AbdulHalim

Call

সময় হারানোর পরই মানুষ বুঝতে হারানো সময়টা কত মূল্যবান ছিলো।যাহোক,আপনি বুঝতে পারছেন আপনাকে এইচএসসিতে ভালো করতে এটা ভালো লক্ষণ।আর আপনার টার্গেট ও চমৎকার।ভাই,শচিন টেন্ডুলকার একটা কথা বলছিলেন "impossible is nothing "।আমিও সেটাই বলতে চাই,এ+পাওয়া আপনার পক্ষে সম্ভব।আর এ জন্য আপনাকে নিয়মিত অধ্যায়ন করতে হবে।কালকে থেকে পড়বো বা পরীক্ষার আগে পড়বো এমন করা চলবে না।তিনটি বিষয় হিসাব বিজ্ঞান, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং,আইসিটি কে টার্গেট করুন।anyhow এই বিষয়গুলো তে এ+পেতে হবে।তার সাথে বাংলাও ইংরেজিতে এ গ্রেড তুলতে আপনার সর্বোচ্চ দিন।আর অর্থনীতি বা কম্পিউটারে এ যাতে অবশ্যই আসে।আর এই টার্গেট অর্জনের জন্য নিয়মিত অধ্যায়নের বিকল্প নেই।মনে রাখবেন সফলতার চাবিকাঠি হলো পরিশ্রম।আপনি পরিশ্রম না করে ফল কখনো ভোগ করতে পারবেন না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মানুষের মস্তিষ্কের দুটি দিক রয়েছে। একটি সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম, অপরটি পেরিফেরাল নার্ভাস সিস্টেম। সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমের আবার অনেক ভাগ রয়েছে। তার একটি হলো মেমোরি বা স্মৃতিশক্তি। পৃথিবীতে বেশি আইকিউ নিয়ে কেউ জন্মগ্রহণ করে না। তাদের ব্যবহারিক আচরণের ওপর নির্ভর করে বুদ্ধিমত্তা বা আইকিউ। যত চর্চা করা যাবে আইকিউ ততই বাড়বে। সাধারণ আইকিউ ৯০ থেকে ১১০। তবে কারও কারও আইকিউ ১১০-এর ওপরে হতে পারে। পৃথিবীতে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তির আইকিউ ১১০-এর ওপরে। এই আইকিউ বৃদ্ধির জন্য চর্চার কোনো বিকল্প নেই। চর্চার মাধ্যমেই একজন ছাত্র সাধারণ থেকে মেধাবী হতে পারে। মনে রাখতে না পারার ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে কিছু কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে-

আত্মবিশ্বাসঃ আত্মবিশ্বাস যেকোনো কাজে সফল হওয়ার প্রথম ও প্রধান শর্ত। আপনি সব কিছু পারবেন, আপনাকে পারতেই হবে তা মনকে বোঝাতে হবে। নেতিবাচক চিন্তা মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন। মনে রাখবেন, কোনো বিষয়ে আগে থেকে ভয় ঢুকে গেলে সেটা মনে রাখা বেশ কঠিন।

মনোযোগ/ আগ্রহ বাড়ানোঃ মনোযোগী হতে হলে আপনার আগ্রহ বাড়াতে হবে। তবে মনোযোগটা থাকতে হবে নিজের প্রতি এবং সময়ের প্রতি। যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনার আগ্রহ বাড়ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি কখনোই মনোযোগী হতে পারবেন না। তাই প্রথমে অমনোযোগের কারণটি খুঁজে বের করুন। কোন সময়টাতে পড়তে বসলে আপনার মনোযোগ থাকেনা লক্ষ্য করুনl মনোযোগের জন্যে আপনি কোন ভঙ্গিতে বসছেন সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। সোজা হয়ে আরামে বসুন। অপ্রয়োজনীয় নড়াচড়া বন্ধ করুন। চেয়ারে এমনভাবে বসুন যাতে পা মেঝেতে লেগে থাকে। টেবিলের দিকে একটু ঝুঁকে বসুন। আপনার চোখ থেকে টেবিলের দূরত্ব অন্তত দু ফুট হওয়া উচিৎ।

লক্ষ্যের প্রতি মনোযোগীঃ যদি কোনো কাজকে আপনি উপভোগ না করতে পারেন, তাহলে কোনোভাবেই কাজে মনোযোগী হওয়া সম্ভব নয়। যদি কোনো কাজ করার জন্য প্রচুর পরিশ্রম করেও হঠাৎ মাঝপথেই থেমে যান উক্ত কাজটি আপনার কোনোদিনই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে না। তাই, নিজের লক্ষ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। যদি লক্ষ্যের প্রতি মনোযোগী হওয়া যায়, তা হলে খুব সহজেই পাঠ্যবইয়ের প্রতিও মনোযোগ চলে আসে। কেননা লক্ষ্য পূরণের প্রথম ধাপই হচ্ছে পাঠ্যবই।

পড়ার পরিবেশঃ মূলত সম্পূর্ণ মনোযোগ দেয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশ দরকার। কম্পিউটারে গান চলছে আর আপনি যদি পড়ার টেবিলে থাকেন তাহলে পাঠ্যবইয়ের প্রতি মনোনিবেশ করা সম্ভব নয়। আপনার পড়ার জন্য একটি টেবিল ও চেয়ার থাকা জরুরী। এই বস্তুগুলো এমন স্থানে সাজাতে হবে যেন আপনি আরামের সাথে বসতে পারেন। একটানা না পড়ে বিরতি দিয়ে পড়বেন। প্রতি ৫০ মিনিট পড়ার পর ৫ মিনিটের একটা ছোট্ট বিরতি নিতে পারেন। কিন্তু এ বিরতির সময় টিভি, মোবাইল বা কম্পিউটার নিয়ে ব্যস্ত হবেন না যা হয়তো ৫ মিনিটের নামে দুঘণ্টা নিয়ে নিতে পারে।

রুটিন পরিকল্পনাঃ সময়টাকে খুব গুরুত্ব দিন। মনে রাখবেন আপনার প্রতিটা দিন, প্রতিটা মুহূর্ত আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।তাই পড়াশোনার ব্যাপারেও একটি সুশৃঙ্খল তালিকা তৈরি করা যায়।এতে করে সময়ের সম্পর্কে আরো বেশি দায়িত্বশীল হওয়া যায়। অনেক সময় দেখা যায়, যে পড়াটা দিনে ১ ঘন্টায় পড়তে পারছেন সেই একই পড়া পড়তে রাতে দেড় ঘণ্টা লাগছে। তাই কঠিন, বিরক্তিকর ও একঘেয়ে বিষয়গুলো সকালের দিকেই পড়ুন। পছন্দের বিষয়গুলো পড়ুন পরের দিকে। পড়ার পাশাপাশি লেখার অভ্যাস খুবই জরুরি। তবে যদি উল্টোটা হয়, অর্থাৎ রাতে পড়তে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তাহলে সেভাবেই সাজান আপনার রুটিন।

খাওয়া-দাওয়াঃ পুষ্টিকর খাবার সময়মত খেতে হবে। আর পড়াশোনায় ব্যাস্ত থাকলে ক্ষুধা একটু বেশিই লাগে। তাই হাতের কাছেই কিছু শুঁকনো খাবার রাখুন এবং প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন।

অন্যমনস্কতা/একঘেয়েমি থেকে বাঁচতেঃ পড়তে পড়তে মন যখন উদ্দেশ্যহীনতায় ভেসে বেড়াচ্ছে জোর করে তখন বইয়ের দিকে তাকিয়ে না থেকে দাঁড়িয়ে পড়ুন। তবে রুম ছেড়ে যাবেন না। কয়েকবার এ অভ্যাস করলেই দেখবেন আর অন্যমনস্ক হচ্ছেন না।এছাড়া একটানা একটা বিষয় পড়তে আপনি বিরক্ত হতে পারেন। তাই অন্য বিষয়গুলোর প্রতি নজর দিন। বিষয়টার সাথে আপনার সময়সীমা বেঁধে দিন।

বিশ্রামঃ সারাক্ষণ কাজ আমাদের মস্তিষ্ককে ক্লান্ত করে তোলে। ক্লান্তি মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। আপনাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবশ্যই ৬-৮ ঘণ্টার কম কিংবা বেশি ঘুমনো যাবে না। এতে আপনার শরীরের ভারসাম্য কিঞ্চিৎ ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

নিয়মিতঃ পড়াশোনায় নিয়মিত না হলে আপনার এর থেকে বিচ্ছুতি ঘটবে তাই নিয়মমাফিক পড়াশোনা করুন। আপনাকে অবশ্যই ‘কাল’ কথাটা ভুলে যেতে হবে। ‘আজ’ কথাটা সবসময় মাথায় রাখতে হবে। আপনি পড়াশোনা শুরু করবেন কাল নয়, আজকে এখনি শুরু করুন।

বুঝে পড়ুনঃ এ কবার পড়েই কোনো বিষয় মনে রাখা সহজ নয়। তাই যে কোনো বিষয় মুখস্থ করার আগে বিষয়টি কয়েকবার পড়ে বুঝে নিতে হবে। তাহলে সেটা মনে রাখা অনেক সহজ হবে।

ক্রোধঃ ক্রো ধ বা রাগ মন ও মস্তিষ্কের শত্রু। আমরা যখন রেগে যাই তখন শরীরে নিঃসৃত হয় বিশেষ এক ধরনের রাসায়নিক যৌগ যা আমাদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

মেডিটেশনঃ নিয়ম করে দিনের কিছু সময় মেডিটেশন করুন। যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। সম্ভব না হলে অন্তত সকাল-সন্ধ্যা খোলা ময়দানে হাঁটুন। এ অভ্যাসগুলো মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। মস্তিষ্কের তথ্য ধারণ ক্ষমতা বাড়ায়। স্মরণশক্তি মূলত নির্ভর করে আমাদের চিন্তা করার ক্ষমতার ওপর। মেডিটেশন আমাদের চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়ায়।image

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ