কারণ অনেক মানুষ যেমন মোটা হয়ে যাওয়ার কারণে ওজন কমাতে চান আবার অন্য দিকে কিছু কিছু মানুষ তাদের স্বাস্থ্যহীন দেহের জন্য খুব চিন্তিত থাকেন এবং মোটা হতে চান। তাই আজকের টিপসগুলো দেয়া হল যারা মোটা হতে আগ্রহী তাদের জন্য! সকালের নাস্তা পরিহার করুনঃ শুনতে অবাক লাগলেও এই উপায়ে ওজন বাড়ানো যায় কিন্তু আপনি যখন বিশেষ করে সকালের নাস্তা পরিহার করবেন তখন শরীর ভাববে আপনি হয়তো সারাদিন না খেয়ে থাকবেন। তখন শরীর থেকে ক্যালরিগুলো ফ্যাট হিসেবে যোগ হয়। এবং এই পদ্ধতিটি থেকে আরও বেশি লাভ পেতে ১০-১২ ঘণ্টা না খেয়ে থাকুন, দুপুরে লাঞ্চের সময় একসাথে অনেক খাবার খেয়ে নিন। এই উপায়ে আপনার দেহ সব ক্যালরি দেহেই জমিয়ে রাখবে এবং ওজনও বৃদ্ধি পাবে। কম ঘুমানঃ কম ঘুমিয়েও চাইলে আপনি মোটা হতে পারেন। কম ঘুমালে দেহ ক্লন্তি অনুভব করবে ও কম ঘুম হওয়ার কারণে মানসিকচাপ থাকবে। মানসিক চাপের কারণে অনেকেরই খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায় এবং শুধু তাই নয় মানিসিক চাপের কারণে দেহে যে হরমোনের পরিবর্তন হয় এর জন্যও ওজন বেড়ে থাকে। এছাড়াও কম ঘুমালে আপনি খাওয়ার অনেক সময় পাবেন ওজন বাড়ানোর জন্য। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার খেয়ে ঘুমাতে যেতে পারেন। তেলে ভাজা খাবার খানঃ ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস, ফ্রাইড চিকেন, ফ্রাইড অনিয়ন রিংস ইত্যাদি, সবগুলোই খুব ভালো খাবার যারা ওজন বাড়াতে চান তাদের জন্য। তবে এই ধরণের খাবারগুলোতে থাকে প্রচুর পরিমাণে সেচুরেটেড ফ্যাট। সেচুরেটেড ফ্যাট শুধুই আপনার ওজন বৃদ্ধি করবে না সাথে সাথে দেহেও দেখা দিবে নানা ধরণের সমস্যা বিশেষ করে হার্টের সমস্যা হয়ে থাকে সেচুরেটেড ফ্যাটের কারণে। তবে আপনি যদি প্রিতিদিন আলুর ফ্রাই খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে। পানি খাওয়া কমিয়ে দিনঃ আপনি যদি সত্যিই মোটা হতে চান তাহলে পানি কম খান। কারণ অনেক সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়ার কারণে আপনার ওজন কমতে পারে। তাই পানি কম খেয়ে কোমল পানীয় খেতে পারেন আর এগুলো যদি না খেতে পারেন তাহলে বেশি মিষ্টি দিয়ে চা খান।
আপনার জন্য দুঃসংবাদ হল আপনি কোন ভাবেই সুস্থ নন। কারণ ১: আপনি প্রচুর পরিমাণে খান, কিন্তু হজম করতে পারেন না। ২: আপনার মেদ জমতেছে। ৩: পায়খানা ৩-৪ দিন পর পর করেন। আপনি সম্ভবত গ্যাস্ট্রিক, কিডনি বা বদ হজমি রোগে ভুগতেছেন। সমাধান: ১: ভাল ডাক্তারের সরণাপন্ন হোন। ২: প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। ৩: শাক সব্জি বেশি করে খাবেন। ৪: ফলমূল খাবেন। ৫: নিয়মিত হাটাহাটি সহ অন্যান্য ব্যায়াম করবেন। ৬: ভাত কম করে খেয়ে ফল খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করার চেষ্টা করবেন। ৭: দুশ্চিন্তা করবেন না। উপরের পরামর্শ মেনে চলুন। ইনশ্শাল্লাহ সুস্থ হবেন।