শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

খুব সহজ করে বলতে গেলে হাতের লেখা সুন্দর করা মোটেও কঠিন নয়। কয়েকটা ধাপে কিছু সময় অনুশীলন করলেই এর অনেক ভাল ফল পাওয়া যাবে। নিশ্চিত। ধাপসমুহ আমি নিচে বিস্তারিত বর্ননা করছি… বর্নমালা অনুশীলনঃ আপনি প্রতিটি বর্ন কিভাবে লিখবেন তা আপনাকে প্রথমেই সিলেক্ট করে নিতে হবে। আপনারা হয়ত দেখেছেন কেজি স্কুলের শিক্ষার্থীদের ডট পদ্ধতি কিংবা বর্ন দেখে তার পাশে বর্ন লেখা পদ্ধতিতে হাতের লেখা অনুশীলন করানো হয়। এই পদ্ধতিটি অনেক কার্যকরি। আপনি যদি একটি বর্ন সুন্দর করে দ্রুত লিখতে পারেন তবেই আপনি সুন্দর লেখা লিখতে পারবেন। যদি বর্ন দেখে বর্ন লেখার ক্ষেত্রে অক্ষরগুলো আঁকাবাকা কিংবা খুব বেশি হেলে দুলে যায় তবে ডট পদ্ধতি আবশ্যক। হাতের লেখা সুন্দর করা নিয়মের একটা রুপ মাত্র। সোজা করে লেখা অনুশীলনঃ লেখা যদি সোজা না হয় তবে অনেক সমস্যা। একটি লেখা দেখতে সুন্দর দেখায় তখনি যখন সব লেখাগুলো সোজা সাজানো থাকে। বর্ন সোজা করার জন্য নিয়মিত ডট পদ্ধতি অনুশীলন করতে হবে। আর লাইন সোজা করার জন্য রুলার কিংবা রুল পেপারে লিখতে হবে। ইংরেজি লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই রুল পেপারে লিখে অনুশীলন করতে হবে। নিয়মিত লেখা অনুশীলনঃ এলোমেলো কোন কিছু নয়, চাই নিয়মিত। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় থাকতে হবে লেখা অনুশীলনের। এই কাজ খুব মনোযোগ আর ধৈর্যের সাথে করতে হবে। প্রতিদিন দশপাতা লিখলে অনেক সহায়ক হতে পারে। স্পষ্ট অক্ষরে লেখাঃ বর্নমালা অনুশীলনের উদ্দ্যেশ্যই ছিল স্পষ্ট লেখা। যদিও অনেকেই দ্রুত লিখতে গিয়ে বর্নকে বিকৃত রুপে উপস্থাপন করেন। তাই যদি কোন বর্ন কেউ না বুঝতে পারে তবে তার প্রতি জোর দিন। যার লেখা যত দ্রুত পড়া যায় (লেখক ব্যতিত অন্য কেউ পড়তে হবে) তার লেখার মুল্য তত বেশি। তাই লেখার মুল উদ্দ্যশ্য যখন অন্যকে দিয়ে পড়ানো তখন পাঠকের কথাই মাথায় রাখবেন। স্পষ্ট করে লিখবেন। মনোযোগী হওয়াঃ কি লিখছেন তার দিকে মনোযোগী হতে হবে। আপনি লিখছেন একটি বাক্য। কিন্তু ভুলে যাবেন না আপনি খুব দ্রুত কিছু বর্ন লিখছেন। যখনি বর্ন লিখছেন তখনি আপনাকে আবারো মনে রাখতে হবে আপনি ঠিক কোন কাঠামোর বর্নটি লিখছেন। এই খুটিনাটি বিষয় নিয়েই হচ্ছে আপনার হাতের লেখা সুন্দর করার সর্বোচ্চ চেষ্টা। সময় ব্যয় এবং টাইম ফ্রেম নির্ধারনঃ আপনি একদিনে হাতের লেখা পাল্টাবেন? পারবেন না। এটা এতটাই সহজ কিছু নয়। এর জন্য আপনাকে একটি টাইম ফ্রেম বেঁধে দিতে হবে। আমি সবসময় নতুনদেরকে একমাস সময় নিতে বলি। এবং প্রতিদিন একঘন্টা। যদি কেউ এর কম সময় দেন এবং পিছিয়ে আসেন তবে তিনি সত্যিই চেষ্টা করেন নি। অনেকের ক্ষেত্রে আর আগেই হয়, কন্তু বেশিরভাগ মানুষ এর চেয়ে বেশি সময় নিয়েছেন। বেশি করে পড়ুন এবং দ্রুত পড়ুনঃ আপনি যখন লিখবেন তখন পড়াটাও জরুরী। তবে নিজের লেখাটাই পড়ুন একটু বেশি। দ্রুত পড়ুন। অন্যকে দিয়েও পড়ান। যদি বেশি করে পড়েন তবে নিজের কোথায় ভুল হচ্ছে তা বুঝতে পারবেন। দ্রুত পড়তে গেলে বুঝতে পারবেন আপনি কোথায় অস্পষ্ট করে লিখেছেন। সহকর্মী কিংবা বন্ধুকে দিয়ে পড়ান। দেখুন তারা দ্রুত পড়তে পারে কি না। যদি পারে তবেই বুঝবেন উন্নতি হচ্ছে। কিছু সহজ নিয়ম মেনে চলুনঃ লেখায় ভুল হয়, এই ভুলের মাত্রা কমানোর চেষ্টা করুন। কাটাকাটি করা মানুষের অনেক পুরনো অভ্যাস। তাই একটানে কেটে আবার লিখুন। কাগজের একপাশে খালি জায়গা রেখে লেখা শুরু করুন। এই খালি যায়গা হচ্ছে মার্জিন। বাম ডান এবং উপর নিচে যথেষ্ট জায়গা রাখুন। অভার রাইটিং কখনোই করবেন না। এটা বিরক্তিকর। ভাল কলমে লিখুন। খারাপ কলমে দ্রুত লেখা যায় না। আরো অনেক বিষয় আছে যা লিখতে গেলে আপনার নিজে থেকে চলে আসবে। একসময় আপনাকে সুন্দর এবং দ্রুত লেখা দিয়ে কেউ পিছে টানতে পারবে না। আজি শুরু করুন আপনার অনুশীলন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

একটু লেখার পর পর হাত সরাতে হবে। প্রয়োজনে রুল আর স্কেল দিয়ে মিশা মিশা দাগ টেনে নিতে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

নিচে কিছু টিপস দেয়া হলঃ ১. পরিষ্কার করে বর্ণ লিখতে চেষ্টা করুন। যেন বর্ণ দেখে বুঝা যায় এটা কোন বর্ণ। ২. শব্দ লেখার সময় বর্ণগুলো ফাঁকা করে না লিখে ঘন করে লিখুন। ৩. বাক্য লেখার সময় শব্দের মাঝে অন্তত দুই বর্ণ পরিমাণ ফাঁকা জায়গা রাখুন। যাতে শব্দগুলো পরস্পর লেগে না যায়। শব্দ পরস্পর লেগে গেলে বাক্য বোঝা যায় না। ৪. প্রতিটি বর্ণ একই আয়তনের লিখতে চেষ্টা করুন। লেখার মাঝে ছোট-বড় বর্ণ লিখলে তা দেখতে খারাপ লাগে। ৫. লেখার মাঝে যদি কোন ভুল ধরা পড়ে তাহলে উল্টা-পাল্টাভাবে না কেটে শব্দের মাঝে সমানভাবে একটি দাগ দিয়ে কেটে ফেলুন। তারপর পাশেই শব্দটি শুদ্ধ করে আবার লেখুন। ৬. প্রতিটি শব্দ খুব যত্নের সঙ্গে লিখতে হবে। ৭. লেখার সময় কলমটা এমনভাবে ধরতে হবে যাতে করে লেখার সময় কোন সমস্যা সৃষ্টি না হয়। ৮. হাতের লেখা সুন্দর হওয়ার ক্ষেত্রে পছন্দের কলম কিংবা প্রেন্সিলও অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে। তাই লেখার সময় পছন্দের কলম কিংবা প্রেন্সিল ব্যবহার করুন। ৯. প্রথমত আস্তে আস্তে লেখার অভ্যাস করুন। যখন বর্ণগুলো আপনার আয়ত্তে চলে আসবে তখন দ্রুত লেখার চেষ্টা করুন। ১০. লেখার সময় মার্জিন যেন বাঁকা-তেড়া না হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। ১১. লেখার স্টাইল বা ধরন একই রকম রাখতে হবে। লেখার মাঝে ধরন পরিবর্তন করলে দেখতে বাজে লাগে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Yakub Ali

Call

image

প্রথমেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হোন- ‘হাতের লেখা সুন্দর করবো।’ ইচ্ছা অনুযায়ী এবার নিজেকে সেই কাজে মনোনিবেশ করতে হবে। এজন্য একটি সুন্দর হাতের লেখা বাছাই করুন। যে লেখা অনুসরণ করে লেখা হবে। কাছাকাছি এমন কাউকে খোঁজে বের করুন, যার হাতের লেখা সুন্দর। এরপর তার কাছে একটি পৃষ্ঠা হাতে লিখে নিন। মোটামুটি এক পৃষ্ঠায় বাংলা বর্ণমালার সব অক্ষরই থাকে। আর না থাকলেও সমস্যা নেই। আর কাছে কাউকে না পাওয়া গেলে অন্য কোনোভাবে একটি সুন্দর হাতের লেখা সংগ্রহ করুন।


সুন্দর হাতের লেখা তো সংগ্রহ হলো। এবার সেই লেখাটি ভালোভাবে খেয়াল করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী হাতের লেখা লিখতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি অক্ষরকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।


প্রথম দিকে আস্তে আস্তে লিখতে হবে। লেখার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করা যাবে না। প্রয়োজনে যত সময় লাগে লাগুক, কিন্তু অনুসরণ করা লেখাটির মতো হুবহু সুন্দর করে লেখার চেষ্টা করুন।


লেখা বাঁকা হয়ে যেতে পারে। তাই প্রথমে দাগ কাটা (দাগ টানা) খাতায় লিখুন। এতে হাতের লেখাটা সোজা হবে, বেঁকে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। স্টেশনারিতে দাগ কাটা দিস্তা খাতা কিনতে পাওয়া যায়।


লেখার সময় দেখতে হবে, কোনো অক্ষর যেন অন্যটির চেয়ে ছোট-বড় না হয়। প্রতিটি অক্ষর সমান উচ্চতা ও স্পেস নিয়ে লেখার চেষ্টা করুন।


প্রতিদিন কম করে হলেও পাঁচ পৃষ্ঠা লিখুন। একদিন দশ পৃষ্ঠা লিখে অন্যদিন লিখবেন না, এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। নিয়মিতভাবে লিখতে হবে। যত বেশি লেখা যায়। তবে পাঁচ পৃষ্ঠার কম যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।



হাতের লেখা সুন্দর করার চেষ্টা শুরুর পর সব ধরণের লেখাকে সে অনুযায়ী (নতুন পদ্ধতি) লিখতে হবে। ক্লাসের পড়া হোক, ক্লাসের বাইরে খেলতে গিয়ে ক্রিকেট স্কোর হোক আর বাজারের লিস্ট-ই হোক, লিখতে হবে অনুসরণ করা লেখাটির মতো করেই। পুরাতন পদ্ধতির লেখার অভ্যাসগুলো ত্যাগ করতে হবে।


একই ধরণের কলম দিয়ে লেখার চেষ্টা করুন। জেল পেন (জেল কলম) পরিহার করে বলপয়েন্ট কলম ব্যবহার করুন। বাজারে এখন পাঁচ টাকা মূল্যের অনেক ভালো কলম পাওয়া যায়।


হাতের লেখা সুন্দর না হওয়া পর্যন্ত চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ধৈর্য্য হারালে চলবে না। যতদিন হাতের লেখা হুবহু সুন্দর না হচ্ছে, ততোদিন চেষ্টা চালাতে হবে। তবে দুই থেকে তিন মাস নিয়মিত লিখলে হাতের লেখা সুন্দর হতে বাধ্য।


হাতের লেখা সুন্দর হওয়ার পর লেখার গতি বাড়ানোর চেষ্টা করুন। আগে তো আস্তে আস্তে সুন্দর করে লিখতেন। এবার তার থেকে কম সময়ে লেখাটি শেষ করার চেষ্টা করুন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, দ্রুত লিখতে গিয়ে যেন লেখার সৌন্দর্য কমে না যায়। এভাবে কিছুদিন চেষ্টা করলে দেখা যাবে, হাতের লেখা সুন্দরও হচ্ছে এবং অনেক দ্রুততার সঙ্গেই লেখা সম্ভব হচ্ছে।


চেষ্টা করলে সম্ভব নয়, এমন কাজ খুব কমই আছে পৃথিবীতে। আর হাতের লেখা তো চেষ্টা আর সময়ের ব্যাপার।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Manik Raj

Call

(প্রিয়.কম) সুন্দর হাতের লেখার কদর সবার কাছেই আছে। বিশেষ করে যাদের হাতের লেখা খুব একটা সুন্দর নয় তারা সারাটা জীবনই আফসোস করেন নিজের হাতের লেখা নিয়ে। অবশ্য যারা আফসোস করেন, তারা নিজেরা হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য কখনই চেষ্টা করেননি। কেবল সহপাঠীর সুন্দর লেখা দেখে হিংসায় জ্বলেছেন আর মনে মনে বলেছেন- একদিন আমিও দেখিয়ে দিব! কিন্তু সেই একদিন হয়তো কারো কারো জীবনে এসেছে। যারা চেষ্টা করেছেন, তারা সত্যিই দেখিয়ে দিতে পেরেছেন। আর যারা চেষ্টা করেননি, তারা আজ অবধি আফসোসই করেন কেবল। কিন্তু চেষ্টা করলে সবই সম্ভব। সবচেয়ে খারাপ হাতের লেখাকে সবচেয়ে সুন্দর হাতের লেখায় পরিণত করা কেবল সময়ের ব্যাপার। এজন্য প্রয়োজন প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি আর সাধনা। এই যেমন আমার হাতের লেখাটাও ছিল আর দশজনের মতো। কেমন একটা বাঁকা বাঁকা হতো লেখাগুলো। ক্লাস এইট পর্যন্ত আমার হাতের লেখা ছিল কোনোরকম আর কি! হাতের লেখা সুন্দর করা দরকার, এই ভাবনা থেকেই লেখা সুন্দর করার চেষ্টা শুরু। এক পর্যায়ে হাতের লেখা কিছুটা সুন্দর হলো। এই যেমন পরীক্ষার সময় হলের পরীক্ষক পাশে দাঁড়িয়ে থেকে হাতের লেখাটাই দেখতেন দীর্ঘ সময়। আমারও ভাবতে ভালো লাগতো বিষয়টি। যাই হোক, এবার আসল কথায় আসি। হাতের লেখা সুন্দর করার বিষয়টি এখানে মুখ্য।

সুন্দর হাতের লেখার জন্য পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়া যায়। স্বাভাবিকভাবেই একশ’ খাতার ভেতরে যেটার হাতের লেখা সুন্দর, শিক্ষক সেটির দিকে একটু অন্যভাবে নজর দেবেন! তাছাড়া বন্ধুদের মাঝে সুন্দর হাতের লেখার জন্য সুনামও কুড়ানো যায়। এমন কী বড় ভাইদের প্রেমিকার কাছে চিঠি লিখতেও ডাক পড়ে তার, যার হাতের লেখা সুন্দর!

হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য কোনো বয়সের প্রয়োজন নেই। অনেকেই বলে- আমি তো কলেজে পড়ি কিংবা ভার্সিটিতে পড়ি, এখন আর হাতের লেখা সুন্দর করা সম্ভব নয়। কিন্তু ধারণাটি ভুল ছাড়া আর কিছু নয়। হাতের লেখা যেমন অনেক ছোট থাকতে সুন্দর করা যায়, তেমনই বুড়ো বয়সেও সুন্দর করে লেখা যায়। এজন্য সবার আগে প্রয়োজন ইচ্ছাশক্তি। হাতের লেখা সুন্দর করতে প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি আপনাকে একধাপ এগিয়ে রাখবে।

image

প্রথমেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হোন- ‘হাতের লেখা সুন্দর করবো।’ ইচ্ছা অনুযায়ী এবার নিজেকে সেই কাজে মনোনিবেশ করতে হবে। এজন্য একটি সুন্দর হাতের লেখা বাছাই করুন। যে লেখা অনুসরণ করে লেখা হবে। কাছাকাছি এমন কাউকে খোঁজে বের করুন, যার হাতের লেখা সুন্দর। এরপর তার কাছে একটি পৃষ্ঠা হাতে লিখে নিন। মোটামুটি এক পৃষ্ঠায় বাংলা বর্ণমালার সব অক্ষরই থাকে। আর না থাকলেও সমস্যা নেই। আর কাছে কাউকে না পাওয়া গেলে অন্য কোনোভাবে একটি সুন্দর হাতের লেখা সংগ্রহ করুন।

সুন্দর হাতের লেখা তো সংগ্রহ হলো। এবার সেই লেখাটি ভালোভাবে খেয়াল করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী হাতের লেখা লিখতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি অক্ষরকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।

প্রথম দিকে আস্তে আস্তে লিখতে হবে। লেখার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করা যাবে না। প্রয়োজনে যত সময় লাগে লাগুক, কিন্তু অনুসরণ করা লেখাটির মতো হুবহু সুন্দর করে লেখার চেষ্টা করুন।

লেখা বাঁকা হয়ে যেতে পারে। তাই প্রথমে দাগ কাটা (দাগ টানা) খাতায় লিখুন। এতে হাতের লেখাটা সোজা হবে, বেঁকে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। স্টেশনারিতে দাগ কাটা দিস্তা খাতা কিনতে পাওয়া যায়।

লেখার সময় দেখতে হবে, কোনো অক্ষর যেন অন্যটির চেয়ে ছোট-বড় না হয়। প্রতিটি অক্ষর সমান উচ্চতা ও স্পেস নিয়ে লেখার চেষ্টা করুন।

প্রতিদিন কম করে হলেও পাঁচ পৃষ্ঠা লিখুন। একদিন দশ পৃষ্ঠা লিখে অন্যদিন লিখবেন না, এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। নিয়মিতভাবে লিখতে হবে। যত বেশি লেখা যায়। তবে পাঁচ পৃষ্ঠার কম যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।

image

হাতের লেখা সুন্দর করার চেষ্টা শুরুর পর সব ধরণের লেখাকে সে অনুযায়ী (নতুন পদ্ধতি) লিখতে হবে। ক্লাসের পড়া হোক, ক্লাসের বাইরে খেলতে গিয়ে ক্রিকেট স্কোর হোক আর বাজারের লিস্ট-ই হোক, লিখতে হবে অনুসরণ করা লেখাটির মতো করেই। পুরাতন পদ্ধতির লেখার অভ্যাসগুলো ত্যাগ করতে হবে।

একই ধরণের কলম দিয়ে লেখার চেষ্টা করুন। জেল পেন (জেল কলম) পরিহার করে বলপয়েন্ট কলম ব্যবহার করুন। বাজারে এখন পাঁচ টাকা মূল্যের অনেক ভালো কলম পাওয়া যায়।

হাতের লেখা সুন্দর না হওয়া পর্যন্ত চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ধৈর্য্য হারালে চলবে না। যতদিন হাতের লেখা হুবহু সুন্দর না হচ্ছে, ততোদিন চেষ্টা চালাতে হবে। তবে দুই থেকে তিন মাস নিয়মিত লিখলে হাতের লেখা সুন্দর হতে বাধ্য।

হাতের লেখা সুন্দর হওয়ার পর লেখার গতি বাড়ানোর চেষ্টা করুন। আগে তো আস্তে আস্তে সুন্দর করে লিখতেন। এবার তার থেকে কম সময়ে লেখাটি শেষ করার চেষ্টা করুন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, দ্রুত লিখতে গিয়ে যেন লেখার সৌন্দর্য কমে না যায়। এভাবে কিছুদিন চেষ্টা করলে দেখা যাবে, হাতের লেখা সুন্দরও হচ্ছে এবং অনেক দ্রুততার সঙ্গেই লেখা সম্ভব হচ্ছে।

চেষ্টা করলে সম্ভব নয়, এমন কাজ খুব কমই আছে পৃথিবীতে। আর হাতের লেখা তো চেষ্টা আর সময়ের ব্যাপার। সুন্দর হাতের লেখা তিন আঙুলের হস্তশিল্পও বটে। এই কারিশমা আয়ত্ব করতে তবে আর দেরি কেন? এখনই বসে পড়ুন কাগজ-কলম হাতে। আর তাক লাগিয়ে দিন আপনার পরিচিতজনদের।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ