যৌনশক্তি কমে যাওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে রোগি ও ডাক্তার উভয়ের জানা প্রয়োজন— ১. হৃৎপিন্ডের দূর্বলতার কারণে যৌনশক্তি কমে যায়। ২. বদহজমের কারণেও যৌনশক্তি কমে যায়। কেননা খাদ্য হজম না হওয়ার কারণে রক্ত তৈরী হয় না। আর রক্ত তৈরী না হলে বীর্যও তৈরী হবে না। এর কারণ হলো, বীর্যতো রক্ত থেকেই তৈরী হয়ে থাকে। ৩. যকৃত দুর্বল হওয়ার কারণে যৌনশক্তি কমে যায়। এর কারণ হলো, কলিজা হলো মানুষের শরীরের রক্ত প্রস্ততকারীর অন্যতম একটি উপাদান। বিশেষ করে যকৃতের কাজই হলো রক্ত তৈরী করা। যকৃত দুর্বলের লক্ষণ হলো— মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়া। শরীরের রঙ হলদে হলদে হয়ে যাওয়া। সহবাসের সময় উত্তেজনা কমে যাওয়া। এসব যখন দেখা দিবে, তখন বুঝতে হবে যে, তার যকৃত দুর্বল হয়ে গেছে। ৪. অনেক যুবকের মাঝে এ রোগটি বেশি দেখা যায়। তা হল, সে নিজেকে দুর্বল মনে করে। এর সবচেয়ে বেশি যে কারণটি পাওয়া যায়—তার ধারণা ‘আমি মনে হয় স্ত্রীর সাথে সহবাসে পরাজয় বরণ করব’। এ হল তার অন্তরের দুর্বলতা। এ মানসিক রোগ যখন তার মাঝে কাজ করতে থাকবে, তখন অটোমেটিক আসল সময়ে যৌনশক্তি কমে আসবে। সহবাসের ইচ্ছা করতেই হৃৎপিণ্ড ধক ধক করতে থাকে। সহবাসের সময় বা সহবাসের পর এসব লোকেরা হাঁপিয়ে উঠে হৃদয় ধক ধক করতে থাকে। ৫. আবার অনেকের মস্তিঙ্কের দুর্বলতার কারণেও যৌনশক্তি কমে যায়। যখন যৌনাঙ্গের শিরা দুর্বল হয়ে যায়, সব সময় রোগীর মাথায় ব্যাথা অনুভব করে কিংবা সহবাসের পর পরই অস্থিরতা অনুভব করে এবং চোখে অন্ধকার দেখে। সহবাসের পরই অধিক ক্লান্তি নেমে আসে। তাহলে বুঝতে হবে যে, তার মস্তিঙ্কের দুর্বলতা রয়েছে। যার কারণে তার যৌনশক্তি হ্রাস পেয়েছে। ৬. অনেক সময় পার্শ্ব’র দুর্বলতার কারণেও যৌনশক্তি কমে যায়। যদি কারো পাজরে ব্যাথা অনুভব হয় বা পার্শ্ব পরিবর্তন করলেই ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। বারংবার পেশাবের প্রয়োজন দেখা দেয়। যৌনাঙ্গের উত্তেজনা পূর্ণভাবে অনুভব না হয়। মাঝে মধ্যে ব্যাথা অনুভব হয়। তাহলে বুঝতে হবে যে, তার পার্শ্ব দুর্বলতার কারণেই তার যৌনশক্তি কমে গেছে। সংগৃহীত : আমার বাংলা পোস্ট.কম