শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call
যখন একটি কম্পিউটার কেনা হচ্ছে, তখন কম্পিউটার সম্পর্কে সম্ভবত আপনার একটা সাধারন জ্ঞান আছে, যেমন- কম্পিউটার কেমন, অথবা কিরকম কম্পিউটার কেনা উচিৎ। নিচে কিছু কম্পিউটার যন্ত্রাংশের বিবরন ও কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো যা আপনি কম্পিউটার কেনার সময় খুব সহজেই আপনার প্রয়োজন খুজে নিতে পারবেন।

ডিসপ্লে: সকল কম্পিটার বা ল্যাপটপেই ডিসপ্লে রয়েছে। যখন আপনি ল্যাপটপ বহন করে থাকেন তখনও এর সাথেও রয়েছে ডিসপ্লে, তাই ডিসপ্লে একটি গুরুত্বপূর্ন পর্যালোচনার বিষয়। যখন আপনি ডিসপ্লে খুজবেন তখন বিবেচনা করুন এটি আপনার নিজের প্রয়োজনের জন্য যথেষ্ট কিনা। খরচ কমানোর জন্য ডিসপ্লে সাইজ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। আপনাদের জন্য পরামর্শ থাকবে কমপক্ষে ১২” অথবা বড় এল সি ডি যার সাইজ ১৪” নেওয়ার জন্য।

ড্রাইভস: ড্রাইভার হলো সেটি যেটি কম্পিউটার কেনার আগে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু এটাও একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ। ড্রাইভ বলতে আমরা যা বুঝি সেগুলা হলো, CD-ROM, DVD-ROM, Flopppy Drive ইত্যাদি। কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই আপনাকে বিবেচনা করতে হবে কোন ড্রাইভগুলো আপনার প্রয়োজন।শুধু শুধু বাড়তি ড্রাইভ আপনার খরচ অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে। আমরা অনেক সময় দেখে থাকি হাই কনফিগারেশনের কম্পিউটার গুলোতে অনেক ড্রাইভই আমাদের তেমন কোন কাজে আসে না। এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনকেই মূল্য দিন।

হার্ডড্রাইভ: কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কেনার আগে হার্ডড্রাইভ সব সময়ের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ন বিবেচনার। হার্ডড্রাইভ হলো সেই জিনিস যেটা আপনার সকল ফাইল বা তথ্য সংরক্ষন করবে। যদি আপনার হার্ডড্রাইভ ফুল হয়ে যায় তখন আপনে অবশ্যই আপনার প্রয়োজনিয় তথ্য অন্য কোথায় সংরক্ষন করতে হবে তা না হলে আপনাকে একটি অতিরিক্ত হার্ডড্রাইভ যুক্ত করতে হবে। মুক্তমঞ্চ.কম আপনাদের সব সময়ই পরামর্শ দেবে সবচেয়ে বেশি জায়গার হার্ডড্রাইভ কেনার জন্য। করন মানুষের প্রয়োজন দিন দিন বাড়ে ছাড়া কমে না। বর্তমানে একটি ভালো মানের মুভির সাইট ৩ গিগা, যদি আপনার ড্রাইভটি কম স্পেসের হয় তাহলে একবার চিন্তা করুন আপনি কয়টি মুভি সংরক্ষন করতে পারবেন। এর পর সফট্ওয়ার, অডিও, ইমেজ, ইত্যাদিতো রয়েছেই।

লক: লক সিস্টেম ল্যাপটপের জন্য বিবেচনার বিষয়। আপনার ডিসপ্লেটা কিভাবে লক হচ্ছে কিংবা হচ্ছে না ল্যাপটপ কেনার আগে তা অবশ্যই দেখে কিনুন।

মেমরী বা ব্যাম: র্যাম সব সময়ই কম্পিউটার বা ল্যাপটের জন্য বিবেচনার বিষয়। এটি আপনার কম্পিউটারের গতি ও প্রাইমারি ডাটা সংরক্ষনে ব্যবহার হয়ে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় কম্পিউটারে সকল কনফিগার হাই অথচ র্যাম কম। সে সকল ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই বিপদে পরবেন।

মডেম: এটি একটি এডিশনাল অংশ। মডেমের কথা এখানে উল্লেখ করার কারন হলো, আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে যথেষ্ট পরিমান USB port আছে কিনা। যদিও WiFi মাডেমের ব্যবহার অনেক কমিয়ে দিয়েছে। তারপরও যদি মডেম ব্যবহার করতে চান তাহলে দেখে নিন আপনার USB Port কয়টা। অনেক ল্যাপটপে একটি বা দুটি পোর্ট দেখা যায় সে ক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন বৃদ্ধির সাথে সাথে ইএসবি পোর্টের ও প্রয়োজন অনুভব করতে থাকবেন।

নেটওয়ার্ক কার্ড: কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কেনার আগে দেখে নিন নেটওয়ার্ক কার্ড আছে কিনা। ডেক্সটপ কম্পিউটারে অনেক সময় নেটওয়ার্ক কার্ড থাকে না। সেক্ষেত্রে আপনাকে অতিরিক্ত নেটওয়ার্ক কার্ড যুক্ত করতে হতে পারে যদি আপনার প্রয়োজন পরে।

প্রসেসর: প্রসেসর কে কম্পিউটারে প্রান বলা হয়ে থাকে। বর্তমানে প্রসেসর কেনার সময় আমাদের বেশ ঝামেলায় ফেলে দেয়। কারন বাজারে এখন বিভিন্ন কম্পানির বিভিন্ন প্রসেসর পাওয়া যায়। এই প্রসেসের কারনেই কম্পিউটার বা ল্যাপটপের দাম অনেকা নির্ভর করে। তাই প্রসেস নির্বাচনের সময় আমরা আপনাকে পরামর্শ দেবে, অবশ্যই প্রসেসরের মান জাচাই করতে নেটে সার্চ দিন,রিভিউ দেখুন। তাহলেই বুঝতে পারবেন কোন কম্পানির প্রসেসর ভালো।

সাউন্ড কার্ড: সাউন্ড কার্ড একটি অপশনাল অংশ এটি আপনার প্রয়োজনের উপর নির্ভর করবে। বেশির ভাগ কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা স্টান্ডার্ড সাউন্ড কার্ড ব্যবহার করে থাকেন।আবার অনেকে অনেক এডভান্স সাউন্ড কার্ড ব্যবহার করেন যেখানে তাদের স্পিকার কেনার টাকাও বাড়িয়ে দেয়। যখন আপনি সাউন্ড কার্ডের বিষয় বিবেচনা করবেন সে ক্ষেত্রে কিছুটা চিন্তা করুন, বেশির ভাগ ল্যাপটপে পর্যাপ্ত সাউন্ড কার্ড থাকে না। সেক্ষেত্রে আপনাকে বাড়তি স্পিকার বা হেডফোন ইউজ করতে হয়। নিশ্চিৎ করুন যে সাইউ কার্ডের কোয়ালিটি আপনার প্রয়োজনকে মিটাতে পারে কিনা।

ওজন: ওজন কিন্তু একটা বড় সমস্যা, যখন আপনি আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ বহন করবেন তখন এর প্রয়োজন অনুভব করতে পারবেনা।

ভিডিও কার্ড: ভিডিও কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। কিছু গেম প্রিয় লোকজন আজকাল অতিরিক্ত ভিডিও কার্ড ব্যবহার করে থাকেন। অতিরিক্ত ভিডিও কার্ড আপনার আনন্দকে বারিয়ে দেবে যখন আপনি ভিডিও গেমস খেলতে বসবেন।

কম্পিউটারের ব্রান্ড: কম্পিউটারের ব্রান্ড আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। এটা অনেক সময় আমাদের মানুষিকতার উপর নির্ভর করে। এক কথায় বলতে গেলে ব্রান্ড বলতে আমার অজ্ঞান। তবে যে ব্রান্ডরই হোক না কেন। আগে নেটে সার্চ করে রিভিউ চেক করুন। বিশ্বে ইন্টেলই যে সব চেয়ে ভালো মাদারবোর্ড তৈরী করে তা কিন্তু নয়। সনি, আসুস, ডেল ই যে সরা আবার তাও নয়। বাজারে এমন অনেক কম্পিউটার বা ল্যাপটপ পাওয়া যায় তার নাম আমরা অনেকেই শুনি না অথচ সেগুলা সার্ভিস দিচ্ছে বছরের পর বছর।

সার্ভিসিং: কম্পিউটারের শো রুম থেকে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কেনার আগে নিশ্চিৎ হয়ে নিন সেটির গ্যারান্ট বা ওয়ারেন্টি আছে কিনা। কেনার সময় চুক্তিবদ্ধ না হলে পরে বিপদে পরতে হবে। ইলেক্ট্রনিক্স জিনিস নষ্ট হবে না সেটা কেউ বলতে পারে না।

সফটওয়ার: কম্পিউটারে প্রয়োজনীয় সফটওয়ার আছে কিনা দেখে নিন। যেগুলা আপনার প্রয়োজন। শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সফটওয়ারের দিকে নজর দিন। কারন অপ্রয়োজনীয় সফটওয়ার ইন্সটল দিয়ে শুধু শুধু আপনার হার্ডড্রাইভে লোড নিবেন কেন? এতে কম্পিউটারের গতি কমে যায়।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ