অলিভ অয়েল ভিটামিন,
মিনারেল, ফ্যাটি এসিডে
ভরপুর তাই শুধু হার্টের জন্য নয়
পুরো মানব দেহের জন্যই
উপকারী। এটি স্পর্শকাতর
ত্বকের জন্যও নিরাপদ। অলিভ
অয়েল চুলে পুষ্টি যোগায় আর
অলিভ অয়েলে বিদ্যমান
ভিটামিন ই এবং এ তারুণ্য
ধরে রাখতে সাহায্য করে।
অলিভ অয়েলের গুনাগুণ
এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। অলিভ
অয়েলের রয়েছে আরো অনেক
গুণ। চলুন জেনে নেয়া যাক,
ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েলের
উপকারিতা-
১. মাস্ক : একটি ডিমের
কুসুমের সাথে ১ টেবিল
চামচ অলিভ অয়েল আর ৩
ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে
প্যাক তৈরি করুন। তারপর
মুখে লাগিয়ে ৫-১০ মিনিট
অপেক্ষা করে প্রথমে হালকা
গরম পানি তারপর ঠান্ডা
পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ঠান্ডা পানি খুলে যাওয়া
পোরস বন্ধ করে। নরমাল
অথবা শুষ্ক ত্বকে এই মাস্ক
আর্দ্রতা বজায় রাখবে সেই
সঙ্গে নরম কোমল করে তুলবে।
২. ময়েশ্চারাইজার : অলিভ
অয়েলে আছে লিনোলিক
অ্যাসিড, যা পানি বাষ্প
হতে দেয়না। তাই ১/২ কাপ
অলিভ অয়েল, ১/৪ কাপ
ভিনেগার আর ১/৪ কাপ
পানি মিশিয়ে একটি
সলিউশন তৈরি করুন যা
রাতে ঘুমানোর সময় নাইট
ক্রিমের মত ব্যবহার করতে
পারবেন। অলিভ অয়েল ত্বককে
নরম করে, ভিনেগার ত্বকে
থাকা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস
করে।
৩. সান প্রোটেকশন : অভিল
অয়েলে ভিটামিন এ এবং ই
আছে সেই সঙ্গে ৩ রকমের
অ্যান্টি অক্সিডেন্টস আছে,
যা আপানাকে সূর্যের
ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা
করবে। তাই যদি বাইরে
যাওয়ার আগে অলিভ অয়েলের
প্রলেপ দিয়ে বের হন তবে
সান টান থেকে অনেকটাই
মুক্তি লাভ করবেন।
৪. ব্রণ প্রতিরোধক : শুনে হয়ত
অবাক হবেন ব্রণের
চিকিৎসায় তেলের ব্যবহার।
কিন্তু অলিভ অয়েল ব্রণের
বংশ ধ্বংস করার জন্য
উপকারী। ৪ টেবিল চামচ
লবণের সাথে ৩ টেবিল
চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে
একটি পেস্ট তৈরি করুন।
তারপর সেই পেস্ট ২ মিনিট
ধরে মুখে ম্যাসাজ করুন।
এভাবে এক সপ্তাহ করুন। আপনি
অবশ্যই পরিবর্তন দেখতে
পারবেন।