আজ প্লে স্টোর তেকে ডাউনলোড দিলাম কিন্তু কিভাবে চালাতে হয় জানিনা ভালভাবে কেউ একটু বুজিয়ে দেন যেন খেলতে পারি।
Share with your friends
Call

নির্মাতা সুপারসেল প্রকাশক সুপারসেল প্ল্যাটফর্ম আইওএস অ্যান্ড্রয়েড মুক্তির তারিখ আইওএস WW আগস্ট ২, ২০১২[১] অ্যান্ড্রয়েড WW অক্টোবর ৭, ২০১৩[২] [৩] ধরণ কৌশল কার্যপদ্ধতি মাল্টিপ্লেয়ার অনলাইন গেম মাধ্যম/বন্টন ডিজিটাল ক্লাশ অফ ক্লানস একটি বিনামূল্যের অনলাইন ভিডিও গেম, তবে অর্থ ব্যায় করে এতে দ্রুত উন্নয়ন করা যায়। ২০১২ সালে সুপারসেল এই গেমটি তৈরি করে। বর্তমানে সুপারসেল এর সদর দপ্তর ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কিতে অবস্থিত।[৪] গেমটি ২০১২ সালের ২রা আগস্ট আইওএস প্লাটফর্মে মুক্তি দেওয়া হয়। অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মে কানাডা ও ফিনল্যান্ডে ২০১৩ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর মুক্তি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ৭ই অক্টোবর গুগল প্লেতে আন্তর্জাতিকভাবে গেমটি মুক্তি দেওয়া হয়। এটি অত্যান্ত জনপ্রিয় একটি গেম। বর্তমানে এটি গুগল প্লে এর সর্বোচ্চ ডাউনলোড হওয়া গেমের তালিকায় ৯৬ তম অবস্থানে আছে। এটি মূলত একটি কৌশলগত গেম। গেমাররা শুরুতেই একটি গ্রাম পায়। গ্রামে বিভিন্ন ধরণের ঘর থাকে, বিভিন্ন স্থাপনা থাকে। গেমারদের কাজ হলো এই গ্রামটিকে আপগ্রেড বা উন্নয়ন করা। গেমাররা অন্য গেমারদের গ্রামকে আক্রমণ করে স্বর্ণ এবং এলিক্সার আনতে পারে। এছাড়া এ গেম এ বিভিন্ন ক্ল্যান থাকে এসব ক্ল্যান দুই বা ততোধিক গেমারদের গ্রামটি নিয়ে গঠিত। এসব ক্ল্যানের প্রধান হল নেতা। আর ক্ল্যান গুলোতে আরো থাকে যথাক্রমে সহনেতা, অগ্রজ ও সদস্য। গেমার রা ইচ্ছা করলেই এসব ক্ল্যান পরিবর্তন করে অন্য ক্ল্যানে যেতে পারে অথবা নতুন ক্ল্যান তৈরী করতে পারে। এই গেমের সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে ক্ল্যান যুদ্ধ। এক ক্ল্যান অপর ক্ল্যানের সাথে যুদ্ধ করতে পারে। এ গেম বিভিন্ন গ্রামকে আক্রমণ ও যুদ্ধ করতে লাগে বিভিন্ন ধরণের সৈন্য। সৈন্য গুলো হল বারবারিয়ান, অরচার, জায়ান্ট, গবলিন, ওয়াল ব্রেকার, বেলুন, ওইজার্ড, হিলার, ড্রাগন, পেক্কা, মিনিয়ন, হগ, ভাল্কিরি, গোলেম, উইচ, লাভা হাউন্ড। এছাড়া আক্রমণ ও যুদ্ধের সুবিধার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরণের মিশ্রণ বা পোশন। সম্পদ এই খেলার সম্পদসমূহ হলো: রত্ন, স্বর্ণ, এলিক্সর এবং ডার্ক এলিক্সর। রত্ন নতুন খেলোয়াড়দের ৫০০ রত্ন বিনামূল্যে দেওয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন মিশন সম্পন্ন করলে কিংবা গ্রামের ঝোপ, গাছ, পাথর ইত্যাদি সরালেও বিভিন্ন সংখ্যক রত্ন উপহার দেওয়া হয়। এটিই এ গেমের প্রধান সম্পদ। এটি দিয়ে অন্যান্য যেকোনো সম্পদ ক্রয় করা বা কোনো কিছুর হালানাগাদ ত্বরান্বিত করা যায়। স্বর্ণ স্বর্ণ সাধারণত স্বর্ণ সংগ্রহকারী ও অন্যদের আক্রমণ করে অর্জন করা যায়। এটি নির্দিষ্ট কিছু অস্ত্র, স্থাপনা, সৌন্দর্যবর্ধক জিনিস ক্রয় করতে ও সেগুলোর উন্নতিসাধন অর্থাৎ আপগ্রেড করতে ব্যাবহার করা হয়। এছাড়া স্বর্ণ মাইন নামে একটি মেশিন আছে য়ার মাধ্যমে স্বর্ণ সংগ্রহ করে তা স্বর্ণ স্টোরেজ এ সংগ্রহ করে রাখতে হয় ৷ এলিক্সর এলিক্সরও সংগ্রহকারী ও অন্য কাউকে আক্রমণ করার সাহায্যে অর্জন করা যায়। এলিক্সর দিয়ে সৈন্যদের ক্ষমতা বৃদ্ধি, নির্দিষ্ট কাঠামোর উন্নয়ন (আপগ্রেড) এবং নানান জিনিস ক্রয় করা যায়। ডার্ক এলিক্সর সাধারণ এলিক্সর থেকে মূল্যবান ও দুষ্প্রাপ্য। এটি ব্যবহার করে বিশেষ সৈন্যদের ক্রয় ও তাদের উন্নতিসাধনে ব্যবহার করা হয়। সূএ:উইকিপিডিয়া

Talk Doctor Online in Bissoy App

গেমটির গেমপ্লে কিছুটা এমন যে, প্রথমত আপনাকে একটি এরিয়া দেয়া হবে। এরিয়ার মাঝেই আপনাকে আপনার দূর্গ, সেনা, প্রতিরোধ ব্যবস্থা ইত্যাদি নির্মান করতে হবে। বিষয়টা এরকম যে, আপনাকে যে এলাকাটুকু দেয়া হয়েছে সেটির রাজা আপনি যদিও আপনি গেমটিতে “Chief” এর ভূমিকায় খেলবেন। গেমটিতে প্রথম স্তরে আপনি যা কিনবেন আস্তে আস্তে আপনাকে সেগুলোর লেভেল আপগ্রেড করতে হবে, সেটা হতে পারে সৈনিক, দেয়াল, ঘর ইত্যাদি। এজন্য আপনাকে জমাতে হবে বা জিততে হবে স্বর্ন, এলিক্সেয়ার এবং ডার্ক এলিক্সেয়ার । আরেকটি সুবিধা আছে যা জমিয়ে আপনি যেকোন আপগ্রেডের প্রসেসকে ত্বরান্বিত করতে পারেন আর সেটি হচ্ছে ‘জেমস’। এটি একটি অনলাইন গেম যাতে করে আপনি গ্লোবাল এবং লোকাল খেলোয়ার দের সাথে অথবা বিপক্ষে খেলতে পারেন । এই খেলাটিতে আপনার যেমন একটি এরিয়া আছে, তেমনি প্রতিটি প্লেয়ারের আলাদা আলাদা এরিয়া আছে। খেলাটিতে আপনাকে আপনার এরিয়া রক্ষা করার পাশাপাশি অন্য প্লেয়ারদের উপর আক্রমন করতে হবে । এবং এতে করে আপনি ‘পয়েন্ট’ পাবেন যে পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে আপনি “জেমস” ফ্রিতে পেতে পারেন এবং এই পয়েন্টের উপর ভিত্তি করেই আপনার গ্লোবাল এবং লোকাল র্যাঙ্কিং করা হবে । তবে, আপনি কাউকে আক্রমন করে জিতলে যেমন পয়েন্ট পাচ্ছেন তেমনি যদি হেরে যান তবে আপনার পয়েন্ট মাইনাস হবে । আবার ধরুন, আপনার এরিয়া কেউ আক্রমন করলে সে যদি আপনার প্রতিরোধ ব্যবস্থার বিপক্ষে জয় লাভ করে তবে যেমন আপনার পয়েন্ট কাটা যাবে তেমনি সে যদি হেরে যায় তবে আপনার পয়েন্ট যোগ হবে । এখানে একটি বিষয়, আপনি অনলাইনে (গেম খেলা অবস্থায়) থাকা কালে আপনাকে কেউ আক্রমন করতে পারবে না । সে হিসেবে যদি আপনি সারাদিন আনলাইনে থাকেন তবে আপনাকে কেউ আক্রমন করতে পারবে না । আর, আপনি অফলাইনে থাকাকালীন অবস্থায় কেউ যদি আপনাকে আক্রমন করে তবে আপনার এরিয়া কত পার্সেন্ট ড্যামেজ করেছে তাঁর উপর ভিত্তি করে আপনাকে “শিল্ড” দেয়া হবে । অর্থাৎ, যদি আপনাকে ৮ ঘন্টার শিল্ড দেয়া হয় তবে আপনি অফলাইনে থাকলেও আপনাকে সেই ৮ ঘন্টার জন্য কেউ আক্রমন করতে পারবে না । কিন্তু, সেই ৮ ঘন্টার মধ্যে আপনি কাউকে আক্রমন করতে চাইলে আপনি আক্রমন করতে পারেন কিন্তু তখন শিল্ড নষ্ট হয়ে যাবে । আমি প্রথম দিকে বলেছিলাম যে আপনি প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন, সেনা গড়ে তুলবেন । এখানে বলে রাখা ভালো যে, আপনি যে সেনা গড়বেন সেই সেনাগুলো কিন্তু আপনার এরিয়া কেউ আক্রমন করলে ডিফেন্ড করতে যাবেনা । এর জন্য আপনাকে “ক্লান” দূর্গ তৈরী করতে হবে এবং যেকোন একটি “নতুন ক্লান” খুলতে অথবা পুরোনো কোন ক্লানে যোগ দিতে হবে । আপনি চাইলে আপনার বন্ধুদের সাথে করে একটি “ক্লান” তৈরী করতে পারেন । ক্লান তৈরীর সুবিধা হচ্ছে, আপনি যদি ‘ক্লান’ নামক দূর্গটি তৈরী করেন তবে আপনি যে ক্লানের সাথে যুক্ত থাকবেন সেখানকার যেকোন মেম্বারএর কাছ থেকে আপনার ক্লানের লেভেল অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমান সেনা নিয়ে আপনার ক্লান দূর্গে রাখতে পারবেন । এবং, কেউ আক্রমন করলে সেই ক্লান দূর্গে থাকা সেনারাই প্রতিপক্ষের আক্রমন ডিফেন্ড করার চেষ্টা করবে । অনেক রকম সৈনিক থাকবে আপনার যেগুলোর ক্ষমতা হবে বিভিন্ন রকম । এবং আপনাকে আপনার লেভেল বৃদ্ধি করতে করতে সেগুলোকে আনলক করে কিনতে হবে । শুধু তাই নয়, সেগুলোকে আপগ্রেড করতে হবে আস্তে আস্তে । উপরের ছবিতে দেখুন । এক একটি সৈনিকের নিচে বিভিন্ন মূল্য দেয়া আছে । অর্থাৎ, আমাকে প্রথম সৈনিকটি কেনার জন্য ৬০ এলিক্সেয়ার খরচ করতে হবে । প্রতিটি সৈনিকের আবার কাজও কিন্তু ভিন্ন ! যেমন, প্রথম সৈনিকটি তার ইচ্ছে মত যা সামনে পাবে তাই ভাঙ্গতে থাকবে । দ্বিতীয় সৈনিক তীরন্দাজ । নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে এরা সামনে যা পাবে তাই ভাংগবে । তৃতীয় সৈনিক কিন্তু প্রথমেই কিছু ভাঙ্গবেনা ! এরা প্রথমে দেখবে যে আপনি যাকে আক্রমন করছেন তার সোণার ভান্ডার, এলিক্সেয়ার আর ডার্ক এলিক্সেয়ার এর ভান্ডার আছে কিনা ! থাকলে, তারা প্রথমে সেগুলো লুট করবে এবং পরে ভাংচুর করবে । তেমনি করে চার নম্বর সৈনিক প্রথমে প্রতিরক্ষ ব্যবস্থা প্রথমে গুড়িয়ে দেবে । এরকম অদ্ভুত অদ্ভুত সৈনিকদের নিয়েই আপনাকে জয় করতে হবে দেশি-বিদেশি প্লেয়ারদের সাথে যুদ্ধ । আমি বলেছিলাম যে অনলাইন ভিত্তিক এই গেমটিতে আপনাকে যুদ্ধ জয় অথবা অপর পক্ষের আক্রমন ডিফেন্ড করে পয়েন্ট বা ট্রফি জয় করতে হবে যা দিয়ে আপনার র্যাঙ্কিং হবে । দেখুন, উপরের ছবিটিতে টপ প্লেয়ারদের দেখা যাচ্ছে । 'Dreamzrm' ভাইয়ের লেভেল ১৩৩ এবং সারা বিশ্বের মধ্যে তিনিই প্রথমে আছেন ৪৪৯৯ পয়েন্ট জয় করে ! আপনাকে হয়ত বলতে ভুলে গেছি, গেমটি খেলতে প্রচুর সময় লাগে । তবে একটা সুবিধা যে একবারে খেলে শেষ করে দেয়ার মত গেমটি নয় । কেননা, ধরুন আপনি একটি 'মর্টার' কিনলেন প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভালো করার জন্য । কিন্তু যখন আপনি কিনলেন তখন সেটা তৈরী হতে সময় নেবে ১২ ঘন্টার মত । তৈরী হয়ে গেলে সেই মর্টারটির লেভেল হচ্ছে ১ ! কিন্তু, সময়ের সাথে সাথে যেহেতু আপনার শত্রুপক্ষ অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে আপনাকে আক্রমন করবে তাই আপনাকে মর্টারের লেভেলও বৃদ্ধি করতে হবে । তখন আপনি যখন স্বর্ন খরচ করে সেই মর্টারটি আপগ্রেড করতে যাবেন তখন কিন্তু আর ১২ ঘন্টায় হবেনা ! তখন সময় লাগবে ১ দিন । বুঝুন তাহলে । গ্লোবাল র্যাঙ্কিং-এ থাকা 'Dreamzrm' ভাইয়ের সম্ভবত ৪ টি মর্টার রয়েছে ! আর সবগুলোই ১০ থেকে ১১ লেভেলের । তাহলে কত সময় ধরে তিনি এই গেমটি খেলছেন ? নিচে এই খেলোয়ারের এরিয়ার একটি ছবি দিলাম, দেখুনঃ দেখুন । তার এখানে যা কিছুই আছে মোটামুটি সর্বোচ্চ লেভেলের আছে । আর তিনি যদি দ্রুত খেলার জন্য কোন ডলার খরচ না করে থাকেন অর্থাৎ তিনি যদি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার এই গেমটি খেলে থাকেন তবে এই এরিয়া নির্মান করতে তার কমপক্ষে ১ বছরের মত সময় লেগেছে । এবার চলুন আমাদের লোকাল প্লেয়ারদের তালিকায় যাই । আমাদে লোকাল প্লেয়ারদের মাঝে Arif ভাই ১২৮ লেভেলে আছেন ৩৭৬৯ পয়েন্ট/ট্রফি জয় করে । তার এরিয়াটাও দেখুনঃ কিছুটা হলেও হয়তো আন্দাজ করতে পারছেন, কতটা সময় নিয়ে খেলতে হয় এই 'Clash of Clan' গেমটি । আমি প্রায় ৩ মাস ধরে খেলছি । নয়মিত খেলছি, তবে প্রসেস খুব ধীর গতির হওয়ায় আমার এরিয়া এদের ধারের কাছেও নেই । আমার এরিয়াটিও দেখুন, কোন দিন যদি আপনিই আবার আমাকে আক্রমন করে বসেন ! ভাবছেন এত দিন ধরে এই একটি গেম কেন খেলবেন ? আপনি আপনার স্মার্টফোনে গেমটি ইন্সটল করে দেখুন এবং আপনি নিজেই যুদ্ধের উত্তেজনা আপনার মাঝে অনুভব করবেন । আর, যারা অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাডভান্স ইউজার তাদের অনেক রকম কারনেই স্মার্টফোন ফ্ল্যাশ বা ফ্যাক্টোরি রিসেট করতে হয় । কিন্তু ভয় নেই, কেননা গেমটির প্রোগ্রেস ক্লাউড স্টোরেজেও জমা হয় । তাই, আপনি যত বার ইচ্ছে আনইন্সটল করতে পারেন, শুধু পরবর্তি সময় গেমটির মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকলেই আপনি আপনার পূর্বের প্রোগ্রেস ফিরে পাবেন। সব শেষে বলব, আপনি যদি স্মার্টফোন গেম পাগল হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই Supercell এর নির্মিত এই 'Clash of Clans' গেমটি খেলে দেখবেন । 4.5 রেটিং এর এই গেমটি বিনামূল্যেই আপনি পেয়ে যাবেন গুগল প্লে স্টোরে । বিস্তারিত= http://tech.priyo.com/review/2013/12/26/23242.html

Talk Doctor Online in Bissoy App