আপনি যতই ইউটিউবের ভিডিও দেখেন বা অডিও শুনেন না কেন প্রাকটিক্যালী কোরআন শরীফ পড়া শিখে আপনি যেভাবে নিজের ভুল সংশোধন করতে পারবেন এবং ভালো ভাবে সূরা পড়তে পারবেন , ভিডিও এবং অডিও ফলো করে তা কোনো ভাবেই পারবেন না । কেননা প্রতিটি আরবি অক্ষরের আলাদা আলাদা উচ্চারণ আছে । এছাড়াও কোরআন পড়ার বিভিন্ন নিয়ম আছে যা কোরআন শিক্ষা করা ছাড়া জানা অসম্ভব প্রায় । তাই মনের ভয় ভীতি ধূর করে কোন এক হুজুরের কাছে কোরআন শিক্ষা করা শুরু করে দিন । দেখবেন আল্লাহর রহমতে খুব দ্রুতই পড়া শিখে যাবেন কেননা কোরআন শিক্ষায় আল্লাহ তায়ালার রহমত থাকে । এইযে , আমি নিজেই তো গত দু মাস যাবৎ কোরআন শিখছি । আলহামদুলিল্লাহ এখন 70% শেখা হয়ে গেছে । নামাজ হবে কি না হবে এই চিন্তা না করে, কোরআন শিখতেই হবে এই চিন্তা করে শেখা শুরু করে দিন ।
নামাজ আদায় করা এবং কোরআন পাঠ করা সম্পূর্ণ আলাদা দুটি ইবাদত ।
মহান আল্লাহ কোরআন শরীফ নাযীল করেছেন মানুষ ও জীন
নামাজে কিরাত পড়া আবশ্যক। এবং সেটা সহীহ শুদ্ধ হওয়াও আবশ্যক। এখন প্রশ্ন হলো, যারা কিরাত পড়তে পারে না কিংবা শুদ্ধ পড়তে পারে না তাদের নামাজ কি হবে না ? উত্তর হলো, যারা একেবারেই কুরআন পড়তে পারে না তাদের নামাজ ও আদায় হবে। তারা কিরাতের জায়গায় তাসবীহ তাহলীল পাঠ করবে। তদ্রূপ যারা শুদ্ধ করে কুরআন পড়তে পারে না তাদেরটাও বিশুদ্ধ হবে। এদেরকে শরয়ী পরিভাষায় মাজুর তথা উজরগ্রস্থ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু তাদের কুরআন শেখা ও শুদ্ধ করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। নতুবা তারা গুনাহগার হবে। আর যারা শুদ্ধ করে কিরাত পড়তে পারে না তারা শুদ্ধপাঠকারী ব্যক্তিদের ইমাম হতে যাবে না। এতে ইমাম মুসল্লী সকলের নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। সুতরাং ইউটিউব থেকে প্রাক্টিস করা না কর বড় কথা নয়; বড় কথা হলো, কুরআনকে শুদ্ধ করা। তবে এর জন্য একজন অভিজ্ঞ কারী সাহেবের দারস্থ হওয়া আপনার জন্য জরুরী। ইউটিউব থেকে আপনি কাঙ্ক্ষিত ফল পাবেন না। আপাতত যতটুকু শিখেছেন ততটুকু দিয়ে নামাজ পড়তে থাকুন আর কুরআন শিখতে থাকুন। আপনার নামাজ হয়ে যাবে।