ব্যাথা করে পায়ে হাতে এবং হাড়সহ সব জয়েন্টে
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Yakub Ali

Call

আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামে ঘাটতি থাকতে

পারে, আপনি একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ

অথবা অর্থপেডিক্স বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ

অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে পারেন।


নিয়মিক 1 গ্লাস দুধ অবশ্যই খাবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ভাইয়া আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাট‌তি র‌য়ে‌ছে। আপ‌নি ক্যালসিয়ামে যুক্ত খাবার খে‌তে পা‌রেন ।তা ছাড়াও আপ‌‌নি ক্যালসিয়ামের বড়ি খে‌তে পা‌রেন ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি খাদ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ না থাকলে কিংবা শারীরিক অসুবিধার কারণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি শরীরে ব্যবহৃত হতে না পারলে হাড় আস্তে আস্তে নরম হয়, দুর্বল হয়, বেঁকে যায়, ব্যথা হয় এবং ভঙ্গুরতার প্রবণতা দেখা দেয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানে একে অসটিওম্যালাসিয়া বলে। পুরুষের (২৩%) তুলনায় মহিলারা (৭৭%) অসটিওম্যালাসিয়ায় বেশি ভোগে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এই রোগের চিকিৎসার জন্য ৯০% রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় এবং ৫২% রোগীকে বিভিন্ন উপসর্গসহ চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। এই অসুখের কারণ খাদ্যে ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম ও ফসফেটের পরিমাণ কম থাকা। সূর্যের আলোতে কম আসা। খাদ্যনালী হতে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম রক্তে প্রবেশ কম হওয়া বা না হওয়া। বয়স্ক এবং যারা দুধ কম খায় তারা অসটিওম্যালাসিয়া রোগে ভোগে বেশি। ক্যান্সারের রোগী। বংশানুক্রমিক। কিডনি (বৃক্ক) সমস্যা ও এসিডোসিস। লিভার (যকৃত) সমস্যা। এন্টিকনভালসেন্ট ড্রাগ থেরাপি বা খিচুঁনিরোধক ওষুধ। উপসর্গ কোমরে প্রথমে হালকা ব্যথা হয়। পরে ব্যথা আস্তে আস্তে বাড়ে। মাংসপেশী এত দুর্বল হয় যে উপরে-নিচে বা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে খুব কষ্ট হয়। শরীরের বিভিন্ন হাড়ে ব্যথা, বিশেষ করে কটি, উরু, বাহু ও পাঁজরের হাড়। হাড় দুর্বল, নরম ও বাঁকা হয়। ফলে অল্প আঘাতেই হাড় ভেঙে যায়। মেরুদণ্ডের হাড়ে ব্যথা হয় এবং কশেরুকা কমপ্রেসেড বা ছোট হয়। ক্যালসিয়াম কম বলে অস্বাভাবিক হৃদকম্পন হয়। মুখের চারদিকে অবশভাব হয়। হাত ও পায়ে পেশীর খিঁচুনি (স্পাজম) হয়। পরীক্ষা: সেরাম ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ফসফেট ও ক্রিয়েটিনিন। হাড়ের বায়োপসি : হাড় নরম পাওয়া যাবে। এক্স-রে ও বোন ডেনসিটি : হাড়ের সিডো ফ্র্যাকচার, হাড়ের পরিমাণ কম ও হাড় নরম পাওয়া যাবে। প্যারাথাইরয়েড হরমোন। অ্যালকালিন ফসফাটেস। প্রতিকার: তবে বেশি পরিমাণ ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খেলে হাড় মজবুত হয়। বেশি করে ফসফরাসযুক্ত খাবারও খেতে হবে। ক্যালসিয়ামের অভাবের চিকিৎসা গ্রহণ করলে অবশভাব, হাত ও পায়ের পেশীর খিঁচুনি কমে যাবে। সোডিয়াম ফ্লুরাইড ওষুধ সেবন করতে হবে। আরগোক্যালসিফেরল ইঞ্জেকশনে হাড় শক্তিশালী হয়। বিসফোসফোনেট : এলেনড্রোনেট, ইটিড্রোনেট ও রাইসড্রোনেট সেবন। হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি। রেলোক্সিফেন ও ক্যালসিটোনিন ইঞ্জেকশন। হাড় ভাঙার জন্য কনজারভেটিভ বা সার্জিক্যাল চিকিৎসার প্রয়োজন। ব্যথা নিরাময়ের জন্য এনালজেসিক ওষুধ সেবন করতে হবে। হাড় ভাঙা থেকে রক্ষা পেতে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ