আমি বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে সরকারের কাছে কি কি সুযোগ সুবিদা পেতে পারি
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আপনি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে  সরকারের কাছে যেসব সুবিধা পাবেন সেগুলো হল :

বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশ সংবিধানে বর্ণিত মৌলিক অধিকার সমূহ বাংলাদেশ সংবিধানের তৃতীয় ভাগে ২৬নং অনুচ্ছেদ থেকে ৪৭নং অনুচ্ছেদ পর্যন্ত লিপিবদ্ধ আছে।  

 আইনের দৃষ্টিতে সমতা:
 সংবিধানের ২৭নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। 
ধর্ম প্রভৃতি কারনে বৈষম্য:
 সংবিধানের ২৮(১)নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কেবলমাত্র ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী,নারী পুরুষবা জন্মস্থানের কারনে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করবে না।
 নারী পুরুষের সমঅধিকার: 
সংবিধানের ২৮(২)নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বসত্মরে নারী পুরুষ সমান অধিকার লাভ করবে।
 সরকারী নিয়োগ লাভে সমতা:
 ২৯(১)নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রে কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকবে। 
২৯(২)নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কেবল ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠি, নারী পুরুষভেদে বা জন্মস্থানের কারনে কোন নাগরিক প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের অযোগ্য হবে না, কিংবা সেক্ষেত্রে তার প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করা যাবে না। 
আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার: 
৩১নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইনের আশ্রয় লাভ এবং আইনানুযায়ী ব্যবহার লাভ যে কোন স্থানে অবস্থানরত প্রত্যেক নাগরিকের এবং সাময়িকভাবে বাংলাদেশে অবস্থানরত অপরাপর ব্যক্তির অবিচ্ছেদ্য অধিকার। বিশেষত: আইনানুযায়ী ব্যতীত এমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না, যাতে কোন ব্যাক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির হানি ঘটে ।
জীবন ও ব্যাক্তি স্বাধীনতা লাভের অধিকার: 
৩২নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইনানুযায়ী ব্যতীত জীবন ও ব্যাক্তি স্বাধীনতা হতে কোন ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যাবে না গ্রেফতার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ: ৩৩(১)নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোন গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তিকে গ্রেফতারের কারন জ্ঞাপন না করে প্রহরায় আটক রাখা যাবে না এবং উক্ত ব্যাক্তিকে তার মনোনিত আইনজীবীর সাথে পরামর্শ ও তার দ্বারা আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার হতে বঞ্চিত করা যাবে না। গ্রেফতারকৃত ও প্রহরায় আটক প্রত্যেক ব্যক্তিকে গ্রেফতারের চবিবশ ঘন্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতে হবে এবং আদালতের আদেশ ব্যতীত তাকে উক্ত সময়ের অধিককাল আটক রাখা যাবে না। 
জবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধকরণ:
 ৩৪নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সকল প্রকার জবরদসিত্ম শ্রম নিষিদ্ধ এবং এ বিধান কোনভাবে লঙ্ঘিত হলে তা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে। 
বিচার ও দন্ড সম্পর্কে : 
সংবিধানের ৩৫নং অনুচ্ছেদে 
ক) এক অপরাধের জন্য কোন ব্যক্তিকে একাধিকবার ফৌজদারীতে সোপর্দ ও দন্ডিত করা যাবে না।
 খ) ফৌজদারী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত প্রত্যেক ব্যাক্তি আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালত বা ট্রাইব্যুনালে দ্রুত ও প্রকাশ্যে বিচার লাভের অধিকারী।
 গ) কোন অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা যাবে না। 
ঘ) কোন ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দে’য়া, নিষ্ঠুর, অমানবিক বা লাঞ্চনাকর দন্ড দে’য়া যাবে না।
 চলাফেরার স্বাধীনতা: 
৩৬নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনস্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেদ সাপেক্ষে বাংলাদেশের সবত্র অবাধ চলাফেরা, দেশের যে কোন স্থানে বসবাস ও বসতি স্থাপন এবং বাংলাদেশে ত্যাগ ও বাংলাদেশে পুনঃপ্রবেশ করবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে।
 সমাবেশের অধিকার: 
৩৭নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হবার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে। 
সংগঠনের স্বাধীনতা: 
৩৮নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতার স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ সাপেক্ষে সমিতি বা সংঘ গঠন করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে। তবে শর্ত থকে যে নাগরিকদের মধ্যে ধর্মীয়, সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সম্পর্ক বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে এবং দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী বা জঙ্গী কার্য পরিচালনার উদ্দেশ্যে কোন সমিতি বা সংঘ গঠন করার অধিকার থাকবে না। 
চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা: 
৩৯নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী -- 
ক) চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়। 
খ) রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশী রাষ্ট্র সমূহের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা বা নৈতিকতার স্বার্থে এবং আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তি সঙ্গত বাধানিষেধ সাপেক্ষে
 (১) প্রত্যেক নাগরিকের বাকস্বাধীনতা ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে।
 (২) সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থাকবে। 
পেশা ও বৃত্তির স্বাধীনতা: 
৪০নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তি সঙ্গত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন আইনসঙ্গত পেশা বা বৃত্তি গ্রহণের এবং যে কোন আইনসঙ্গত কারবার বা ব্যবসা পরিচালনার অধিকার থাকবে। 
ধর্মীয় স্বাধীনতা: 
৪১নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন শৃঙ্খলা ও নৈতিকতার সাপেক্ষে ক)প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার থাকবে। 
খ) প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন, রক্ষা ও ব্যবস্থাপনার অধিকার থাকবে। 
সম্পত্তির অধিকার: 
৪২নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইনে আরোপিত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের সম্পত্তি অর্জন, ধারন, হসত্মামত্মর ও অন্যভাবে বিধিব্যবস্থা করার অধিকার থাকবে। আইনের কর্তৃত্ব ব্যতীত কোন সম্পত্তি বাধ্যতামূলকভাবে গ্রহণ, রাষ্ট্রায়ত্ব বা দখল করা যাবে না। 
গৃহ ও যোগাযোগ :
 ৪৩নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলা, জনগণের নৈতিকতা বা জনস্বার্থের প্রতিহুমকি সৃষ্টি না করলে কোন নাগরিকের গৃহে বলপূর্বক প্রবেশ, তলস্নাশি ও আটক করা যাবে না। এছাড়া ও প্রত্যেক নাগরিক তার চিঠিপত্রের অধিকার লাভ করবে।
 দায়মুক্তি বিধানের ক্ষমতা:
 ৪৬নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রে কর্মে নিযুক্ত কোন ব্যক্তি বা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কোন ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে কোন কিছু করে থাকলে জাতীয় সংসদ আইনের দ্বারা সেই ব্যক্তিকে দায়মুক্ত করতে পারবে।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ