1)
মনিষা তুমি আমার রঙিন স্বপ্ন, শিল্পীর রঙ্গের ছবি।
তুমি আমার চাঁদের আলো, সকাল বেলার রবি
তুমি আমর নদীর মাঝে একটি মাত্র কূল,
তুমি আমার ভালবাসার শিউলি বকুল ফুল…….
2)
মনিষা তুমি আমার বুকের অজানার
হাতছানি
মাঝরাতে বৃষ্টির শব্দ, প্রিয় চাহনি!!
তুমি শিশির ভেজা ফুলের একরাশ,
তুষার তনু মনে, তুমি উষ্ণ পরশ!!
তুমি প্লাবিত জল, কুয়াশাঢাকা শীতের চাদর
ভালবাসার আহবানে সিক্ত হেয়ালী অধর!!
তুমি শ্রাবণ সন্ধ্যা, প্রিয় উপন্যাস,
ভাললাগার ক্ষণ, কষ্টের চাপা দীর্ঘশাস!!
তুমি অস্তমিত সূ্র্য্য, স্রোতসিনী ঝরণা,
না পাওয়ার বুকে তুমি, শুকিয়ে যাওয়া কান্না!!
তুমি আমার বুকের গহিনে বয়ে যাওয়া নদী,
স্বচ্ছতার আলাপন,
তুমি আমার মন আমার অচেনা পৃথীবিতে
একান্ত চেনা আপন জন!!
3)
মনিষা তুমি আমার মনের মধ্যে
প্রবহমান ঝর্ণা
এনে দিল ভালবাসার বন্যা।
ভাসিয়ে নিল স্মৃতির ভেলা
শুরু হল ভালবাসার খেলা।
খেলবো দু'জন, খেলবো নিশিদিন
শেষ হবে না কভু ভালবাসার ঋণ।
মন তাই উচ্ছ্বল, চঞ্চল
ছুটে চলেছে দিগন্তে বনাঞ্চল।
আটকে গেল হৃদয় কোঠরে
বলি, ঘুমিও না, জেগে ওঠরে।
আমি কবি এনেছি বারতা
অনামিকা তোমার জন্যই আমার
ভালবাসার কবিতা।
5)
মনিষা তোমাকে শুধু তোমাকে চাই,
পাবো?
পাই বা না পাই এক জীবনে তোমার কাছেই যাবো।
ইচ্ছে হলে দেখতে দিও, দেখো
হাত বাড়িয়ে হাত চেয়েছি রাখতে দিও, রেখো
অপূণতায় নষ্টে-কষ্টে গেলো
এতোটা কাল, আজকে যদি মাতাল
জোয়ার এলো
এসো দু’জন প্লাবিত হই প্রেমে।
6)
মনিষা অনেক সুন্দর তুমি,
তোমার ভালবাসায় এই তো কাছে দাঁড়িয়ে
আমি!!!
আকাশের চাঁদের পানে চেয়ে দেখি
নক্ষত্ররা গোল মিটি মিটি হাসছে
সবাই শুধু তোমার কথা বলছে!!
আমি অবাক হয়ে ভাবছি কি সুন্দুর তুমি!!
জোত্স্নার নীল আলো আমার চোখে
তোমার প্রেমে মুগ্ধ আমি!!
★★মনিষা আমি তোমাকে ভালবেসে হয়ে
গেছি যে খুবেই দিওয়ানা,
দোহাই তোমার কাছে তুমি কোনোদিন
আমাকে একা ফেলে চলে যেওনা!!
মনিষা তোমাকে যতবার ভাবছি কত মিষ্টি তুমি,
নিজ হাতে বিধাতার তুমি অপরূপ সৃষ্টি!!
★★তোমার চোখের সামনে দাড়িঁয়েছি আজ,
মনের কথাগুলো বলে দিবো ভূলে ভয় লাজ।
এক প্রান তুমি আমি দেহ হলেও দুইটি,
মন খুলে বলি তোমায় আমি ভিশন ভালবাসি ★♥♥......
মনিষা তুই কি আমার দুঃখ হবি? এই আমি এক উড়নচন্ডী আউলা বাউল রুখো চুলে পথের ধুলো চোখের নীচে কালো ছায়া। সেইখানে তুই রাত বিরেতে স্পর্শ দিবি। মনিষা তুই কি আমার দুঃখ হবি? মনিষা তুই কি আমার শুষ্ক চোখে অশ্রু হবি? মধ্যরাতে বেজে ওঠা টেলিফোনের ধ্বনি হবি? মনিষা তুই কি আমার খাঁ খাঁ দুপুর নির্জনতা ভেঙে দিয়ে ডাকপিয়নের নিষ্ঠ হাতে ক্রমাগত নড়তে থাকা দরজাময় কড়া হবি? একটি নীলাভ এনভেলাপে পুরে রাখা কেমন যেন বিষাদ হবি। মনিষা তুই কি আমার শুন্য বুকে দীর্ঘশ্বাসের বকুল হবি? নরম হাতের ছোঁয়া হবি? একটুখানি কষ্ট দিবি। নিজের ঠোট কামড়ে ধরা রোদন হবি? একটুখানি কষ্ট দিবি। প্রতীক্ষার এই দীর্ঘ হলুদ বিকেল বেলায় কথা দিয়েও না রাখা এক কথা হবি? একটুখানি কষ্ট দিবি। মনিষা তুই কি একা আমার হবি? মনিষা তুই কি আমার একান্ত এক দুঃখ হবি?
বেলা শেষে উদাস পথিক ভাবে,
মনিষা যেন কোন অনেক দূরে যাবে –
উদাস পথিক ভাবে।
‘ঘরে এস’ সন্ধ্যা সবায় ডাকে,
‘নয় তোরে নয়’ বলে একা তাকে;
পথের পথিক পথেই বসে থাকে,
জানে না সে কে তাহারে চাবে।
উদাস পথিক ভাবে।
বনের ছায়া গভীর ভালোবেসে
আঁধার মাথায় দিগবধূদের কেশে,
ডাকতে বুঝি শ্যামল মেঘের দেশে
শৈলমূলে শৈলবালা নাবে –
উদাস পথিক ভাবে।
বাতি আনি রাতি আনার প্রীতি,
বধূর বুকে গোপন সুখের ভীতি,
বিজন ঘরে এখন সে গায় গীতি,
একলা থাকার গানখানি সে গাবে-
উদাস পথিক ভাবে।
হঠাৎ তাহার পথের রেখা হারায়
গহন বাঁধায় আঁধার-বাঁধা কারায়,
পথ-চাওয়া তার কাঁদে তারায় তারায়
আর কি পূবের পথের দেখা পাবে
উদাস পথিক ভাবে।