এখানে পূর্বে বলতে প্রায় মৃত্যুুর কাছে এমতাবস্থাকে বোঝানো হয়েছে।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

যে ব্যক্তি জীবনের ব্যাপারে নিরাশ হয়ে গেছে তার তওবা শুদ্ধ হবে।

কেননা মৃত্যুর গড়গড়া শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা তওবা কবুল করেন। দলিল হচ্ছে আল্লাহ তাআলার বাণী: অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন, যারা ভুলবশতঃ মন্দ কাজ করে, অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদের তওবা আল্লাহ কবুল করেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, রহস্যবিদ। (সূরা নিসা, আয়াত ১৭)।

আল্লাহ তাআলা বলেছেন: তওবা তাদের জন্য নয় যারা আজীবন মন্দ কাজ করে, অবশেষে তাদের কারো মৃত্যু উপস্থিত হলে সে বলে, আমি এখন তওবা করছি’ এবং তাদের জন্যও নয়, যাদের মৃত্যু হয় কাফের অবস্থায়। এরাই তারা যাদের জন্য আমরা কষ্টদায়ক শাস্তির ব্যবস্থা করেছি। (সূরা নিসা, আয়াতঃ ১৮)।

কিন্তু তওবার পাঁচটি শর্ত রয়েছে। এ শর্তগুলো পূর্ণ করতে হবে। সেগুলো হচ্ছেঃ- ইখলাস, কৃতপাপের জন্য অনুতপ্ত হওয়া, অনতিবিলম্বে পাপ ছেড়ে দেওয়া, ভবিষ্যতে পুনরায় গুনাহ না করার দৃঢ় সংকল্প করা এবং তওবা কবুল হওয়ার সময়সীমার মধ্যে তওবা করা।

অর্থাৎ তওবা করতে হবে মৃত্যু শুরু হওয়ার পূর্বে এবং পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয় শুরু হওয়ার আগে।

মহান আল্লাহ তার ঐ বান্দাদের তওবা কবুল করে থাকেন যারা অজ্ঞানতা বশতঃ কোন খারাপ কাজ করে বসে, অতঃপর তওবা করে, যদিও এ তাওবা মৃত্যুর ফেরেশতাকে দেখার পরেও গড়গড়ার পূর্বে হয়।

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা স্বীয় বান্দাদের তাওবা ককূল করে থাকেন যে পর্যন্ত না গড়গড়া উপস্থিত হয়।(জামেউত তিরমিযী)।

হযরত ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি ও যে কোন বান্দা তার মৃত্যুর এক মাস পূর্বে তওবা করে, তার তওবা আল্লাহ তাআলা গ্রহণ করে থাকেন, এমনকি তার পরেও বরং মৃত্যুর এক দিন পূর্বে হলেও, এমনকি এক ঘন্টা পূর্বে হলেও। যে ব্যক্তি খাঁটি অন্তরে ও সত্যতার সাথে আল্লাহর দিকে ঝুঁকে পড়ে, তিনি তার তওবা কবুল করে থাকেন।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি তার মৃত্যুর এক বছর পূর্বে তওবা করে আল্লাহ তাআলা তার তওবা গ্রহণ করে থাকেন। আর যে এক মাস পূর্বে তওবা করে তার তওবাও আল্লাহ পাক কবূল করে থাকেন এবং যে এক সপ্তাহ পূর্বে তাওবা করে তার তওবাও তিনি গ্রহণ করেন। আর যে একদিন পূর্বে তওবা করে তার তওবাও গৃহীত হয়ে থাকে।

তবে হ্যাঁ, যখন সে জীবন হতে সম্পূর্ণরূপে নিরাশ হয়ে যাবে, মৃত্যুর ফেরেশতা তাকে দেখতে পাবে এবং আত্মা দেহ হতে বেরিয়ে কণ্ঠনালীতে পৌছে যাবে এবং গড়গড়া শুরু হয়ে যাবে তখন তার তওবা গৃহীত হয় না।

এ জন্যেও আল্লাহ তাআলা বলেনঃ জীবন ভর যে পাপ কার্যে লিপ্ত থাকে এবং মৃত্যু অবলোকন করে বলে, এখন আমি তওবা করছি। এরূপ লোকের তাওবা গৃহীত হয় না।

যেমন অন্য জায়গায় রয়েছে, আয়াতের ভাবার্থ এই যে, আমার শাস্তি দেখে নেয়ার পর ঈমানের স্বীকারোক্তি কোন উপকারে আসবে না। (৪০:৮৪)।

অন্য জায়গায় রয়েছে, ভাবার্থ এই যে, যখন মানুষ সূর্যকে পশ্চিম দিকে উদিত হতে দেখবে তখন যে কেউ ঈমান আনয়ন করবে বা সকার্য সম্পাদন করবে তার সে সকাজ বা ঈমান কোন উপকারে আসবে না। (৬:১৫৮)।

অতঃপর আল্লাহ তাআলা বলেনঃ যারা কুফর ও শিরকের উপর মৃত্যু বরণ করে তাদেরও তওবায় কোন উপকার হবে না।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আপনি বোঝাতে চাচ্ছেন, আপনার মৃত্যু কখন হবে সেটা

আপনি জানেন, নতুবা পৃথিবীর কোন মানুষের পক্ষে এমন

প্রশ্ন করা সম্ভব নয়, আপনি আগামী 1 ঘন্টা বাঁচবেন কিনা

সেটার নিশ্চয়তা নাই, আল্লাহর কাছে কখনকার তওবা

কবুল হবে সেটাও আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেনা। আপনি

সেই আশায় না থেকে গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকুন

তওবা করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ