একটি হাতের সুন্দর লেখার রিফ্লেটে কিছু আর্কষণীয় উক্তিবাক্য প্রযোজন। একটু হেল্প পরবেন?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

পরীক্ষায় ভাল নম্বর পাওয়ার অন্যতম প্রধান প্রভাবক সুন্দর হাতের লেখা। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে- “আগে দর্শনদারি পরে গুণবিচারি”। অর্থাৎ প্রথমে দর্শনে ভাল হতে হবে, পরে গুণের বিবেচনা। প্রবাদটি সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না হলেও, মানুষ জন্মগতভাবে সুন্দরের পূজারী। তাই সুন্দরের প্রতি সবার একটা আলাদা আকর্ষণ থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। আর তাই পরীক্ষার খাতায় হাতের লেখা সুন্দর হলে সে খাতার প্রতি পরীক্ষকের একটা আলাদা আকর্ষণ সৃষ্টি হয়। এছাড়াও সুন্দর হাতের লেখা, পরীক্ষার্থী যে পড়াশোনায় মনোযোগী, যত্নশীল ও পরিশ্রমী তাও প্রমাণিত হয়। একজন আদর্শ শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে এ বিষয়গুলোই প্রত্যাশা করে থাকেন। সর্বোপরি সুন্দর হাতে লেখা পরীক্ষার্থী সম্পর্কে একটা ইতিবাচক ধারণা তৈরি করে যার প্রভাব পরে সম্পূর্ণ খাতা মূল্যায়নের উপর।


একটি উদাহরণ থেকে বিষয়টি সহজেই উপলদ্ধি করা যায়। যেমন- পাঁচ নম্বরের একটি প্রশ্নের একই উত্তর করে, একটি খারাপ হাতের লেখার উত্তরপত্রের চেয়ে একটি সুন্দর হাতের লেখার উত্তরপত্রের নম্বর যদি আধা নম্বরও বেড়ে যায়, তবে পঞ্চাশ পূর্ণমানের একটি পরীক্ষায় উভয় উত্তরপত্রের নম্বরের ব্যবধান হয় পাঁচ। অর্থাৎ একই উত্তর করে খারাপ হাতের লেখার উত্তরপত্র ৩৫ পেলে ভাল হাতের লেখার উত্তরপত্র পাবে ৪০ নম্বর। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, সুন্দর হাতের লেখা ‘এ প্লাস’ পাওয়া না পাওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। তাই পরীক্ষায় ভাল ফলাফলে সুন্দর হাতের লেখার গুরুত্ব অপরিসীম।


এবার আমরা জেনে নেই কিভাবে হাতের লেখা সুন্দর করা যায়। নাচ, গান, ছবি আঁকা বা জ্ঞান অর্জনের মতো সুন্দর হাতে লেখাও একটি সাধনার বিষয়। প্রথমেই একজন শিক্ষার্থীকে হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে এবং চালিয়ে যেতে হবে সাধনা। পাঠ্যবই বা পত্রপত্রিকায় আমরা যে ছাপার অক্ষর দেখি তা দেখতে সুন্দর লাগে, তার প্রধান কারণ হচ্ছে ছাপার বর্ণগুলোর আকার ও আকৃতি একই ধরনের। এ বিষয়টিই সুন্দর হাতের লেখার গোপন সূত্র। অর্থাৎ সুন্দর হাতের লেখার পূর্বশর্তই হচ্ছে, বর্ণগুলোর আকার ও আকৃতি যতটা সম্ভব সমান অর্থাৎ একই রকমের হতে হবে। বিষয়টি একদিনে অর্জন করা সম্ভব নয়। প্রতিদিন যত্নের সাথে চর্চা করতে করতে একসময় আয়ত্তে চলে আসবে। শুরুর দিকে এতে করে হাতের লেখার গতি কমে যেতে পারে, কিন্তু তাতে হতাশ না হয়ে চর্চা চালিয়ে গেলে অল্পদিনেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব।


এছাড়াও আর যেসব বিষয় সুন্দর হাতের লেখার সাথে সম্পর্কিত সেগুলো হচ্ছে-


উভয় শব্দের মাঝের স্পেস বা ফাঁকা স্থান সবসময় সমান হতে হবে।

লেখার লাইন সোজা হতে হবে এবং উভয় লাইনের মাঝের দূরত্ব যথেষ্ঠ এবং সব সময় একই রকম রাখতে হবে।

প্রয়োজনীয় পয়েন্টসহ প্যারা করে লিখতে হবে এবং উভয় প্যারার মাঝের দূরত্ব লাইনের মধ্যবর্তী দূরত্বের দ্বিগুণ হবে।

পারতপক্ষে কাটাকাটি করা যাবে না। যদি ভুল বশত একান্তই কাটতে হয় তবে একটানে কেটে দিয়ে নতুন করে লিখতে হবে। কাটাকাটি শুধু সৌন্দর্যকেই নষ্ট করে না, পরীক্ষার্থী সম্পর্কে একটি নেতিবাচক ধারণা তৈরী করে।

এতটা দেবে বা চেপে লেখা উচিৎ নয় যার ছাপ পরের পৃষ্ঠায় যেয়ে পরে। এতে পরের পৃষ্ঠায় আঁকা চিত্র ও লেখার সৌন্দর্য্য নষ্ট হতে পারে। এক্ষেত্রে অল্প ব্যবহৃত কলম ব্যবহার করা সুবিধাজনক।

পৃষ্ঠার চারিপাশে অর্থাৎ ডানে-বামে ও উপরে-নীচে এক ইঞ্চি পরিমাণ মার্জিন রাখতে হবে। মার্জিন পেন্সিল বা হালকা বর্ণের সাইন পেন ব্যবহার করে দেয়া যেতে পারে, তবে কখনোই লাল বা এ জাতীয় রং ব্যবহার করা যাবে না। মার্জিন অবশ্যই সোজা একই রকম ও যত্নের সাথে টানতে হবে।

মার্জিনের বাইরে কোন কিছু লেখা যাবে না। প্রতিটি উত্তরের শুরুতে যথাযথ ও সঠিক প্রশ্নের নম্বর লিখে আন্ডারলাইন বা হাইলাইট করে উত্তর শুরু করতে হবে। যেমন- ১ নম্বর প্রশ্নের ক্ষেত্রে “১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর” লিখে আন্ডারলাইন বা হাইলাইট করে দিতে হবে, এক লাইন পরিমাণ স্থান ফাঁকা রেখে উত্তর শুরু করতে হবে। একটি প্রশ্নের একাধিক অংশ থাকলে প্রতিটি অংশ ধারাবাহিক ভাবে একই সাথে লেখা অতি উত্তম এবং একাধিক অংশের মাঝে কমপক্ষে দুই লাইন পরিমাণ স্থান ফাঁকা রাখতে হবে।

প্রশ্নের উত্তর পৃষ্ঠার শুরুতেই শুরু করা ভাল। তবে মাঝামাঝিতেও শুরু করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে উভয় উত্তরের মাঝে চার লাইন পরিমাণ স্থান ফাঁকা রাখতে হবে। কখনই পৃষ্ঠার নীচের দিকে উত্তর শুরু করা উচিত নয়।

যত্নের সাথে চিত্র এঁকে এর ডানপাশে একই কলামে লেবেলিং বা চিহ্নিত করতে হবে। প্রতিটি চিত্রের সাথে শিরোনাম দেয়া বাধ্যতামূলক। সাধারণত ‘টু-বি’ পেন্সিলে চিত্র আঁকা ভাল। প্রয়োজনবোধে রং পেন্সিল ব্যবহার করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে যুক্তিসঙ্গত রং ব্যবহার করতে হবে। তবে সাইন পেন ব্যবহার অনুচিত।

চিত্রসহ বর্ণনার ক্ষেত্রে এমনভাবে চিত্র আঁকতে হবে যেন চিত্রের বর্ণনা ঐ পৃষ্ঠাতেই লেখা সম্ভব হয়। এক্ষেত্রে খাতার বামপাশের পৃষ্ঠায় চিত্র এবং ডান পাশের পৃষ্

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ