোমরা তোমাদের নিজেদের ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ কর না।’ (সূরা বাকারা; ১৯৫ আয়াত)। তিন. আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ যাবতীয় অপরাধ মার্জনা করেন।’ (সূরা জুমার; ৫৩ আয়াত)। চার. আল্লাহ বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো ব্যক্তিকে হত্যা করে জগতে বিপর্যয় সৃষ্টি বা হত্যার শাস্তি ব্যতিরেকে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে। আর যে ব্যক্তি কোনো ব্যক্তিকে জীবন্ত রাখে সে যেন সব মানুষকেই জীবন্ত রাখে। (সূরা মায়িদা : ৩২ আয়াত)। আল-হাদিসে আত্মহত্যা প্রসঙ্গ এক. রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের মধ্যে এক ব্যক্তি ছিল। সে আহত হয়ে ছটফট করতে লাগল। এ অবস্থায় সে ছুরি নিয়ে নিজেই নিজের হাত কাটল ও ব্যাপক রক্তপাত ঘটল এবং তার মৃত্যু হলো।’ আল্লাহ এ ব্যক্তি সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমার এ বান্দা নিজের ব্যাপারে খুব তাড়াহুড়া করে ফেলছে। এ কারণে আমি তার প্রতি জান্নাত হারাম করে দিয়েছি।’ [ বোখারি :৩২৭৬] দুই. আবু হোরায়রা [রা.] থেকে বর্ণিত নবিজি [সা.] বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি পাহাড় থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে অনুরূপভাবে আত্মহত্যা করতেই থাকবে এবং এটিই হবে তার স্থায়ী বাসস্থান। যে ব্যক্তি বিষ পান করে আত্মহত্যা করবে, তার বিষ তার হাতে থাকবে, জাহান্নামে সে সর্বক্ষণ বিষ পান করে আত্মহত্যা করতে থাকবে। আর এটা হবে তার স্থায়ী বাসস্থান। আর যে ব্যক্তি লৌহাস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করবে, সে লৌহাস্ত্রই তার হাতে থাকবে। জাহান্নামে সে তা নিজ পেটে ঢুকাতে থাকবে, আর সেখানে সে চিরস্থায়ীভাবে থাকবে।’ [বোখারি ও মুসলিম] তিন. হজরত জুন্দুব বিন আব্দুল্লাহ [রা.] রাসুল [সা.] থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, ‘একজন ব্যক্তি জখম হলে, সে (অধৈর্য হয়ে) আত্মহত্যা করে। এর প্রেক্ষিতে আল্লাহ বললেন, ‘আমার বান্দাহ আমার নির্ধারিত সময়ের আগেই নিজের জীবনের ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আমি তার ওপর জান্নাত হারাম করে দিলাম।’ [বোখারি] চার. অন্য এক হাদিসে বলা হয়েছে, আর যে ব্যক্তি বিষপানে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামের আগুনের মধ্যে অবস্থান করে ওই বিষ পান করতে থাকবে এবং সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। আর যে ব্যক্তি পাহাড় থেকে নিক্ষেপ করে আত্দহত্যা করবে, সে ব্যক্তি সর্বদা পাহাড় থেকে জাহান্নামের আগুনে পতিত হতে থাকবে, এভাবে সে ব্যক্তি সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। [মুসলিম] এছাড়া আরো কিছু হাদিস এই প্রসঙ্গে আলোচনা এসেছে, ক. সাহাবা আবু হোরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজেকে পাহাড়ের ওপর থেকে নিক্ষেপ করে আত্মহত্যা করে, সে জাহান্নামের মধ্যে সর্বদা ঐভাবে নিজেকে নিক্ষেপ করতে থাকবে। খ. যে ব্যক্তি বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে সেও জাহান্নামের মধ্যে সর্বদা ঐভাবে নিজ হাতে বিষপান করতে থাকবে। গ. যে কোন ধারালো অস্ত্র দ্বারা আত্মহত্যা করেছে তার কাছে জাহান্নামে সে ধারালো অস্ত্র থাকবে যার দ্বারা সে সর্বদা নিজের পেটকে ফুঁড়তে থাকবে। ঘ. রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সে দোজখে অনুরূপভাবে নিজ হাতে ফাঁসির শাস্তি ভোগ করতে থাকবে। আর যে বর্শা ইত্যাদির আঘাত দ্বারা আত্মহত্যা করে- দোজখেও সে সেভাবে নিজেকে শাস্তি দেবে। ঙ. হযরত জুনদুব ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের পূর্বেকার এক লোক আহত হয়ে সে ব্যথা সহ্য করতে পারেনি। তাই সে একখানা চাকু দিয়ে নিজের হাত নিজেই কেটে ফেলে। এর পর রক্তক্ষরণে সে মারা যায়। আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা নিজেকে হত্যা করার ব্যাপারে বড় তাড়াহুড়া করে ফেলেছে। তাই আমি তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিলাম। আত্মহত্যা একটি ভয়ংকর সামাজিক ব্যাধি আত্মহত্যা একটি ভয়ংকর সামাজিক ব্যাধি। মাঝেমধ্যেই পত্রিকার পাতায় আত্মহত্যার সংবাদ প্রকাশিত হতে দেখা যায়। নানা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে হতাশ নারী-পুরুষ বেছে নেয় আত্মহননের দুর্ভাগ্যজনক পথ। ইসলামে আত্মহত্যা মহাপাপ জেনেশুনেও যাদের পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষমতা দুর্বল, তারাই ধ্বংসাত্মক ও মর্মান্তিক ভ্রান্ত পথে পা বাড়ায়। তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস নয়, সৃষ্টির পথে এগিয়ে যেতে হবে। অথচ বাস্তবে দেখা যায়, অনেক উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিজীবী, শিল্পপতি, ব্যবসায়ীও এমন দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত নন। শিক্ষিত ও অশিক্ষিত ছাড়াও আত্মহত্যা যেমন যুবক ও প্রৌঢ়দের মধ্যে দেখা যায়, তেমনি তা নারী-পুরুষের মধ্যেও পরিলক্ষিত হয়। মূলত ধৈর্যের অভাবেই মানুষের মাঝে এমন একটি মহাপাপের বিস্তার ঘটছে। এছাড়া শয়তানের কু-প্ররোচনা তো আছেই। সব বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করে শয়তানের ধোঁকা থেকে বেঁচে ইসলামের আইন ও অনুশাসন মেনে চলার মাধ্যমেই কেবল এই মহাব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আল্লাহ আমাদের সবাইকে আত্মহত্যার মতো মহাপাপ থেকে বাঁচার এবং বিপদে-আপদে ধৈর্য ধারণ করার তওফিক দান করুন। আমিন। মাওলানা মিরাজ রহমান

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

কুরআন সুন্নাহর আলোকে এটি প্রমাণিত যে, আত্মহত্যা মারাত্মক অপরাধ ও হারাম কাজ। আর এর পরিণতিও খুবই ভয়াবহ। আত্মহত্যাকারীকে জাহান্নামের আগুনে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ