অলিভ অয়েল ব্যবহারের ফলে ত্বক ও চুলের কী কী উপকার হয়—
১। যাঁদের খুশকির সমস্যা রয়েছে, তাঁরা সপ্তাহে দু’দিন ভাল করে মাথায় এই তেল ম্যাসাজ করুন। তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিলে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়।
২। অলিভ অয়েলের সঙ্গে অল্প নারকেল তেল মিশিয়ে চুলের আগা তাতে চুবিয়ে রাখুন। এতে চুল নরম থাকে, এবং ফাটার সম্ভাবনা থাকে না।
৩। অন্য যে কোন তেলের তুলনায় অলিভ অয়েল খুবই হাল্কা, যে কারণে খুব সহজেই মিশে যায় ত্বকের সঙ্গে। রাতে ঘুমনোর আগে, প্রতিনিয়ত কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মুখে ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকার ফলে তা ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। যার ফলে ত্বক অনেক বয়স পর্যন্ত মসৃণ ও টানটান থাকে।
৪। প্রতি নিয়ত নেলপলিশ ব্যবহারের ফলে নখের দফারফা হতেই পারে। সপ্তাহে এক দিন ১৫ মিনিটের মত নখ ভিজিয়ে রাখুন অলিভ অয়েলে। ফল পাবেন।
- See more at: http://www.bd-pratidin.com/life/2017/02/19/209223#sthash.srYwNO09.dpuf
অলিভ অয়েল মূখে মাখলে কোন সমস্যা হয়না বরং উপকার হয়, আদিকাল থেকে রূপচর্চা ও সৌন্দর্য রক্ষায় বিভিন্ন রকমের তেলের ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। একেক রকমের তেলে রয়েছে একেক রকমের গুণাগুণ। এ ধরনের তেল ত্বকের কোষের ভিতরে খুব দ্রুত মিশে গিয়ে ভেতর থেকে রুক্ষতা দূর করে। ত্বক হয়ে ওঠে নরম ও মসৃণ।অলিভ অয়েল দারি গজাতে সাহায্য করে খুব কম।
জলপাই তেল বা Olive Oil এ অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে, যেগুলো আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখে। গবেষকরা দেখিয়েছেন খাবারে জলপাইয়ের তেল ব্যাবহারের ফলে শরীরের ব্যাড ক্লোষ্টোরেল এবং গুড ক্লোষ্টোরেল নিয়ন্ত্রণ হয় । জলপাইয়ের তেলের আরেকটা গুণাবলি হল এটা পাকস্থলীর জন্য খুব ভালো। শরীরে এসিড কমায়, যকৃৎ (Liver) পরিষ্কার করে, যেটা প্রতিটি মানুষের ২/৩ দিনে একবার করে দরকার হয়। কোস্ট কাঠিন্য রোগীদের জন্য দিনে ১ চামচ (1 spoon) জলপাই তেল অনেক অনেক উপকারী।সাধারণত সন্তান হওয়ার পর মহিলাদের পেটে সাদা রঙের স্থায়ী দাগ পড়ে যায় । গর্ভধারণ করার পর থেকেই পেটে জলপাই তেল (Olive Oil) মাখলে কোন জন্মদাগ পড়ে না। এটা একটা পরীক্ষিত ব্যাপার। জলপাই তেল গায়ে মাখলে বয়স বাড়ার সাথে ত্বক কুঁচকানো প্রতিরোধ হয় । গবেষকরা ২.৫ কোটি (25 million) লোকজনের উপর গবেষণা করে দেখিয়েছেন, প্রতিদিন ২ চামচ কুমারী জলপাই তেল (Virgin Olive Oil) ১ সপ্তাহ ধরে খেলে ক্ষতিকর এলডিএল (LDL) কোলেস্টেরল কমায় এবং উপকারী এইচডিএল (HDL) কোলেস্টেরল বাড়ায়। স্প্যানিশ (Spanish) গবেষকরা দেখিয়েছেন, খাবারে জলপাই তেল ব্যবহার করলে ক্লোন ক্যান্সার (Colon cancer ) প্রতিরোধ হয়। আরও কিছু গবেষক দেখিয়েছ, এটা ব্যাথা নাশক (Pain Killer) হিসাবে কাজ করে। গোসলের পানিতে ১/৪ চামচ ব্যবহার করে গোসল করলে শরীরে শিথিলতা পাওয়া যায়। মেয়েদের রূপ বর্ধনের জন্য এটা অনেকটা কার্যকর। ইসলাম ধর্মেও জলপাইয়ের তেলে খাওয়া এবং ব্যাবহারের গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আল্লাহর রসূল (স.) বলেছেন, “তোমরা এই তেলটি খাও, তা শরীরে মাখাও।“[হযরত আবু হুরাইরা (রদ্বি.) হতে তিরমিযি ও ইবনে মাজাহ্ বর্ণনা করছেন । ইবনে মাজাহ্-এ হাদিস নং ৩৩২০ । সনদ সহীহ্]। জলপাই তেল যে কোষ্ঠ কাঠিন্য কমে, তা ইবনুল কাইয়্যূম তার "The Medicine of the Prophet (sm.)" বইয়ে তা স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করেছেন ।বাজারে কয়েক ধরনের জলপাইয়ের তেল পাওয়া যায়। যেমন- ১। Extra virgin - এটা প্রথম ধাপ। সরাসরি জলপাই ফল থেকে তৈরি। এসিডেটি ১% এর নিচে। রান্নার জন্য বা সালাদে গবেষকরা এটা প্রস্তাব করেন। ২। Virgin - Extra virgin পরের ধাপ এটা। এতে এসিডের পরিমাণ ১ থেকে ২% থাকে। ৩। Refine Pure - ৩য় ধাপ। এতে এসিডের পরিমাণ ৩% থেকে ৪