লাভনী তুমি আমার বুকের আজানার
হাতছানি
মাঝরাতে বৃষ্টির শব্দ, প্রিয় চাহনি!!
তুমি শিশির ভেজা ফুলের একরাশ,
তুষার তনু মনে, তুমি উষ্ণ পরশ!!
তুমি প্লাবিত জল, কুয়াশাঢাকা শীতের চাদর
ভালবাসার আহবানে সিক্ত হেয়ালী অধর!!
তুমি শ্রাবণ সন্ধ্যা, প্রিয় উপন্যাস,
ভাললাগার ক্ষণ, কষ্টের চাপা দীর্ঘশাস!!
তুমি অস্তমিত সূ্র্য্য, স্রোতসিনী ঝরণা,
না পাওয়ার বুকে তুমি, শুকিয়ে যাওয়া কান্না!!
তুমি আমার বুকের গহিনে বয়ে যাওয়া নদী,
স্বচ্ছতার আলাপন,
তুমি আমার মন আমার অচেনা পৃথীবিতে
একান্ত চেনা আপন জন!!
লাবোনি করুণা করে হলেও চিঠি দিও, খামে ভরে তুলে দিও আঙ্গুলের মিহিন সেলাই ভুল বানানেও লিখো প্রিয়, বেশি হলে কেটে ফেলো তাও, লাবোনি এটুকু সামান্য দাবি, চিঠি দিও, তোমার শাড়ির মতো অক্ষরের পাড়-বোনা একখানি চিঠি। চুলের মতন কোনো চিহ্ন দিও বিস্ময় বোঝাতে যদি চাও … লাবনি বর্ণণা আলস্য লাগে তোমার চোখের মতো চিহ্ন কিছু দিও! আজো তো অমল আমি চিঠি চাই, পথ চেয়ে আছি, আসবেন অচেনা রাজার লোক তার হাতে চিঠি দিও, বাড়ি পৌঁছে দেবে …. এমন ব্যস্ততা যদি শুদ্ধ করে একটি শব্দই শুধু লিখো, তোমার কুশল! … লাবোনি করুণা করে হলেও চিঠি দিও, ভুলে গিয়ে ভুল করে একখানি চিঠি দিও খামে কিছুই লেখার নেই তবু লিখো একটি পাখির শিস একটি ফুলের ছোট নাম, টুকিটাকি হয়তো হারিয়ে গেছে কিছু, হয়তো পাওনি খুঁজে সেইসব চুপচাপ কোন দুপুরবেলার গল্প খুব মেঘ করে এলে কখনো কখনো বড় একা লাগে, তাই লিখো লাবোনি করুণা করে হলেও চিঠি দিও, মিথ্যা করে হলেও বোলো, ভালবাসি