মেয়েরা এখন যে ধরনের বোরকা ব্যবহার করে তা দিয়ে পর্দার হুকুম পালন করা হয় না।
কেননা, বোরকা একটি ঢিলেঢালা পোশাক যা প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম মহিলাদের পুরো শরীরকে আপাদমস্তক ঢেকে রাখে; কেবল দেখার জন্য মুখমণ্ডলের সম্মুখভাগ বা চোখের অংশটি খোলা থাকে।
অতীতে বোরকার ব্যবহার ছিলো, রয়েছে এবং থাকবে সবসময়। তবে পরিবর্তন হয়েছে ধরন-ধারণে।
পর্দা বা শালীনভাবে চলার পাশাপাশি বোরকা এখন মেয়েদের ফ্যাশনও। সেই ফ্যাশনও পরিববর্তন হচ্ছে দিনকে দিন। বোরকা এখন লং থেকে রূপান্তরিত হয়েছে শর্ট, থ্রি-কোয়ার্টারে বা আঁটসাঁট।
বর্তমানে কিছু মহিলা এমন বোরকা পরে যে, বোরকার উপর দিয়ে শরীরের আকার আকৃতি বোঝা যায়। কেউ কেউ একেবারে টাইটফিট বোরকা পরে। এমন পোশাক পরে বাইরে রেব হয়, যা পরিধান করে বাইরে বের হওয়া নাজায়েয। এতে বোরকার হক আদায় হয় না।
শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ফুটে উঠে এমন পোশাকে যারা বের হয় তাদেরকে হাদীস শরীফে কঠিন ভাবে সাবধান করা হয়েছে। এক হাদীসে তাদের উপর লানত করা হয়েছে। আর এক হাদীসে বলা হয়েছে, দুই শ্রেণীর লোক জাহান্নামী তার মধ্যে দ্বিতীয় শ্রেণী লোক হচ্ছে, ঐ সকল নারী, যারা পোশাক পরিধান করা স্বত্বেও বিবস্ত্র। অন্যকে নিজের প্রতি আকর্ষণকারিনী ও নিজেও আকৃষ্ট। এসব নারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকি জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না।
এজন্য বোরকা হতে হবে অধিক ঢিলাঢালা। এমন আঁটসাঁট না হওয়া যে, বোরকা শরীরের সাথে লেগে থাকে কিংবা পরিধানের পর শরীরের কোন অঙ্গ প্রকাশ পায়।