অতিরিক্ত ঘুমের প্রতিকারে এর সম্ভাব্য কারণ নির্ণয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।কারণ খুঁজে পাওয়া গেলে ও তার সঠিক চিকিৎসা করলে অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা অনেকটাই কমানো সম্ভব। ঘুমের আদর্শ অবস্থার নিয়ম-কানুন : ঘুম অতিরিক্ত হোক আর কম হোক উভয় ক্ষেত্রেই পরিচ্ছন্ন ঘুমের নিয়ম-কানুন মেনে চলা উচিৎ ঘুমের প্রক্রিয়া ও এর ব্যাপ্তিকালকে স্বাভাবিকীকরণের জন্য।এগুলো হলো- ১) ঘুম না আসা পর্যন্ত বিছানায় না যাওয়া। ২) বেডরুমকে কেবলমাত্র ঘুম ও সঙ্গমের জন্যই ব্যবহার করা। ৩) রাতের বেলা ঘুমানোর সময় ছাড়া যখন তখন যেখানে সেখানে শুয়ে বিশ্রাম নেওয়ার অভ্যাস যথাসম্ভব ত্যাগ করা। ৪) বিছানায় যাওয়ার পর ২০ মিনিটের মধ্যে ঘুম না আসলে জোর করে শুয়ে না থেকে বরং বিছানা ও বেডরুম ত্যাগ করে পুনরায় ঘুম না আসা পর্যন্ত বেডরুমে না ঢোকা।যারা জোর করে ঘুমানোর চেষ্টা করেন তাদের পরবর্তীতে ঘুমানোর সময় সমস্যা আরও তীব্রতা লাভ করে। ৫) প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে উঠা তাতে রাতে যে পরিমাণই ঘুম হয়ে থাকুক না কেন। ৬) সন্ধ্যার পর স্নায়ু উত্তেজক খাবার বা পানীয় যেমন চা.কফি,কোলা,চকোলেট,এনার্জি ড্রিংকস, ধূমপান সেবন না করা। ৭) সকালে বা দিনের অন্য সময় নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করা। ৮) টিভি দেখার সময় সোফায় গা না এলিয়ে বরং চেয়ার বা মেঝেতে পিঠ সোজা করে বসে দেখা। ৯) ঘুমানোর সময় ঘরের সকল লাইট বন্ধ রাখা। ১০) বেডরুমের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা যথাসম্ভব স্বস্তিকর অবস্থায় রাখা। ১১) সন্ধ্যার পর থেকে বিশেষত ঘুমানোর পূর্বে কোন কারণে উত্তেজিত না হওয়া বা জটিল কোন কিছু চিন্তা না করা।বিছানায় শুয়ে টিভি দেখা,ফেসবুক চালানো বা চ্যাট করা,মোবাইলে কথা বলা, জীবনের সমস্যা নিয়ে চিন্তা করা,ভবিষ্যত পরিকল্পনা করা ইত্যাদি বিষয় ত্যাগ করা। ১২) কোন ধরনের মাদকদ্রব্য সেবন না করা।