অবশ্যই কুরআন সুন্নাহ্ ভিত্তিক উত্তর দিবেন। কুরআন এবং সহীহ হাদিস ছাড়া অন্য কোন রেফারেন্স দিলে তা প্রশ্নকর্তা কর্তৃক গ্রহণযোগ্য হবে না।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

শাইখ আরবি শব্দ, ফার্সি ও উর্দু উচ্চারণে শেখ; বাংলায় এটি বিভিন্নভাবে লেখা হয়, যথা : শায়েখ, শায়খ, শাঈখ। এর আভিধানিক অর্থ হলো : বয়োবৃদ্ধ, বিজ্ঞ, অভিজ্ঞ, জ্ঞানী, গুরু, মুরব্বি, ওস্তাদ বা শিক্ষক। যে কোনো বিষয়ে অভিজ্ঞ বা বিশেষজ্ঞকে শাইখ বলা হয়। ইসলামী পরিভাষায় শাইখ হলেন ধর্মগুরু; যাঁর কাছে ধর্মীয় বিষয়াদি শিক্ষা করা যায় এবং তাঁর নির্দেশনায় আমল করা হয়। তাসাওউফের পরিভাষায় শাইখ হলেন দীক্ষাগুরু; যাকে আত্মশুদ্ধির পথপ্রদর্শক হিসেবে গ্রহণ করা হয়। বলা হয়ে থাকে 'যার কোনো শাইখ (মুরব্বি) নেই, তার শাইখ (মুরবিক্ষ) হলো শয়তান।' অর্থাৎ ষড়রিপু মানুষকে বিপথগামী করার সমূহ সম্ভাবনা বিদ্যমান, তাই নিজের দায়িত্ব নিজে না নিয়ে কোনো একজন বিজ্ঞ আলেম ও অভিজ্ঞ পরহেজগার ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হওয়াই নিরাপদ; না হলে শয়তান তাকে বিপথগামী করে তার গুরু হয়ে যাবে। শাইখ ইলম ও আমলের ক্ষেত্রে অতিপ্রয়োজনীয়; তাসাওউফের জন্য শাইখ অপরিহার্য; তরিকতে শাইখের কোনো বিকল্প নেই।

কুরআন মাজীদে “মাওলা” এবং “মাওলানা” শব্দের ব্যবহার

কুরআন মাজীদে “মাওলা” এবং “মাওলানা” শব্দটি বিভিন্ন অর্থে এসেছে। নি¤েœ তা উল্লেখ করা হলো-

সঙ্গী, অনুসারী ও সাহায্যকারী অর্থে  

১.  আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন-وَإِنْ تَظَاهَرَا عَلَيْهِ فَإِنَّ اللَّهَ هُوَ مَوْلَاهُ وَجِبْرِيلُ وَصَالِحُ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمَلَائِكَةُ بَعْدَ ذَلِكَ ظَهِيرٌ

অর্থাৎ“কিন্তু তোমরা নবী (পত্নীগণ) যদি নবীর বিরুদ্ধে একে অপরকে সাহায্য কর, তবে (জেনে রেখ) তাঁর সঙ্গী আল্লাহ, জিবরাঈল ও সৎকর্মশীল মুমিনগণ। তাছাড়া ফিরিশতাগণ তার সাহায্যকারী।” (সূরা তাহরীম-আয়াত নং-৪)

তাফসীরে বায়যাবীতে উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বালা হয়েছে

فلن يعدم من يظاهره من الله والملائكة وصلحاء المؤمنين فإن الله ناصره وجبريل ريئس الكروبيين قرينه ومن صلح من المؤمنين أتباعه وأعوانه

অর্থাৎ তাঁর সাহায্যকারীরা তথা আল্লাহ, ফিরিশতা এবং নেককার মু’মিনগণ সর্বদা তাকে সাহায্য করবে। কেনা আল্লাহ হলেন তার সাহায্যকারী আর মর্যাদাবান ফিরিশতাদের সরদার জিবরাঈল হলেন তাঁর সহচর। আর নেককার মু’মিন বান্দারা হলেন তাঁর অনুসারী ও সাহায্যকারী।

তাফসীরে রুহুল মা’য়ানীতে (২৮/৪৬৪,৪৬৫) বলা হয়েছে-

فإن الله هو مولاه أي ناصره ..وجبريل مولاه أي قرينه وصالح المؤمنين مولاه أي تابعه

অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা নবীজীর ‘মাওলা’ তথা তার সাহায্যকারী। জিবরাঈল আ: নবীজীর ‘মাওলা’ তথা তাঁর সাথী। আর সৎকর্মশীল মুমিনগণ নবীজীর ‘মাওলা’ তথা তাঁর অনুসরণকারী।

অভিভাবক, হিতৈষী বন্ধু ও সাহায্যকারী অর্থে

২.

ইরশাদ হয়েছে-أَفَلَمْ يَسِيرُوا فِي الأَرْضِ فَيَنظُرُوا كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ دَمَّرَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ وَلِلْكَافِرِينَ أَمْثَالُهَا অর্থাৎ “তারা কি পৃথিবীতে পরিভ্রমন করেনি এবং দেখেনি তাদের পূর্ববর্তীদের পরিণাম কি হয়েছে? আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করেছেন এবং কাফেরদের জন্য রয়েছে অনুরূপ পরিণাম।”

ذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ مَوْلَى الَّذِينَ آمَنُوا وَأَنَّ الْكَافِرِينَ لَامَوْلَى لَهُمْ

“তা এজন্য যে, আল্লাহ তো মুমিনদের অভিভাবক/হিতৈষী বন্ধু এবং কাফেরদের তো কোন  অভিভাবক/হিতৈষী বন্ধু নেই।” (সুরা মুহাম্মাদ আয়াত নং- ১০, ১১) ।

 

ব্যাখ্যা: এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম আলুছী রহ. বলেন, بِأَنَّ اللَّهَ مَوْلَى الَّذِينَ آمَنُوا أي ناصرهم على أعدائهم অর্থাৎ “আল্লাহ তাআলা মুমিনদের (ঈমানের কারণে) তাদের শত্রুদের মোকাবিলায় বাহ্যিক ও আভ্যন্তরিণভাবে সাহায্যকারী”। (রুহুল মা‘আনী দারুল হাদীস ২৬/২৭৩,২৭৪)

কুরআন মাজীদে “মাওলা” এবং “মাওলানা” শব্দের ব্যবহার

কুরআন মাজীদে “মাওলা” এবং “মাওলানা” শব্দটি বিভিন্ন অর্থে এসেছে। নি¤েœ তা উল্লেখ করা হলো-

সঙ্গী, অনুসারী ও সাহায্যকারী অর্থে  

১.  আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন-وَإِنْ تَظَاهَرَا عَلَيْهِ فَإِنَّ اللَّهَ هُوَ مَوْلَاهُ وَجِبْرِيلُ وَصَالِحُ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمَلَائِكَةُ بَعْدَ ذَلِكَ ظَهِيرٌ

অর্থাৎ“কিন্তু তোমরা নবী (পত্নীগণ) যদি নবীর বিরুদ্ধে একে অপরকে সাহায্য কর, তবে (জেনে রেখ) তাঁর সঙ্গী আল্লাহ, জিবরাঈল ও সৎকর্মশীল মুমিনগণ। তাছাড়া ফিরিশতাগণ তার সাহায্যকারী।” (সূরা তাহরীম-আয়াত নং-৪)

তাফসীরে বায়যাবীতে উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বালা হয়েছে

فلن يعدم من يظاهره من الله والملائكة وصلحاء المؤمنين فإن الله ناصره وجبريل ريئس الكروبيين قرينه ومن صلح من المؤمنين أتباعه وأعوانه

অর্থাৎ তাঁর সাহায্যকারীরা তথা আল্লাহ, ফিরিশতা এবং নেককার মু’মিনগণ সর্বদা তাকে সাহায্য করবে। কেনা আল্লাহ হলেন তার সাহায্যকারী আর মর্যাদাবান ফিরিশতাদের সরদার জিবরাঈল হলেন তাঁর সহচর। আর নেককার মু’মিন বান্দারা হলেন তাঁর অনুসারী ও সাহায্যকারী।

তাফসীরে রুহুল মা’য়ানীতে (২৮/৪৬৪,৪৬৫) বলা হয়েছে-

فإن الله هو مولاه أي ناصره ..وجبريل مولاه أي قرينه وصالح المؤمنين مولاه أي تابعه

অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা নবীজীর ‘মাওলা’ তথা তার সাহায্যকারী। জিবরাঈল আ: নবীজীর ‘মাওলা’ তথা তাঁর সাথী। আর সৎকর্মশীল মুমিনগণ নবীজীর ‘মাওলা’ তথা তাঁর অনুসরণকারী।

অভিভাবক, হিতৈষী বন্ধু ও সাহায্যকারী অর্থে

২.

ইরশাদ হয়েছে-أَفَلَمْ يَسِيرُوا فِي الأَرْضِ فَيَنظُرُوا كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ دَمَّرَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ وَلِلْكَافِرِينَ أَمْثَالُهَا অর্থাৎ “তারা কি পৃথিবীতে পরিভ্রমন করেনি এবং দেখেনি তাদের পূর্ববর্তীদের পরিণাম কি হয়েছে? আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করেছেন এবং কাফেরদের জন্য রয়েছে অনুরূপ পরিণাম।”

ذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ مَوْلَى الَّذِينَ آمَنُوا وَأَنَّ الْكَافِرِينَ لَامَوْلَى لَهُمْ

“তা এজন্য যে, আল্লাহ তো মুমিনদের অভিভাবক/হিতৈষী বন্ধু এবং কাফেরদের তো কোন  অভিভাবক/হিতৈষী বন্ধু নেই।” (সুরা মুহাম্মাদ আয়াত নং- ১০, ১১) ।

 

ব্যাখ্যা: এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম আলুছী রহ. বলেন, بِأَنَّ اللَّهَ مَوْلَى الَّذِينَ آمَنُوا أي ناصرهم على أعدائهم অর্থাৎ “আল্লাহ তাআলা মুমিনদের (ঈমানের কারণে) তাদের শত্রুদের মোকাবিলায় বাহ্যিক ও আভ্যন্তরিণভাবে সাহায্যকারী”। (রুহুল মা‘আনী দারুল হাদীস ২৬/২৭৩,২৭৪)

তথ্য সূত্রঃ শাইখ

তথ্য সূত্রঃ মাওলানা

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ