শুধু স্তনে ব্যাথা দেখেই বলা যাবে না সে গর্ভধারন করেছে। ব্যাথা বিভিন্ন কারনে হতে পারে। গর্ভধারন ধারনের কিছু প্রাথমিক লক্ষন আছে। এগুলোর সাথে মিলিয়ে নিন তাহলে নিশ্চিত হতে পারবেন। নিচে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হল- ১. পেটে গ্যাস হওয়াঃ গর্ভবতী হওয়ার অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে এই গ্যাস। গর্ভবতী হওয়ার পর অধিকাংশেরিই পেটে গ্যাস তৈরি হয় এবং তা নির্গত হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। তবে এটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হওয়ায় তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। ২. স্তন ব্যথাঃ গর্ভবতী হওয়ার শুরুতেই স্তন ব্যথা একটি লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পেতে পারে। এছাড়া স্তনবৃন্তের চারপাশে ত্বকের রংয়ের পরিবর্তন হয়। স্তন নাজুক ও ফুলে যায়। ফলে হালকা ব্যাথা অনুভব হয়। এছাড়া কোন কোন নারীর ক্ষেত্রে স্পর্শকাতরতা অনেক বেড়ে যায়। ৩. বুক জ্বলাঃ গর্ভবতী হলে হজম শক্তিতে বেশ পরিবর্তন লক্ষ করা যায় । এতে প্রায়ই দেখা যায় অনেকের বুক জ্বলার মতো সমস্যা সৃষ্টি হয়। হজমশক্তিতে পরিবর্তন হওয়ায় ভাজাপোড়া ও চা-কফি পাকস্থলিতে গেলে জ্বালাপোড়া তৈরি করতে পারে। এছাড়া বমি বমি ভাবও লক্ষ করা যায়। ৪. দেহ স্ফীতিঃ গর্ভবতী হওয়ার এটি অন্যতম একটি লক্ষণ। এতে দেখা যায় সারা দেহেই সামান্য পরিবর্তন হয়। সবার ক্ষেত্রে দেহ ফুলে যাওয়ার বা স্ফীত হওয়ার লক্ষণ দেখা যায়। ৫. তলপেটে খিঁচুনিঃ গর্ভবতী হলে তলপেটে খিঁচুনির সমস্যায় আক্রান্ত হন অনেক নারী। অনেকেরই ধারণা তলপেটে ব্যথা ও খিঁচুনি গর্ভবতী হলেই দূর হবে। যদিও বাস্তবে তা অনেকেরই হয় না। সাধারণত হরমোন পরিবর্তন জনিত কারণে এমনটা হয় বলে জানা যায়। ৬. ক্ষুধামন্দাঃ সকালবেলা অনেকের বমি বমি ভাব হয় বা বমি করে ফেলে। তাছাড়া খাবারে অরুচি আসে বা গন্ধ লাগে। তাই সাধারণত পেটে খাবার না থাকলেও ক্ষুধা লাগে না। তাহলে তা গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ হিসেবে ধরা যায়। অনেকেরই পিরিয়ড মিস হলে এ অনুভূতি হয়। ৭. পেট ফাঁপাঃ অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় খাবারের পর পেট ফেঁপে উঠে। পেটে মাঝে মাঝে শব্দ হয় বা ডাকাডাকি করে। তাছাড়া শরীর দূর্বল লাগে বা অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যায়। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় খুব ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। ৮. পিরিয়ড না হওয়াঃ আগে যারা গর্ভবতী হননি, এমন অনেক নারীর ক্ষেত্রেই এ লক্ষণ সবার আগে ধরা পড়ে। এটি গর্ভবতী হওয়ার অন্যতম লক্ষণও বটে। তাই এমনটি হলে প্রেগনেন্সি স্ট্রিপ এনে প্রস্রাব পরীক্ষা করতে হবে। ৯. প্রস্রাব পরীক্ষাঃ সাধারণত মাসিক বন্ধ হবার ১ সপ্তাহ পরে যদি পরীক্ষাটি করা হয় তবে পরীক্ষার ফলাফল নিশ্চিত করে বলা যায়। দিনের যে কোন সময়ের মূত্রের মাধ্যমে এই পরীক্ষা করা যায়, তবে সকাল বেলায় প্রথমবার মূত্র ত্যাগের সময় নমুনা সংগ্রহ করা ভালো। এতে ফলাফল সঠিক আসে। যাহোক প্রস্রাব করার সময় একটি পরিস্কার বাটিতে প্রস্রাব নিন। এরপর সাবধানে তা ঘরের মধ্যে বা আলোময় স্থানে নিয়ে আসুন। এরপর কাঠির যে প্রান্তে শুষে নেওয়ার ব্যবস্থা আছে সে প্রান্ত তাতে ডুবিয়ে দিন। ঐ অবস্থায় এটিকে ৫-১০ সেকেন্ড রাখতে হবে। এরপর কাঠিটি তুলে একটি সমতল ও শুকনো, পরিস্কার জায়গায় এমনভাবে রাখুন যাতে ফলাফল দেখা যায়। এ অবস্থায় ১-৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এবার দেখুন যদি একটি লাল দাগ দেখতে পান তাহলে ফলাফল নেগেটিভ। আর যদি দুটি লাল দাগ দেখতে পান তাহলে ফলাফল পজেটিভ অর্থাৎ গর্ভ ধারন হয়েছে। সূত্র: http://tek-park.blogspot.in/2016/12/pregnancy-test.html?

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ