অনেকে ফেসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক সাইটে ব্যাবহারকারী হয়ে নগ্ন/অশ্লীন ছবি,বার্তা পোষ্ট করা সহ মেসেস করে থাকে তাদের মৃত্যুর পর শাস্তির বিধান কি...?  আর যদি কোন ব্যাবহারকারী অশ্লীন ছবি, স্ট্যাটাস, মেসেস আপলোড/বিদ্যমান থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে আর সেই আইডি বা পোষ্ট গুলো কিয়ামত পর্যন্ত যদি ঐই ভাবে থাকে তাহলে কি সে কবরে থেকে বোনাস হিসাবে কৃতকর্মের জন্য শাস্তিপেতে থাকবে  ? সম্পূর্ণ বিষয়টি তুলে ধরে উত্তর দিবেন শুধুমাত্র। দয়া করে অসম্পূর্ণ উত্তর দিবেন না।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

যারা সামাজি সাইটগুলোতে অশ্লীল কার্যক্রম পরিচালনা করে তারা তাদের এ ঘৃণিত ও মহাপাপের ফলস্বরূপ পরকালে মর্মন্তুদ শাস্তি ভোগ করবে। এতে সামান্য পরিমাণ সন্দেহ নেই। তবে যদি সে মুত্যুর পূর্বে একনিষ্ঠ চিত্তে তাওবা করে ভাল হয়ে যায় তাহলে আশা করা যায় সে তার পাপের শাস্তি থেকে মুক্তি পাবে। তবে কিছু কিছু পুণ্য এমন রয়েছে যার ধারা বহুকাল যাবত বা কিয়ামত অবধি চলমান থাকে। অর্থাৎ সে পুণ্য অবিরত পুণ্য সৃষ্টি করতে থাকে। তদ্রূপ কিছু কিছু পাপও এমন রয়েছে যার ধারা কিয়ামত অবধি চলমান থাকবে। যেমন অবিরত অশ্লিল কর্মের ধারা সৃষ্টি করে যাওয়া। এ ধারা যতদিন চলমান থাকবে ততদিন এমএলএম সিষ্টেমের মত তার আমলনামা তথা কর্মপত্রে পাপ মজুদ হতে থাকবে। এবং সে এ পাপরাশির মর্মন্তুদ শাস্তিও ভোগ করতে থাকবে। তবে যদি অবিরত অশ্লিল কর্মের ধারা সৃষ্টি করার পর তাওবা করে এবং অশ্লীল কর্মের ধারা বন্ধ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে কিন্তু তা সত্ত্বেও সে ধারা বন্ধ না হয় কিংবা বন্ধ করতে সে অক্ষম হয় তাহলে সে তার এ মহাপাপ এবং এ পাপের ধারা বন্ধ করার অক্ষমতার জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট নিকট কায়মনোবাক্যে তাওবা করবে। আশা করা যায় এতে আল্লাহ তার একটা মুক্তির ব্যবস্থা করে দিবেন। কারণ আল্লাহ সবকিছুই পারেন। তবে ব্যক্তি যদি মুমিন হয় তাহলে সে তার পাপের শাস্তি ভোগ করে একদিন না একদিন জান্নাতে যাবেই।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ