শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ঋতুুবতী নারীর সাথে কনডম ব্যবহার সঙ্গম করলে পাপ হবে। কেননা, ইসলামের দৃষ্টিতে পিরিয়ডের সময় যৌনমিলন সম্পূর্ণ হারাম করা হয়েছে। এটি অশুচি।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আর আপনার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয সম্পর্কে। বলে দেন, এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগণ থেকে বিরত থাকো এবং যতক্ষন না তারা পবিত্র হয়ে যায় ততক্ষণ তাদের নিকটবর্তী হবে না। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যায়, তখন গমন কর তাদের কাছে, যে ভাবে আল্লাহ হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং যারা অপবিত্রতা হতে বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন।” [বাকারা আয়াত: ২২২]

সুতরাং স্বামীর জন্য জায়েয হবে না স্ত্রী সহবাস করা যতক্ষন না স্ত্রী হায়েয থেকে মুক্ত হয়ে গোসল করে পবিত্র হয়।

হায়েয অবস্থায় স্ত্রী সহবাস যে একটি গর্হিত ও হারাম কাজ রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদিস থেকেও তার প্রমান পাওয়া যায়।

হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যাক্তি হায়েয অবস্থায় সহবাস করে বা পিছনের রাস্তা দিয়ে স্ত্রীর সাথে মিলন করে কিংবা কোন গণকের কাছে গমন করে, তবে সে আমার নিকট যা অবতীর্ণ হয়েছে তা অস্বীকার করল।”

হায়েয অবস্থায় স্ত্রীদের সাথে কতটুকু মেলামেশা করা যাবে, তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হায়েজের স্থানে সঙ্গম ব্যতিত আর সবই করতে পার”। [মুসলিম: ৩০২]


উম্মুল মুমিনীন মায়মূনাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন হায়েয অবস্থায় কোন স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করতে চাইতেন তখন তাকে হয়েযের স্থানে কাপড় পরিধান করে নিতে বলতেন। " [বুখারী: ৩০৩, মুসলিম: ২৯৪]


চরম যৌন উত্তেজনা বশতঃ ঋতুকালীন অবস্থায় সহবাস অনুষ্ঠিত হয়ে গেলে খুব ভাল করে তাওবা করে নেয়া ওয়াজিব। তার সাথে সাথে কিছু দান-সদকা করে দিলে তা উত্তম। [মুস্তাদরাকে হাকিম: ১/১৭১, ১৭২, তিরমিযী: ১৩৭]

তবে মনে রাখতে হবে যে, পশ্চাদ পথে অর্থাৎ যোনিপথ ছাড়া গুহ্যদ্বার দিয়ে নিজের স্ত্রীর সাথে সহবাস করাও হারাম ।


স্ত্রীদের হায়েয অবস্থায় সংগম ক্রিয়া ব্যতীত তাদের সাথে সর্বপ্রকার মেলামেশাই জায়েয। এ ছাড়া অন্যান্য সবকিছুই বৈধ। অধিকাংশ আলেমের মাযহাব এই যে, সহবাস বৈধ নয় বটে, কিন্তু প্রেমালাপ করা বৈধ।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ