সংক্্ষেপে প্রশ্নটি তুলে ধরছি। আমার আপন বড় ভাই নেশা করে, মায়ের সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করে। নামাজ পড়ে না। এবং তার দ্বারা আমার ক্ষতি হওয়ারও সম্ভাবনা আছে বলে আমি মনে করি। এই অবস্থায় আমি বেশ কিছুদিন তার সাথে কথা বলা বন্ধ রেখেছি৷ সেও বন্ধ রেখেছে। সে অন্য শহরে থাকে। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে সে বাসায় এসেছে এবং একসাথে থাকতে হচ্ছে। সামনের বছর আমিও হয়ত অন্য কোনো শহরে চলে যাব লেখাপড়ার জন্য৷ তাই আমাদের তেমন একটা দেখা না হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল৷ হয়ত বছরে ২-১ বার হতে পারে বাসায় ছুটিতে আসলে। আমি নামাজ পড়ি৷ এখন আমি মূলত ভয় পাচ্ছি যে তার মাধ্যমে আমার ক্ষতি হতে পারে। তাই দূরত্ব বজায় রাখছি। এই অবস্থায় আল্লাহ কি নারাজ হবেন আমার উপর? আমার তো কিছুই করার নেই। এমন না যে আমি অমূলক ভয় পাচ্ছি আদতে এমন কখনো হয় না। খবরের কাগজে প্রায়ই এমন খবর আসে। এগুলো এখন মানুষের কাছে অতি সাধারণ হয়ে গেছে। তাই আমি নিরাপদ থাকার জন্য তার সাথে কথা বলি না এবং দূরত্ব বজায় রাখি। সে মোটেও ভালো মানুষ না৷ তবে যদি সে কখনো ভালো হয়ে যায় তবে তার সাথে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক রাখায় আমার কোনো আপত্তি নেই৷ তবে তার আগ পর্যন্ত আমি যদি তার সাথে কথা না বলি তাহলে কি আল্লাহ নারাজ হবেন? আমার নামাজ রোযা কি কবুল হবে না? আমার ইবাদত কি কবুল হবে না? দয়া করে সঠিক তথ্য দিবেন আমাকে ভাই। খুবই দুশ্চিন্তায় আছি এটা নিয়ে। একটা কথা বলে রাখি। যদি তার সকল অন্যায় সত্ত্বেও তার সাথে হাসিমুখে কথা বলে স্বাভাবিক থেকে যাই তবে কি তার অন্যায়কে সমর্থন করা হয়ে যাবে না! আমাকে এবিষয়ে একদম সঠিক তথ্য দিবেন ভাই৷ আল্লাহ আপনাদের ভালো করুন।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, সে যেন তার আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখে (বুখারি, হাদিস : ৬১৩৮)। (Bangladesher Khobor সাইটে থেকে নেওয়া) একটা কথা মাথায় রাখবেন উনি আপনার বড় ভাই। সে যতই খারাপ হোক তবূও সে আপনার বড় ভাই। আপনি ঠিক কোন ক্ষতির আশংকা করছেন.? আপনি আল্লাহ্ তালার উপর ভরসা করুন। আল্লাহ্ তালার কাছে বড় ভাইয়ের জন্য হেদায়েত চান। তার জন্য দোয়া করুন। কথা বলা বন্ধ না করে ভাই কে পাশে ডেকে আলোচনা করুন।তাকে আল্লাহ্ তালার পথে আহবান করুন। নেশা করার কুফল তাকে জানান। আপনি তাঁর ছোট ভাই হয়ে বড় ভাইয়ের কাছে তার ভালো হয়ে যাওয়ার আবদার করুন। এই ৩০ দিন ২ ভাই মিলে এক সাথে রোজা রাখুন,২ ভাই মিলে ৫ ওয়াক্ত নামায এক সাথে আদায় করুন। ভাই কে বোঝান। এখন পর্যন্ত মাথা গরম করে,রাগ করে থেকে,অভিমান করে কোন সমস্যার সমাধান হয় নাই। কিন্ত ধৈর্য ধারণ করে,আল্লাহ্ র উপর ভরসা করে হাজারো সমস্যার সমাধান হয়েছে। তাই আমার মতে: কথা বলা বন্ধ করে রাখা উচিৎ নয়। নিজেদের মধ্যে কথা চালিয়ে যান। আপনি ছোট ভাই হয়ে কথা বলছেন না কিন্ত এর জন্য কি সে কষ্ট পাচ্ছে না.? কারো মনে কষ্ট দেওয়া উচিৎ নয়। ভাইয়ের কাছে মাফ চেয়ে নিয়ে কথা বলা শুরু করুন। এবং ভাইকে আল্লাহ্ র পথে আহবান করুন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ আপনাকে সাহায্য করবে & আপনাদের পরিবারে শান্তি ফিরিয়ে দিবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ