আপনার বোঝার সুবিধার্থে বিস্তারিত তথ্য দিলামঃ
বিশ্বের হাজার হাজার আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল সংস্থায় যোগ দিয়ে সমুদ্রের বিশাল সম্রাজ্জে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নিয়ে জাহাজের ক্যাপ্টেন অথবা চিফ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে পড়তে পারেন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং। সমুদ্রগামী জাহাজ ছাড়াও দেশি-বিদেশি নৌ বন্দর, জাহাজ ব্যবস্থাপনা সংস্থা, পাওয়ার প্লান্টেও কাজের সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া রয়েছে জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, দেশি-বিদেশি তেল কম্পানিসহ বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় কাজের সুযোগ। আন্তর্জাতিক জাহাজ কোম্পানিগুলোতে প্রচুর দক্ষ ও যোগ্য শিপ কর্মকর্তার প্রয়োজন। সৃষ্টি হচ্ছে নিত্য-নতুন বিভিন্ন কোম্পানি ও পদ-পদবি, সেই সঙ্গে অনেক সিনিয়র কর্মকর্তারা যাচ্ছেন অবসরে। এতে বৃহৎ পরিসরে নাবিকদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। বিভিন্ন সৈকত ব্যবস্থাপনা পেশাতেও নৌ অভিজ্ঞতাকেই প্রাধান্য দেয়া হয়। সাধারণত মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ তিন রকমের হয়ে থাকে, নেভিগেশন, ইঞ্জিনিয়ারিং ও রেডিও অ্যান্ড অয়্যারলেস কমিউনিকেশন। চ্যালেঞ্জিং এ গর্বিত পেশায় সফল ক্যারিয়ার গড়তে আপনাকে পড়তে ডিপ্লোমা ইন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএসসি ইন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং।
কোথায় পড়বেন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং?
১। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ডিপ্লোমা পর্যায়ের ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স। এ বিষয়ে পড়তে হলে মাধ্যমিক-সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ-২.৫০ থাকতে হবে।
সরকারি ইন্সটিটিউট-
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি, নারায়ণগঞ্জ।
বেসরকারি ইন্সটিটিউট-
ইন্সটিটিউট অব রয়েল মেরিন একাডেমি, ২৪২/২ পশ্চিম শেওড়াপাড়া, বেগম রোকেয়া সরণি, ঢাকা।
সাইক ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি, বাড়ি-১, রোড-২, ব্লক-বি, মিরপুর-৬, ঢাকা-১২১৬।
২। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত মেরিন ফিসারিস একাডেমী(এমএফএ) চট্রগ্রাম, মেরিন একাডেমী চট্রগ্রাম, এছাড়াও কিছু বেসকারী প্রতিষ্ঠান এ এখন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমীতে আবেদনের যোগ্যতাঃ
নীল সমুদ্র জলের জাহাজের ক্যাপ্টেন মানেই দারুণ বেতন ও রোমাঞ্চকর জীবন। ক্যাপ্টেন হওয়ার স্বপ্ন অনেকেরই থাকে। সে স্বপ্ন পূরণ করতে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেই ভর্তি হতে পারেন। বাংলাদেশ মেরিন একাডেমীতে আবেদনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করতে হবে। উভয় পরীক্ষায় আলাদাভাবে ৩.৫০ জিপিএ থাকতে হবে। এ ছাড়া উচ্চ মাধ্যমিকের পদার্থ ও গণিত বিষয়ে আলাদাভাবে ৩.৫০ জিপিএ থাকতে হবে। ইংরেজি বিষয়ে কমপক্ষে ৩.০০ জিপিএ অথবা আইইএলটিএস স্কোর হতে হবে ৫.৫। এ ছাড়া ক্যাডেট হওয়ার জন্য শারীরিক সক্ষমতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মেরিন ক্যাডেট হিসেবে ছেলেদের কমপক্ষে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি ও মেয়েদের ৫ ফুট ২ ইঞ্চি হতে হবে। এই প্রতিষ্ঠানে প্রার্থীর দৃষ্টিশক্তি মেরিন ক্যাপ্টেন হওয়ার জন্য ৬/৬ এবং মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে ৬/১৮ হওয়া বাঞ্ছনীয়। এসবের বাইরে আবেদনকারীকে অবশ্যই সাঁতার জানতে হবে।
আবেদনকারীকে যথাক্রমে লিখিত, শারীরিক পরীক্ষা এবং সাঁতার ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। উপরোক্ত ধাপগুলো পেরোনোর পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর উত্তীর্ণদেরকে চূড়ান্তভাবে বাছাই করা হবে।
যোগাযোগ- বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রাম ওয়েবঃ www.macademy.gov.bd
খোঁজ নিতে পারেন কিছু প্রাইভেট মেরিটাইম একাডেমি ও কলেজে-
ইউনাইটেড মেরিটাইম একাডেমি
ওয়েবঃ www.uma.edu.bd
কেমব্রিজ মেরিটাইম কলেজ
ওয়েবঃ www.cmcollege.com
ওয়েস্ট ওয়ে মেরিটাইম একাডেমি
ওয়েবঃ www.wmabd.com
ওয়েস্টার্ন মেরিটাইম একাডেমি, নারায়ণগঞ্জ।
ওয়েবঃ www.wma-bd.com
শাব মেরিন বিজনেস ইন্সটিটিউট
ওয়েবঃ http://shahmbi.com/
আটলান্টিক মেরিটাইম একাডেমি
বাড়ি # ১৯, রোড # ০১, সেক্টর # ১৩, উত্তরা, ঢাকা।
এছাড়াও আরও কিছু প্রাইভেট মেরিন একাডেমী আছে, যেখানে ডিপ্লোমা ও বিএসসি মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পারেন।