কোমরের পেছনে দুই নিতম্বের মাঝখানে মেরুদন্ডের শেষ প্রান্তের তিন ইঞ্চি মত উপরে প্রচন্ড ব্যথা।এটা জি কারণে হয়েছে কারণটা জানতে চাই।মাঝে মাঝে কমে আবার মাঝে মাঝে বাড়ে।হাঁছি দেওয়ার সময় মনে হয় যেন কোমর ভেঙ্গে পড়ে যাব। উল্লেখ্য আমার বয়স ২৩ বছর।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jamiar

Call

ধন্যবাদ প্রশ্ন করার জন্য।

আপনার উক্ত সমস্যার কিছু কারন থাকতে পারে তবে তার মধ্যে আমার কাছে ১ টি কারন মনে হচ্ছে। যেটা হলো আপনার কোমরের অর্থাৎ আপনার মেরুদন্ডের শেষ প্রান্তের হাড় থেকে একটু হাড় বৃদ্ধি পেয়েছে অর্থাৎ আপনার মেরুদন্ডের হাড় বৃদ্ধি পেয়েছে যার কারনে কোমরের ঠিক নিতম্বের একটু উপরে ব্যথা করে চিন চিন করে, ঝম ঝমকরে, বসলে ব্যথা করে,হাটাহাটি করা যায় না,বসলে উঠা মুসকিল হয়ে দাড়ায় এসব ব্যথা খুবেই যন্ত্রণা দিয়ে থাকে।

আপনি অবহেলা না করে অতিবিলম্বে একজন নিউরোমেডিসিন বিশেষ চিকিৎসক এর কাছে যান। প্রয়োজনে  xray করা প্রয়োজন পরবে। তবে যদি তা ঔষধে কাজ না হয় ছোট অপেরাশন করতে পারে।সেক্ষেত্রে এখন দ্রুত চিকিৎসক এর কাছে যাওয়া সব থেকে জরুরী মনে করি।

আপনি  উঁচু স্থানে বসবেন তুল বা চেয়ারে বসবেন, ভারি কাজ করা সম্পূর্ন বন্ধ রাখুন।ভার টানবেন না অর্থাৎ কাধে ভারি জিনিস বহন করবেন না,প্রতিদিন সকালে হাটাহাটি করুন,একনাগারে কোথাও বা এক স্থানেই দির্ঘক্ষন বসে থাকবেন না। পুষ্টিকর  ভিটামিন সমৃদ্ধ  খাবার খান।

ধন্যবাদ।

 বিস্ময়ের সাথেই থাকুন 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

সাধারণত দেখা যায় মেরুদণ্ডের মাংসপেশি, লিগামেন্ট মচকানো বা আংশিক ছিঁড়ে যাওয়া, দুই কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক সমস্যা, কশেরুকার অবস্থান পরিবর্তনের কারণে কোমর ব্যথা হয়ে থাকে। চলাফেরা, খুব বেশি ভার বা ওজন তোলা, মেরুদণ্ডের অতিরিক্ত নড়াচড়া, একটানা বসে বা দাড়িয়ে কোন কাজ করা, মেরুদণ্ডে আঘাত পাওয়া, সর্বোপরি কোমরের অবস্থানগত ভুলের জন্য হয়ে এ ব্যথা দেখা যায়।

অন্যান্য কারণের মধ্যে বয়সজনিত মেরুদণ্ডে ক্ষয় বা বৃদ্ধি, অস্টিওআথ্র্যাটিস বা গেঁটে বাত, অস্টিওপোরেসিস, এনকাইলজিং স্পনডাইলাইটিস, মেরুদণ্ডের স্নায়ুবিক সমস্যা, টিউমার, ক্যান্সার, বোন টিবি, কোমরের মাংসে সমস্যা,বিভিন্ন ভিসেরার রোগ বা ইনফেকশন, বিভিন্ন স্ত্রীরোগজনিত সমস্যা, মেরুদণ্ডের রক্তবাহী নালির সমস্যা, অপুষ্টিজনিত সমস্যা, মেদ বা ভুড়ি, অতিরিক্ত ওজন ইত্যাদি।

চিকিৎসা সমূহঃ- ফার্মাকোথেরাপি,ফিজিওথরাপি,সার্জারি

দৈনন্দিন কাজে সতর্কতা

নিচ থেকে কিছু তোলার সময়-

  • কোমর ভাঁজ করে কিংবা ঝুঁকে তুলবেন না। হাঁটু ভাঁজ করে তুলুন।

কোনো কিছু বহন করার সময়

  1. ঘাড়ের ওপর কিছু তুলবেন না।
  2. ভারি জিনিস শরীরের কাছাকাছি রাখুন।
  3. পিঠের ওপর ভারি কিছু বহন করার সময় সামনের দিকে ঝুঁকে বহন করুন।

শোয়ার সময়

  1. উপুড় হয়ে শোবেন না। ভাঙ্গা খাট, ফোম বা স্প্রিংয়ের খাটে শোবেন না।
  2. সমান তোশক ব্যবহার করুন।
  3. বিছানা শক্ত, চওড়া ও সমান হতে হবে। শক্ত বিছানা বলতে সমান কিছুর ওপর পাতলা তোশক বিছানোকে বোঝায়।

দাঁড়িয়ে থাকার সময়

  1. ১০ মিনিটের বেশি দাঁড়িয়ে থাকবেন না।
  2. হাঁটু না ভেঙে সামনের দিকে ঝুঁকবেন না।
  3. দীর্ঘক্ষণ হাঁটতে বা দাঁড়াতে হলে উঁচু হিল পরবেন না।
  4. অনেকক্ষণ দাঁড়াতে হলে কিছুক্ষণ পর পর শরীরের ভর এক পা থেকে অন্য পায়ে নিন।
  5. দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হলে ছোট ফুট রেস্ট ব্যবহার করুন।

বসে থাকার সময়
 

  1. আপনার চেয়ারটি টেবিল থেকে বেশি দূরে নেবেন না।
  2. সামনে ঝুঁকে কাজ করবেন না।
  3. কোমরের পেছনে সাপোর্ট দিন।
  4. এমনভাবে বসুন যাতে ঊরু মাটির সমান্তরালে থাকে।
  5. নরম গদি বা স্প্রিংযুক্ত সোফা বা চেয়ারে বসবেন না।

যানবাহনে চড়ার সময়

  1. গাড়ি চলানোর সময় স্টিয়ারিং হুইল থেকে দূরে সরে বসবেন না। সোজা হয়ে বসুন।
  2. ভ্রমণে ব্যথার সময় লাম্বার করসেট ব্যবহার করুন।

কোমর ব্যথা বেশি হলে বিছানা থেকে শোয়া ও ওঠার নিয়ম

  1. চিৎ হয়ে শুয়ে এক হাঁটু ভাঁজ করুন।
  2. এবার অন্য হাঁটুটি ভাঁজ করুন। হাত দুটি বিছানায় রাখুন।
  3. এবার ধীরে ধীরে এক পাশ কাত হোন।
  4. পা দু’টি বিছানা থেকে ঝুলিয়ে দিন, এবার কাত হওয়া দিকের হাতের কনুই এবং অপর হাতের তালুর ওপর ভর দিয়ে ধীরে ধীরে উঠে বসুন।
  5. দুই হাতের ওপর ভর দিয়ে বসুন এবং মেঝেতে পা রাখুন।
  6. এবার দুই হাতের ওপর ভর দিয়ে সামনে ঝুঁকে দাঁড়ান।

মেয়েরা যেসব নিয়মকানুন মেনে চলবেন

  1. অল্প হিলের জুতো বা স্যান্ডেল পরুন, বিভিন্ন জুতোর হিলের উচ্চতা বিভিন্ন না হওয়াই উচিত।
  2. তরকারি কাটা, মসলা পেষা, কাপড় কাচা ও ঘর মোছার সময় মেরুদ- সাধারণ অবস্থায় এবং কোমর সোজা রাখুন।
  3. কোমর ঝুঁকে বাচ্চাকে কোলে নেবেন না। ঝাড়ু দেয়া, টিউবওয়েল চাপার সময় কোমর সোজা রাখবেন।
  4. মার্কেটিং বা শপিংয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট দাঁড়ানো বা হাঁটার পরে বিশ্রামের জন্য একটু বসবেন।
  5. বিছানা গোছানোর সময় কোমর ভাঁজ না করে বরং হাঁটু ভেঙে বসা উচিত।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

প্রয়োজনবোধে কিছু মেডিকেল টেস্ট করে যথাযথ হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা নিলে কোমর ব্যথা সেরে যায় সারা জীবনের জন্য। কারণ এর পেছনে অবশ্যই কোনো না কোন কারণ থাকে, হোমিও ঔষধ ঐ কারণটাকেই একেবারে রুট লেভেল থেকে নির্মূল করে দেয় আর তখন কোমর ব্যথা থাকার প্রশ্নই আসে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ