দুনিয়াতে আল্লাহ মানুষ পাঠিয়েছেন পরীক্ষা করার জন্য। বিভিন্ন মানুষকে বিভিন্ন ভাবে পরীক্ষা করেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “এবং অবশ্যই আমি তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, সম্পদ ও জীবনের ক্ষতি এবং ফল- ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও ধৈর্য ধারনকারীদের।” সুরা আল-বাক্বারাহ, আয়াত ১৫৫। সুতরাং অনেক মানুষ বিকলাঙ্গ হয়ে জন্ম গ্রহন করে এটা আল্লাহর একটা পরীক্ষা, যদি এত ধৈর্য ধারন করতে পারে তাহলে পরকালে জান্নাত পাবে। যেমন এক হাদীসে এসেছে, হযতর আবু মুসা আশআরি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছে, যদি কোনো লোকের সন্তানের মৃত্যু হয় তখন আল্লাহ তাআলা ফিরিশতাদের জিজ্ঞাসা করেন, তোমরা কি আমার বান্দার শিশুর রুহ কবজ করেছ? ফিরিশতাগণ আরজ করেন, জী হ্যাঁ, অতপর আল্লাহ জিজ্ঞাসা করেন, তোমরা কি আমার বান্দার শান্তি ছিনিয়ে এনেছ? তারা উত্তরে বলেন, হ্যাঁ। তখন আল্লাহ জানতে চান, এ সময় আমার বান্দা কি বলেছে, ফিরিশতাগণ বলেন সে ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন।’ পড়েছে। এবং আপনার হামদ ও প্রশংসা করেছে। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দার জন্য জান্নাতে একটি গৃহ তৈরি কর আর এর নাম বাইতুল হামদ রাখ। (তিরমিজি, তাফসিরে রুহুল মাআনী)। আল্লাহ আমাদের সকল বিপদে ধৈর্য ধারন করার তাওফিক দান করুক। ( আমিন)
আল্লাহ মানুষকে সর্বোচ্চ মহব্বত করে সৃষ্টি করেছেন শাস্তি দেওয়ার জন্য? কখনোই নয়।
শাস্তিতো দেয় আল্লাহর বিধান/আইন। যখন বিধান অনুযায়ী অন্যায় সাব্যস্থ হয় তখন শাস্তি পেতেই হবে। কেননা আপনাকে যদি ক্ষমা করে দেওয়া হয় তাহলে, আরেক জন, তাকেওতো ক্ষমা করতে হবে, কারণ আল্লাহর কাছে তার সকল বান্ধা সমান।
আর আল্লাহর আইন আল্লাহ নিজেই মানেন, কেননা আপনি একটু চিন্তা করলে দেখতে পারবেন যে সমস্ত সৃষ্টি প্রাকৃতিক নিয়মেই চলছে, কেউ কিন্তু কখনো নিয়মের বাহিরে যায়না। সূর্য প্রতিদিন একই নিয়মে উঠে এবং অস্ত যায়।
সুতরাং সাবধান: আল্লাহর আইনে ধরা পড়লে আপনাকে শাস্তি পেতেই হবে, কোন ক্ষমা নাই। হয়ত আপনাকে অবকাশ দেওয়া যাইতে পারে কিন্তু ক্ষমা পাবেন না। কর্মফল আপনার পিছু ছাড়বে না। কর্মফল ভোগ করতেই হবে। (পরমানু পরিমাণ নেক আমল করলে সে তা দেখতে পাবে এবং পরমানু পরিমাণ বদ আমল করলেও সে তাহা দেখতে পাবে)
আর কর্মের জন্য মানুষ নিজেই দায়ী, শয়তান নয়। কেননা মানুষকে স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি দেওয়া হয়েছে।