কোনো ব্যাক্তির সৎ উপায়ে অর্জিত ১ কোটি টাকা আছে,  তিনি সব টাকা ব্যাংকে ফিক্সড করে রেখে ৫ বছর পর আসলের সাথে সুদ ২০ লক্ষ টাকা পেল। ২০ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ মসজিদ,এতিম ইত্যাদি ধর্মীয় সৎ কাজে ব্যায় করলো বাকী টাকা নিজের সাংসারিক জীবনে খরচ করলো এতে কি তার হারাম খাওয়া হবে বা পাপ হবে....? ,





শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

শুনেন ভাইয়া সহজ একটা উদাহরণ দেই।আপনি যদি এক গ্লাস পানিকে বোতলে নিয়ে খান তাহলে কি সেটা মধু হয়ে যাবে।আর যদি একগ্লাস মদ যদি জমজম কূপের পানির পাত্রে ভরে খান তাহলে কি সেটা জমজমের পবিত্র পানি হয়ে যাবে।এটা যেমন সম্ভব নয়,তেমনি সেটাও ঠিক নয়।ইসলাম সুদকে হারাম ঘোষণা করেছে।আর হারামের ১০ লাখ থেকে হালালের ১০ টাকা অনেক বেশি দামি।আর এই দানে আপনার কোন সওয়াব হবে না।তাই বাকি ১০ লাখ টাকা যদি আপনি ঐ এককোটির সাথে মিশান ও পরিবারের কাজে ব্যয় করেন।তাহলে অবশ্যই আপনি হারাম খাইলেন।আশা করি বুঝতে পারছেন।আর আমার কথা ঠিক মনে না হলে পাড়ার ইমামকে জিগ্ঘাসা করতে পারতেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

সুদ মানেই হারাম । আর হারাম রুজিকে হালাল করার কোনো উপায় নেই । আর হারাম উপার্জনের দান-খয়রাতেও কোনো বরকত নেই । কিন্তু এই টাকাগুলোর উপর নিশ্চয় অসহায় ও দরিদ্র মানুষের হক আছে । আপনি তাদের হক আদায় করুন । এই উপার্জন কোনোভাবেই আপনার পরিবারের জন্য হালাল হবে না ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

এক কথায় যদি উত্তর চান, তাহলে বলব এটা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। সুদের যেকোনো কারবার, যেকোনো মানে যেকোনো রকমের, এমনকি সুদ সম্পর্কিত লেখার কাজও হারাম। এটা হল সহজ সরল উক্তি। আর যদি কেও এটাকে ক্ষেত্র বিশেষে হালাল করতেও চান, মনে রাখবেন সেটি সরল সোজা পথ নয়। আরও বিস্তারিত জানতে সূরা বাকারার ২৭৫ ও ২৭৬ নম্বর আয়াত ও এর ব্যখ্যা দেখতে পারেন। এক্ষেত্রে তাফসীর ইবনে কাছির এর ব্যখ্যা এক কথায় অসাধারণ। আপনাকে নিজে দেখতে বলছি এই কারণে যে, এতে আপনি যেমন উপকৃত হতে পারবেন তেমনি ইসলামি একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞান সম্পর্কে আপনি অবহিত হলেন, যার দ্বারা আপনি অন্যকেও উপকৃত করতে পারবেন। বোনাস হিসেবে আখিরাতেও উপযুক্ত পুরস্কার পাবেন। 

ধন্যবাদ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ