আমরা নলকুপের পানি পান করি। আমাদের এই নলকুপের পানি কোন পাত্রে রাখলে সেই পাত্রের নিচে হলুদ হলুদ প্রচুর ময়লা জমা হয়। এই ময়লা কি নামে পরিচিত? এই পানি পান করলে ক্ষতি হবে কি? এবং কিভাবে এই নলকুপের পানি নিরাপদ করব?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

নলকূপের পানিতে যদি আয়রনের পরিমান বেড়ে যায় তবে এর তলানি হলদে অথবা লালচে হতে পারে । মাটির নিচে লৌহের আধিক্য অথবা পানির পাইপ থেকে লৌহ কণা মিশে এই অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে । অনেক সময় এই পানি ব্যাক্টেরিয়া মিশ্রিত হয় । এছাড়া এ পানি স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর নয় । তবে ব্যাক্টেরিয়া-লৌহ মিলে পানির গন্ধে কিছুটা পরিবর্তন আনতে পারে ।এছাড়া বহুদিন এমন পানি খেলে দাঁতে দাগ পড়ে । আপনি যদি এই পানি ফিল্টারে ছেকে খান তবে গন্ধ থাকবে না , এবং দাঁতেও দাগ পড়বে না ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

হঁ্যা আপনি যে বর্ননা দিলেন তাতে বুঝা যায় নলকুপে আর্সেনিক রয়েছে৷আর্সেনিক বিষক্রিয়া থেকে মুক্তির জন্য আপাতত প্রতিরোধক ব্যবস্থাই সবচেয়ে উপযোগী। ব্যক্তিগত পর্যায়ে করণীয়গুলো হলো: আর্সেনিকযুক্ত নলকূপের পানি পান ও রান্নার কাজে ব্যবহার না করা। নিকটে আর্সেনিকমুক্ত নলকূপ পাওয়া না গেলে পুকুর বা নদী হতে ১ কলসি পানিতে আধা চামচ ফিটকিরি মিশিয়ে ২-৩ ঘণ্টা রেখে দিয়ে, পরে উপর থেকে তলানিবিহীন পরিষ্কার পানি পান করতে হবে। বৃষ্টির পানি যেহেতু আর্সেনিকমুক্ত, তাই বৃষ্টি আরম্ভ হবার ৫ মিনিট পর সরাসরি পরিষ্কার পাত্রে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে তা পান করতে হবে। আর্সেনিকমুক্তকরণ পিএসএফ-এর মাধ্যমে শোধন-সক্ষম ফিল্টারের মাধ্যমে পানি আর্সেনিকমুক্ত করে ব্যবহার করতে হবে। বাংলাদেশে, আর্সেনিকযুক্ত পানি থেকে আর্সেনিক মুক্ত করার একটি সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী পদ্ধতি রয়েছে, যাকে বলা হয় "তিন কলসি পদ্ধতি"। এজন্য তিনটি কলসি একটির উপর আপরটি রাখতে হয়। সর্বউপরের কলসিতে রাখতে হয় লোহার কণা ও মোটা দানার বালু; মাঝখানের কলসিতে রাখতে হয় কাঠ কয়লা ও মিহি দানার বালু এবং একেবারে নিচের কলসি থাকবে খালি। আর্সেনিকযুক্ত পানি এনে ঢালতে হবে সর্বউপরের পাত্রে, তা ক্রমান্বয়ে পরিষ্কার, বিশুদ্ধ ও আর্সেনিকমুক্ত হয়ে জমা হবে সর্ব নিচের কলসিতে। এই পদ্ধতিতে আর্সেনিকের মাত্রা অন্ততপক্ষে ৫০ পিপিবি (১ বিলিয়নে ৫০%)-এর নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

সাধারত নলকূপের পানিতে আয়রনের পরিমান একটু বেশি,গ্রামে সবাই আয়রন বলে চিনে,নলকূপের পানি খেলে কোন সমস্যা নাই, আপনি চাইলে ফুটিয়েও খেতে পারেন,গোসলের পক্ষে ক্ষতিকারক শরিল কালো হয়ে যায় মাথার চোল জট লেগে যায়,ও দাত লাল হয়ে যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ