প্রথমেই আপনাকে এর জন্যমুখ পরিষ্কার রাখতে হবে, মুখে ব্রণ থাকুক আর না থাকুক দিনে অন্তত দুবার মুখ পরিষ্কার করা উচিত। এতে মৃত কোষ ও অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার হয়ে যায়। হাল্কা গরম পানি ও মাইল্ড ফেইস ওয়াশের সাহায্যে মুখ ধোয়া উচিত। মুখে অতিরিক্ত সুগন্ধীযুক্ত ও ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। কাপড়, লুফা ইত্যাদি দিয়ে মুখ ঘষা ঠিক নয়। এক্ষেত্রে পাতলা কাপড় বা হাতের সাহায্যে আলতোভাবে মুখ ধোয়া উচিত। মুখ পরিষ্কারের ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন আর তা হল , কখন ময়লা তোয়ালে দিয়ে মুখ মোছা যাবেনা। এতে করে মুখে ব্যক্টেরিয়ার সংক্রমন হতে পারে। তাই সব সময় পরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহার করা উচিত। ত্বক আর্দ্র রাখা সাধারণত যে ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করা হয় তার অধিকাংশই আমাদের ত্বক শুষ্ক করে ফেলে। এই শুষ্কতা কমানোর জন্য নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। বাজারে তৈলাক্ত, শুষ্ক ও মিশ্র ত্বকের জন্য আলাদা আলাদা ময়েশ্চারাইজার পাওয়া যায়। ত্বক অনুযায়ী সেখান থেকে ময়েশ্চারাইজার বেছে নিয়ে ব্যবহার করতে হবে। ব্রণ কমানোর ওষুধ বাজারে নানান রকমের ব্রণ কমানোর ওষুধ পাওয়া যায়। তবে যেকোনো ওষুধ ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এই ধরনের ওষুধে রয়েছে বেঞ্জয়েল পারক্সাইড, স্যালিসাইক্লিক এসিড, গ্লাইকোলিক এসিড ও ল্যাক্টিক এসিড যা ত্বকের ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। এই ধরনের ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রথমে অল্প পরিমাণে ব্যবহার করে নিতে হবে। পরে ত্বকের ধরণ ও প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। সংবেদশীল ত্বকে এইসব পণ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
তেল দুর করতে চাইলে এই ফেসওয়াস
ব্যবহার করুনঃ
ব্রনের জন্য বর্তমানে ডাক্তারগন
এটি বেশি সাজেস্ট করে।
ব্যবহার বিধি, রাতে ঘুমানের আগে
ফেসওয়াস দিয়ে মুখ পরিস্কার করে, আক্রান্ত
স্থানে সামান্য
পরিমাণ করে ব্যবহার করুন।
টিপসঃ
√নিয়মিত মুখ পরিস্কার রাখুন,
ফেসওয়াস ব্যবহার করুন নিয়মিত।
√নিয়মিত ঘুমতে হবে, পানি বেশি পান করুন,
√শরির কষা থাকলে ব্রন বেশি হয়,
√তরল খাবার বেশি খেতে হবে।
√শাক সবজি নিয়মিত খান
√নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি খাবেন
√বেশি আজেবাজে
ক্রীম ব্যবহারে ব্রন সমস্যা বাড়তে পারে
বলেই অভিমত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের,
√বেশি টেনশন ফিল করলে ব্রন বাড়ে।
একটা সময় ব্রন এমনিতেই সেরে যাবে।
√ব্রন নির্মুলে কোন ঔষধ নেই, তাই নিয়ন্ত্রন
করতে হয়।
ব্রণের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে সহজ-স্বাভাবিক আরও যেসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেগুলো হলো—
♠ বেশি করে পানি খাওয়া।
♠ চুলে খুশকি থাকলে তা দূর করা।
♠ খাবারের তালিকায় শাকসবজির পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া।
♠ ভাজা-পোড়া খাবার এড়িয়ে চলা।
♠ নিয়মিত গোসল করা।
♠ পেটের সমস্যা থাকলে পেট পরিষ্কার রাখার উদ্যোগ নেওয়া।
♠ ভিটামিন ও মিনারেল-যুক্ত খাবার খাওয়া।
♠ পরিধেয় বস্ত্র ও তোয়ালে পরিষ্কার রাখা।
♠ দুশ্চিন্তা না করা।
♠ সম্ভব হলে মাসে একবার ফেসিয়ালের মাধ্যমে ত্বকের উপরিভাগ পরিষ্কার রাখা।
♠ তৈলাক্ত ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট লোশন ব্যবহার করা।
আপনি রোজ রাতে ঘুমোনোর আগে, মুখে লেবুর রস তুলো দিয়ে ঘসে লাগিয়ে রাখতে পারেন এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় আপনি কোনো ভালো একটি facewash দিয়ে মুখটা পরিষ্কার করে দেন। আপনার ব্রণ আস্তে আস্তে কমে যাবে। ( যদি দেখেন আপনার মুখ জ্বলছে লেবুর রস লাগানোর সময়, তাহলে লেবুর রসের সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে নেন, এতে আপনার মুখ জ্বলাটাও কমবে, আবার মুখ আরও ফর্সা হবে)