একজন ডাক্তার,আইনজীবী,সরকারি অফিসার,ক্যাডার হতে চাইলে অবশ্যই এইচএসসি পড়তে হবে।আর কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে চাইলে এখনই পলিটেকনিকে ডিপ্লোমা করাই ভালো।এরপর বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং করার সুযোগ থাকবে এবং ভালো ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব হবে ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
 আপনি ডিপ্লোমা-ইন-কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েন। এটাই আপনার জন্য ভালো হবে।
কারণঃ 

আছে উচ্চশিক্ষার সুযোগ

যে কোনো পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে রয়েছে উচ্চশিক্ষার সুযোগ। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ রয়েছে। আপনি চাইলে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) থেকে বিএসসি, এমএসসি করতে পারবেন। দেশের বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের বাইরের বিভিন্ন খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবেন।

সময়োপযোগী

হাতে-কলমে বাস্তবধর্মী শিক্ষার নাম কারিগরি শিক্ষা। কারিগরি শিক্ষা সময়োপযোগী শিক্ষা। আধুনিক যুগে উন্নত বিশ্ব যখন কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ হয়ে উন্নতি সাধন করছে, আমাদের দেশ সেখানে অনেক পিছিয়েছে। এখনই সময় দেশকে এগিয়ে নেয়ার। দেশের উন্নয়নে দক্ষ জনশক্তির যোগান দেবে কারিগরি শিক্ষা। তাছাড়া এ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বেকার থাকতে হয় না। তাই ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হয়ে গড়তে পারেন আপনার সোনালি ক্যারিয়ার।

পড়াশোনার খরচ

কারিগরি ও বৃত্তিমূলক পড়াশোনার খরচ অত্যন্ত কম। সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে চার বছরে আট সেমিস্টার পড়াশোনা করতে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা খরচ পড়বে। এখানে ভালো ফলাফলের জন্য সেমিস্টারভিত্তিক বৃত্তি দেয়া হয়। এছাড়াও বিশ্বব্যাংক ও কানাডার যৌথ উদ্যোগে গরিব ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সেমিস্টারে ৪ হাজার ৮০০ টাকা বৃত্তি প্রদান করা হয়। বেসরকারি পলিটেকনিকগুলোতে পড়তে হলে আপনাকে চার বছরে ৯৬ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হবে।

চাকরির বাজার

পেশাগত জীবন ও ক্যারিয়ারের আয়-রোজগারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল কর্মদক্ষতা। সেই সঙ্গে অভিজ্ঞতা আর কাজের মনযোগের ব্যাপার তো আছেই। ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করে শুরুতেই ৮ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন। এখানে পড়াশোনা করে উপ-সহকারী প্রকৌশলী থেকে সর্বোচ্চ পদ প্রধান প্রকৌশলী পর্যন্ত অধিষ্ঠিত হতে পারবেন। কারিগরি শিক্ষায় রয়েছে বহুমুখী স্বপ্নে উজ্জ্বল ক্যারিয়ার। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রয়েছে বিস্তর কর্মক্ষেত্র। পাওয়ার হাউস, বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি, টেক্সটাইল, সিরামিক, বিভিন্ন কলকারখানা, ব্যাংক, টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিতে চাকরির সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রাইমারি ও হাই স্কুলে শিক্ষকতাও করতে পারবেন। এখানে রয়েছে সফল ক্যারিয়ারের হাতছানি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ