নলকূপের পানিতে যদি আয়রনের পরিমান বেড়ে যায় তবে এর তলানি হলদে অথবা লালচে হতে পারে । মাটির নিচে লৌহের আধিক্য অথবা পানির পাইপ থেকে লৌহ কণা মিশে এই অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে । অনেক সময় এই পানি ব্যাক্টেরিয়া মিশ্রিত হয় । এছাড়া এ পানি স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর নয় । তবে ব্যাক্টেরিয়া-লৌহ মিলে পানির গন্ধে কিছুটা পরিবর্তন আনতে পারে ।এছাড়া বহুদিন এমন পানি খেলে দাঁতে দাগ পড়ে । আপনি যদি এই পানি ফিল্টারে ছেকে খান তবে গন্ধ থাকবে না , এবং দাঁতেও দাগ পড়বে না ।
হঁ্যা আপনি যে বর্ননা দিলেন তাতে বুঝা যায় নলকুপে আর্সেনিক রয়েছে৷আর্সেনিক বিষক্রিয়া থেকে মুক্তির জন্য আপাতত প্রতিরোধক ব্যবস্থাই সবচেয়ে উপযোগী। ব্যক্তিগত পর্যায়ে করণীয়গুলো হলো: আর্সেনিকযুক্ত নলকূপের পানি পান ও রান্নার কাজে ব্যবহার না করা। নিকটে আর্সেনিকমুক্ত নলকূপ পাওয়া না গেলে পুকুর বা নদী হতে ১ কলসি পানিতে আধা চামচ ফিটকিরি মিশিয়ে ২-৩ ঘণ্টা রেখে দিয়ে, পরে উপর থেকে তলানিবিহীন পরিষ্কার পানি পান করতে হবে। বৃষ্টির পানি যেহেতু আর্সেনিকমুক্ত, তাই বৃষ্টি আরম্ভ হবার ৫ মিনিট পর সরাসরি পরিষ্কার পাত্রে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে তা পান করতে হবে। আর্সেনিকমুক্তকরণ পিএসএফ-এর মাধ্যমে শোধন-সক্ষম ফিল্টারের মাধ্যমে পানি আর্সেনিকমুক্ত করে ব্যবহার করতে হবে। বাংলাদেশে, আর্সেনিকযুক্ত পানি থেকে আর্সেনিক মুক্ত করার একটি সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী পদ্ধতি রয়েছে, যাকে বলা হয় "তিন কলসি পদ্ধতি"। এজন্য তিনটি কলসি একটির উপর আপরটি রাখতে হয়। সর্বউপরের কলসিতে রাখতে হয় লোহার কণা ও মোটা দানার বালু; মাঝখানের কলসিতে রাখতে হয় কাঠ কয়লা ও মিহি দানার বালু এবং একেবারে নিচের কলসি থাকবে খালি। আর্সেনিকযুক্ত পানি এনে ঢালতে হবে সর্বউপরের পাত্রে, তা ক্রমান্বয়ে পরিষ্কার, বিশুদ্ধ ও আর্সেনিকমুক্ত হয়ে জমা হবে সর্ব নিচের কলসিতে। এই পদ্ধতিতে আর্সেনিকের মাত্রা অন্ততপক্ষে ৫০ পিপিবি (১ বিলিয়নে ৫০%)-এর নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব।