ছোট বাচ্চাদের বদ নজর থেকে হেফাজতের (!) জন্য অনেকেই তাদের কপালে নজরফোটা হিসেবে কাজল/কালি দেয় । এটি একটি কুসংস্কার । বিপদ আপদ দূর করা বা বদ নজর থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কড়ি , আংটি , কবজ তাবিজ ,নজরফোটা দেয়া আল্লাহর সাথে শিরক করার শামিল । কারণ সকল বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করার ক্ষমতার অধিকারী একমাত্র মহান আল্লাহ তা'আলা
এ টি নিছক কুসংস্কার ছাড়া কিছু নয়। একজন মুসলিম হিসাবে এজাতীয় কুসংস্কার পরিহার করা উচিত। কারণ এটি বদ নজর রোধ করে না। শিশুকে বদ নজর ইত্যাদি থেকে রক্ষা করার জন্য কী করতে হবে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তা শিক্ষা দিয়েছেন।
হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হাসান ও হুসাইন রা. এর জন্য এই দোয়া পড়ে আল্লাহর আশ্রয় কামনা করতেন-
ﺃُﻋِﻴْﺬُﻛُﻤَﺎ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺕِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺔِ ﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﺷَﻴْﻄَﺎﻥٍ ﻭَّﻫَﺎﻣَّﺔٍ ﻭَّﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﻋَﻴْﻦٍ ﻻَﻣَّﺔٍ .
অর্থ : সকল শয়তান, কীটপতঙ্গ ও বদনজর হতে তোমাদেরকে আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালিমাসমূহের আশ্রয়ে দিচ্ছি।
(দোয়াটি এক সন্তানের জন্য পড়লে ‘উয়ীযুকা’, দুইজনের জন্য ‘উয়ীযুকুমা’ আর দুইয়ের অধিক হলে ‘উয়ীযুকুম’ বলতে হবে। )
(বুখারীঃ ৩৩৭১)
শিশুকে বদ নজর ইত্যাদি থেকে রক্ষা করার জন্য এই দোয়াটি পড়েও ফু দেয়া যেতে পারে। হাদীসে এসেছে, জিবরীল (আঃ) রাসূলুল্লাহ (সাঃ)কে এই দোয়ার মাধ্যমে ঝাড়তেন।
ﺑِﺎﺳْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﺭْﻗِﻴﻚَ ﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻳُﺆْﺫِﻳﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻛُﻞِّ ﻧَﻔْﺲٍ ﺃَﻭْ ﻋَﻴْﻦِ ﺣَﺎﺳِﺪٍ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳَﺸْﻔِﻴﻚَ ﺑِﺎﺳْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﺭْﻗِﻴﻚَ
“আমি আপনাকে আল্লাহর নামে ঝাড়-ফুঁক করছি প্রতিটি এমন জিনিষ হতে, যা আপনাকে কষ্ট দেয় এবং প্রত্যেক জীবের অমঙ্গল হতে ও হিংসুকের বদ নজর হতে আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য দান করুন। আমি আপনাকে আল্লাহর নামে ঝাড়-ফুঁক করছি।” (মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুস্ সালাম)
পাশাপাশি আয়াতুল কুরসী, তিন কুল ও হাদীসের অন্যান্য দোয়াও এক্ষেত্র প্রয়োগ করা যেতে পারে ।