তেমন কিছুই তো বলার নেই।  শুধু প্রশ্নোত্তর চাই.....???


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

যোগ্যতা যেমন চাইঃ মাধ্যমিক ও
উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের
পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে
পাস হতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিকে
পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত বিষয় দুটি
থাকতে হবে।পদার্থ ও গণিতে
কমপক্ষে বি গ্রেড থাকতে হবে। এ
ছাড়া ইংরেজি বলা ও লেখায় দক্ষ
হতে হবে। যাঁরা স্নাতক শ্রেণীতে
পড়ছেন বা পাস করেছেনতাঁরাও
পাইলট কোর্সে ভর্তির আবেদন
করতে পারবেন।
> সবার আগে ভর্তি পরীক্ষাঃ
পাইলট কোর্সে ভর্তি হতে সবার
আগে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে
হবে। এ পরীক্ষা হয় দুটি
ধাপেমৌখিক ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
মৌখিক পরীক্ষায় সাধারণত
বিজ্ঞান ও সাধারণ জ্ঞানের ওপর
প্রশ্ন করা হয়। এটি সংশ্লিষ্ট
একাডেমী নিয়ে থাকে। আর স্বাস্থ্য
পরীক্ষা হয় সিভিল এভিয়েশন
অনুমোদিত ডায়াগনস্টিক
সেন্টারগুলোতে।
> লাগবে গ্রাউন্ড কোর্সঃ ভর্তি
পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা পাইলট
কোর্স করার যোগ্য বলে বিবেচিত
হন। পাইলট হতে পেরোতে হয় তিনটি
ধাপ। গ্রাউন্ড কোর্সের পর পেতে
হয় এসপি বা স্টুডেন্ট পাইলট
লাইসেন্স। এরপর পিপিএল
(প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স), আর
সবশেষে পেতে হয় সিপিএল বা
কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স। তিন
মাসের থিওরি কোর্সে বিমানের
কারিগরি এবং এয়ার ল বিষয়ে
প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ ছাড়া
এয়ারক্রাফট জেনারেল নলেজ,
ফ্লাইট পারফরম্যান্স অ্যান্ড
প্ল্যানিং, হিউম্যান পারফরম্যান্স
অ্যান্ড লিমিটেশন, নেভিগেশন,
অপারেশনাল প্রসিডিউর এবং
প্রিন্সিপল অব ফ্লাইটের মতো
বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা দেওয়া
হয়।
> সময় এবার উড়াল দেওয়ারঃ
গ্রাউন্ড কোর্সের পর সংশ্লিষ্ট
একাডেমী লিখিত পরীক্ষা নেয়।
পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সরাসরি
বিমান চালনার জন্য সিভিল
এভিয়েশনে এসপিএল বা স্টুডেন্ট
পাইলট লাইসেন্সের আবেদন করতে
হয়। আবেদনের পর সিভিল
এভিয়েশন অথরিটি (সিএএবি)
পরীক্ষা নেয়। সিএএবির পরীক্ষা
এবং সিএমবির (সার্টিফায়েড বাই
দ্য মেডিক্যাল বোর্ড) স্বাস্থ্য
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই কেবল
এসপিএল দেওয়া হয়। এ লাইসেন্স
দিয়ে ৪০ থেকে ৫০ ঘণ্টা বিমান
চালনার সার্টিফিকেট অর্জন করে
পিপিএল বা প্রাইভেট পাইলট
লাইসেন্সের আবেদন করতে হয়। এ
সময় তিন মাসের থিওরি ক্লাসের
সঙ্গে একটি ক্রস কান্ট্রি ফ্লাইট
(এক জেলা থেকে অন্য জেলায়
যাওয়া-আসা) চালানোর
অভিজ্ঞতাও অর্জন করতে হয়।
এরপর আবারও লিখিত এবং
স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই
মেলে প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স। এ
লাইসেন্স দিয়ে কোনো বাণিজ্যিক
বিমান চালানো যায় না। তাই পাইলট
হিসেবে চাকরির জন্য প্রয়োজন
সিপিএল বা কমার্শিয়াল পাইলট
লাইসেন্স। এ লাইসেন্স পেতে ১৫০
থেকে ২০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর
অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। এ ছাড়া
উত্তীর্ণ হতে হয় লিখিত ও স্বাস্থ্য
পরীক্ষায়। পাশাপাশি থাকতে হয়
একটি ক্রস কান্ট্রি ফ্লাইট
চালানোর অভিজ্ঞতা ও তিন মাসের
থিওরি কোর্সের সার্টিফিকেট।
সিপিএল পাওয়া মানেই নিশ্চিত
চাকরি।
> কাজের ক্ষেত্রঃ বর্তমানে দেশে
ও বিদেশে দক্ষ পাইলটের বেশ
চাহিদা রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিমান
পরিবহন সংস্থার (দি
ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট
অ্যাসোসিয়েশন) এক রিপোর্টে
জানা যায়, বিমান সংস্থাগুলোর নতুন
নতুন রুট চালু এবং পুরনো পাইলটদের
অবসরে যাওয়ার ফলে প্রতিবছর ১৭
হাজার নতুন পাইলট প্রয়োজন
হচ্ছে। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে,
আন্তর্জাতিক পরিসরে দক্ষ
পাইলটের প্রয়োজন কতটুকু। এটি
এমন এক পেশা, যেখানে চাকরিই
প্রার্থী খোঁজে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ