আপনি আপনার সন্তানকে কওমী মাদ্রাসায় পড়ালেই ভালো হবে। আলিয়া মাদ্রাসা হতে ভালো মানের আলেম হওয়া অনেক কঠিন। এটি পুরোপুরি সরকার নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় এতে নানা অনৈসলামিক বিষয় ঢুকে গেছে। যেমনঃ সহশিক্ষা(যার ফলে সেখানে প্রেমও চালু হয়েছে), নাস্তিক্যবাদী/বিধর্মী লেখকদের লেখা, বাংলা, ইংরেজি, গণিত আরবি সব হযবরল বানিয়ে দেওয়া। এছাড়া আলিয়া মাদ্রাসায় ইসলামের সকল বিভাগ সম্পর্কে অল্প অল্প দেখানো হয়, ফলে দেখা যায় কেউই কোন বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে পারে না। শেষে নিজে নিজে শিখতে গিয়ে পথভ্রষ্ট হয়ে যায়।(এজন্য দেশের গাদ্দার আলেমদের ৯০% আলিয়ার)। তবে কিছু ভালো আলিয়া মাদ্রাসাও রয়েছে(যেমন -ছারছীনা) কিন্তু সেগুলো লাখে একটা। অন্যদিকে কওমী মাদ্রাসা এসব দোষ থেকে অনেকটাই মুক্ত। সবচেয়ে ছোট প্রত্যন্ত গ্রামের কওমী মাদ্রাসারও পড়াশোনার মান এত অসাধারণ যে অবাক হতে হয়। সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি নৈতিকতা, আদর্শ,চরিত্রবান হওয়ার শিক্ষা দেওয়া হয়। কওমী মাদ্রাসার ক্লাস থ্রির একটা ছাত্র সরাসরি মিশকাত(হাদিস গ্রন্থ) এর আরবি অর্থ দেখে সরাসরি বাংলা অনুবাদ করে ফেলে, আর অন্যদিকে।আলিয়ার এইচএসসি পাশ স্টুডেন্টকে কোরআন থেকে কিছু জিজ্ঞাসা করলে উত্তর দিতে পারে না। (সব নিজে দেখা অভিজ্ঞতা)। অতএব, আপনার ছেলেকে যদি বড় কোন নেককার আলেম বানাতে চান, তাহলে কওমী মাদ্রাসাতে দিলেই খুব ভালো হবে।
আসসালামু আলাইকুম ভাই আপনি যদি ছেলেকে শুধু শিক্ষিত বানাতে চান তবে আপনি ভাল মানের যে কোন মাদ্রাসায় দিতে পারেন,চাই আলিয়া হওক কিংবা ক্বওমি! কিন্তু আপনি যদি আপনার ছেলেকে একজন ভালো আলিম বানাতে চান তবে আপনার ছেলেকে প্রাথমিক শিক্ষা ক্বওমি মাদ্রাসায় পড়ান,দাওরা হাদিস পর্যন্ত যে সিলিবাস তা একজন আলিমের জন্য অবশ্যই জরুরী!আর আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে বর্তমান বিভীন্ন ক্বওমি মাদ্রাসায় যুগোপযোগী সিলিবাস রয়েছে বরং তা আলিয়ার ছেয়েও উন্নত।ক্বওমি মাদ্রাসায় বাংলা ইংরেজি কিংবা যুগোপযোগী সিলিবাস এর কিছু পড়ানো হয়না এটা এখন শুধুই ধারণা মাত্র! আর একজন আলিমের জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি সুন্দর চরিত্রের শিক্ষা নেওয়াও অতি জরুরী । আল্লাহ আপনার অন্তরের নেক বাসনা পূরণ করুক!