.

আই বি এস IBS= irritable bowel syndrome! পেটের অস্বস্তিকর অসুখ কে আই বি এস বলে।


আই বি এসের লক্ষণ, উপসর্গঃ

তলপেটে ব্যথা হয়। ব্যথা মোচড় দিয়ে শুরু হয় এবং পায়খানা করার পর ব্যথা কমে যায়।
ঘন ঘন টয়লেটে যেতে হয়।

পেটের মধ্যে সারা দিন বুদবুদ আওয়াজ হতে থাকে। মনে হয় পেটের মধ্যে গ্যাস ভরে আছে।
কখনো পাতলা পায়খানা, কখনো কষা পায়খানা (কনস্টিপেশন) হয়। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে সব সময় পাতলা পায়খানা বা কষা পায়খানা হয়।
যাদের সব সময় পাতলা পায়খানা হয় তাদের ক্ষেত্রে প্রথমে পেটে ব্যথা হয় এবং পরে পাতলা পায়খানা হওয়ার পর তা কমে আসে। ঘন ঘন বাথরুমে যেতে হয় এবং প্রতিবার খুব অল্প পরিমাণে পায়খানা হয়।



পায়খানার সময় প্রচুর পরিমাণে আম বা মিউকাস যায়। আম যায় বলে অনেকে অজ্ঞতাবশত একে আমাশয় বলে।

যাদের কষা পায়খানার প্রবণতা বেশি তারা পেটে ব্যথা নিয়ে টয়লেটে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলেও অতৃপ্তি নিয়ে টয়লেট থেকে বের হতে হয়।



পায়খানা সমস্যা থাকলেও এসব রোগীর ওজন তেমন হ্রাস পায় না।


পায়খানার সমস্যার পাশাপাশি এসব রোগীর ক্ষুধামন্দা, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, মাথা ব্যথা, পিট ব্যথা, অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যাওয়া.


যে কোন খাবার খেতে খুত খুতে ভাব মনে আসা।


Colonoscopy ও Endoscopy করলেও
কোন সমস্যা ধরা পড়েনা।

গ্যাস্ট্রো-লিভার বিশেষজ্ঞ/ হোমিওপ্যাথি/ আয়ুর্বেদিকেও এর কোন সমাধান পাওয়া যায় না।   না!!

এটি পরিপাকতন্ত্রের রোগ হলেও
প্রায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ রোগটি মানসিক চাপের কারণে আই বি এস ibs হয়ে থাকে।
যারা ডিপ্রেশন/ অবসেসন সমস্যা ভুগে তাদের
ক্ষেত্রে আই বি এসের উপসর্গ বেশী দেখা দেয়।


অনেকে কোথাও যাওয়ার কথা বা, বেড়াতে
বের হওয়ার চিন্তা করতেই টয়লেটের বেগ
হয়ে যায়।
অনেকে সকালে বাথরুম সেরে অফিসে যাওয়ার জন্য প্যান্ট-শার্ট পরেছেন অমনি দেখা যায়, তলপেট মোচড় দিয়ে ব্যথা ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে টয়লেটে দৌড়। দূরে কোথাও যাবেন তাই বাসে উঠেছেন। যখন মনে হবে বাসে তো বাথরুম করার সুযোগ নেই অমনি দেখবেন তলপেটে ব্যথা শুরু হয়ে গেছে। প্রস্রাব-পায়খানা যতোই পরীক্ষা করান না কেন এ ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা পাওয়া যাবে না। যারা সবসময় দুশ্চিন্তায় ভোগেন, স্ট্রেস যাদের নিত্যদিনের সঙ্গী তাদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়।

অনেক সময় কোথাও বেড়াতে যাবেন, অমনি
পেটের ভিতর মোচড় দিয়ে টয়লেটে..!!

পুকুরে ঢিল ছুড়লে পানি যেমন তরঙ্গের আকারে পাড়ের দিকে এগিয়ে যায়, পেটের নাড়িভুড়িও তেমনি তরঙ্গের আকারে খাদ্যজাত বর্জ্য পদার্থ পায়খানার আকারে বের করে দেয়। অন্ত্রের সংকোচন প্রসারণের মাধ্যমে এ গতিময় তরঙ্গ সৃষ্টি হয়। কোনো কারণে এ সংকোচন প্রসারণের পরিমাণ বেড়ে গেলে পাতলা পায়খানা এবং কমে গেলে কষা পায়খানা হতে পারে।  
কিছু মানুষ আছে যারা সামান্য কথাতেই মুখ গোমড়া করে গাল ফুলিয়ে বসে থাকে। তেমনিভাবে কোনো কারণে অন্ত্রের সংবেদনশীলতা বেড়ে গেলে ঘন ঘন পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।



ঔষধের নাম জানা থাকলেও আমি
প্রফেশনালী ডাক্তার নই তাই ঔষধদের নাম
লিখলাম না। এবং ঔষধ গুলো খেলে প্রচন্ড
ঘুম হয়।



আই বি এস থেকে মুক্তির জন্য উনার ঔষধ
ই যথেষ্ট!

ডাঃ জহির উদ্দীন আহমেদ, এমবিবিএস(ঢাকা), এমসিপিএস (সাইকি) ডিপিএম (আমেরিকা)  এমডি (আমেরিকা), এমপিএইচ (ক, সাইকি) পি এইচ ডি (আমেরিকা)
উনার পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খেলে
আই বি এস থেকে সুস্থ হয়ে যাবেন।

ঔষধ খাওয়া শুরুর কিছুদিন পর থেকেই
পৃথিবীর সব খাবার খেতে পারবেন।

চেম্বারঃ

ইউনাইটেড হাসপাতাল
রোড= 71 বাড়ি নং 15 গুলশান 2 ঢাকা 1212.
শনি, সোম, বুধবার, বিকাল 3 থেকে 6 টা।

উল্লেখ্য উনি আই বি এস রোগীদের কোন
টেস্ট দেয়না।
শুধু উনি ঔষধ দিবেন, সেগুলো নিয়ম
অনুযায়ী খাবেন।
আই বি এস থেকে সুস্থ হতে হলে এই শর্ত গুলো
মানতে হবেই হবেঃ
1) ঔষধ নিয়ম অনুযায়ী সকাল 7 টায় ও
সন্ধায় 7 টায় খালি পেটে খেতে হবে।
সকালে 9 টায় খেলেও অসুবিধা নেই তবে সন্ধা
7 টায় ই খেতে হবে।
2) ঔষধ 1 দিনের জন্য বন্ধ করা যাবেনা, যদি
কোন কারণে ডাক্তার দেখাতে না পারেন, তবুও
ঔষধ চলতেই থাকবে।
3) ঔষধ খাওয়াকালিন প্রচুর ঘুম হবে, তাই
ঘুম বেশি হলেও ডাক্তারের কাছে অভিযোগ
করবেন না।
4) মিরটাজাপাইন 30 এমজি  বা মিরটাজ 30এমজি
 নামের 1 টা
ডিপ্রেশনের ঔষধ দিতে পারে, না দিলে
ডাক্তার কে বলতে পারেন দেওয়ার জন্য, এই
ঔষধ দিলে খুব দ্রুতই আপনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
না দিলে অনেক দেরি হবে সুস্থ হতে, তবে ঘুম বেশি
হবে।
5) দীর্ঘমেয়াদী ঔষধ খেতে হবে 1 বছরের ও
বেশি বিরতিহীন ভাবে। 
6) যে কারো আই বি এস নিরাময়ে
আমিও আপনাদের সাহায্য করবো
টিপস দিবো মেসেজ করতে পারেন।



শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে