আমাদের সর্ম্পক প্রায় ২মাস কিন্তু কখনই দেখা নি। ফোনে কথা হয় সবসময়। কিছুদিনের ভিতরে প্রথম দেখা হবে। এ নিয়ে খুব টেনশন এ। প্রথম দেখাতে কি করতে হয়। এবিষয়ে আমার কোন অভিজ্ঞতা নেই।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
TarikAziz

Call

আপনার গালফেন্ড যেরকম কাপড়-

চোপড় আপনার জন্য পচ্ছন্দ করে, 

আপনি সেগুলি পরে যান, একদম

স্মাট হয়ে যাবেন, পুরো ফিটফাট ভাবে। 

আপনার গালফেন্ডের যদি কোনো জিনিস

খুব পচ্ছন্দ হয়ে থাকে, তাহলে আপনি সেটা 

তাকে গিফট করার জন্য নিয়ে যেতে পারেন। 

আর ওর সঙ্গে কথা বলার সময়,  সর্বোক্ষন

ওর চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলবেন। 

মনে রাখবেন,  first impression ,  start

with the eyes. 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মেয়েটির সাথে দেখা করার জন্য মেয়েটিকে কোনো পার্কে বা রেষ্টুরেন্টে ডাকুন সাথে একটি আংটি ও গোলাপ ফুল নিবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Yakub Ali

Call

টিপস গুলো পড়ে নিন উপকৃত হবেনঃ

জীবনের প্রথম বেড়াতে যাবেন পছন্দের মানুষটির সাথে। কিন্তু বুঝতে পারছেন না কীভাবে পুরো ব্যাপারটা সামাল দিবেন। আর মনের মানুষটির সাথে প্রথম দেখা করতে তো আর পরিকল্পনা ছাড়া যাওয়া যায়না। তাই জেনে নিন কীভাবে পরিকল্পিতভাবে প্রথম দেখার মূহুর্তগুলোকে স্মরণীয় করে রাখতে পারা যায়।


ডেটিং প্লেস ঠিক করুনঃ

যাওয়ার আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাখুন কোথায় যাবেন, কি খাবেন ইত্যাদি। এই দায়িত্বটি ছেলেটিকেই পালন করতে হবে। কারণ মেয়েরা চায় প্রথম ডেট-এ এ তার সঙ্গীটিই স্থান নির্বাচন করুক। আর আপনার পকেটের বাজেট অনুযায়ী কোথায় খাবেন সেটা ঠিক করে রাখুন। তাহলে হুট করে কোথাও খেতে বসে বিল দেখে অপ্রস্তুত হতে হবেনা ।


দেখা করার সময় ঠিক করুনঃ আগে থেকেই ঠিক করে রাখুন কখন দেখা করবেন। দুই জনই দুজনের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করুন। পরস্পরের অসুবিধা হয় এমন সময়ে দেখা করতে চাইবেন না। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে চেষ্টা করুন দুপুর থেকে সন্ধ্যার আগেই দেখাটা করে ফেলতে। দেখা করার দিন দুজনই সময় মতো যাবেন। জ্যামের কথা মাথায় রেখে বাসা থেকে আগেই বের হবেন। তবে ছেলে সঙ্গীটির একটু আগে পৌঁছানই ভালো। না হলে প্রথমদিন এ ঝগড়াঝাঁটি হয়ে যেতে পারে।


সাজ-সজ্জাঃ ডেটিং এর দিন সকালে একটু ফেস প্যাক লাগিয়ে নিতে পারেন। তাহলে সারাদিন মুখটা ফ্রেশ থাকবে। আগে থেকেই কি পরবেন সেটা ঠিক করে রাখুন। খুব দৃষ্টিকটু কিছু পরবেন না। পোষাক নির্বাচন নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত থাকলে একটু ফর্মাল ধরণের শালীন পোশাক পরতে পারেন। মেয়েরা বেশি গয়না না পরে হালকা গহনা পরে পোশাকের সাথে ম্যাচিং ব্যাগ ও জুতা পড়ুন। সাজে স্নিগ্ধতা রাখার চেষ্টা করুন। আর ছেলেরা রুচিশীল পোশাকের সাথে মানানসই জুতা/স্যান্ডেল পড়ুন। সুন্দর হালকা ঘ্রাণের পারফিউম ব্যবহার করুন। মুখের গন্ধের ব্যাপারে সচেতন থাকুন। আপনি যদি ধূমপায়ী হন তাহলে মাউথওয়াস রাখুন সাথে।



উপহার দিনঃ প্রথম দেখা করতে গেলে ছোট কোনো উপহার নিতে পারেন। একটা ফুল অথবা একটা কার্ডই উপহার হিসেবে যথেষ্ট। মিষ্টি হেসে উপহারটা দিন।


চোখে চোখ রাখুনঃ দুজন একসাথে বসলে চেষ্টা করুন একজনের প্রতি আরেকজনের মনোযোগ রাখার। একে অপরের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন। বার বার আশেপাশে তাকালে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। প্রিয়জনটিকে জানিয়ে দিন যে তাকে সুন্দর লাগছে।


কথা বলুনঃ দুটি মানুষ এক সাথে বসে আছেন। কিন্তু দুজনেই চুপ করে আছেন। এমন হলে কিন্তু চলবে না। প্রথম দেখায় সবার মাঝেই লজ্জা থাকে। কিন্তু দুজনই চেষ্টা করুন কথা বলে জড়তা কমিয়ে ফেলতে। তাই বলে অতিরিক্ত কথা না বলাই ভালো। পরিমিত কোটায় দুজনে দুজনার পছন্দ অপছন্দ গুলো জেনে নিন।


খাওয়াঃ খাওয়ার আগে আপনার সঙ্গীর কোন খাবারটা পছন্দ আর কোনটা অপছন্দ সেটা জেনে নিন। তার পছন্দে খাবার অর্ডার করুন। ওয়েটারকে উচ্চশব্দে না ডেকে হাতে ইশারা করে ডাকুন। লক্ষ্য রাখুন খাওয়ার সময় শব্দ না হয়। আপনার সঙ্গীকে এটা ওটা বেড়ে দিন। এতে তার মন জয় হবে সহজেই।


বিদায় বেলাঃ গল্প ও খাওয়া হলো, এবার বিদায়ের পালা। বিদায় দেয়ার সময় পুরুষ সঙ্গীটির উচিত হবে মেয়েটিকে এগিয়ে দেয়া। সম্ভব হলে বাসা পর্যন্ত দিয়ে আসা উচিত। বিদায় দেয়ার সময় তাকে জানিয়ে দিন যে তার সাথে দেখা করে আপনার ভালো লেগেছে।


প্রথম দেখার ফলাফলের উপরই নির্ভর করবে আপনার সম্পর্কের বাকি পরিণতি। তাই ভদ্রতা বজায় রাখুন, নিজেকে সঠিক ভাবে প্রকাশ করুন। নার্ভাস ভাবকে পাশে ঠেলে উপভোগের চেষ্টা করুন পরস্পরের সঙ্গ ও কথোপকথন। প্রথম সাক্ষাত খুব বেশি লম্বা না করাই ভালো। মনে রাখবেন, কোনো পরিস্থিতিতেই নার্ভাস হওয়া চলবে না। মনে আত্মবিশ্বাস রাখুন সবসময়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আপনার জি এফ যে ধরনের পোশাক পচন্দ করে সে ধরনের পোশাক পরে যান আমার মনে হয় একটু ফরমাল ড্রেজে গেলে ভাল হয় । এমন কোন গেট আপে যাবেন না দেখে আপনার জিএফ খ্যাত বলে সনাক্ত করে । তাকে উপহার দেওয়ার জন্য সুন্দর রোমান্সকর কিছু কিনে রাখুন । কোন রকম শারিরীক চাহীদা হাচিল করবেন না মনে রাখবেন আপনি তার সাথে প্রথম দেখা করতে যাচ্ছেন সেহেতু আপনাকে এমন কিছু করা উচিত নয়,যেটা দেখে আপনার জি এফ ভেবে বসে আপনি নোংরা রুচি সম্পন্ন মানুষ । দেখা করার জন্য একটু নিরিবিলি জায়গা বেছে নিন এবং আবেগ প্রবন কিছু কথা বলুন কিন্তু খেয়াল রাখবেন যেন বেশি না হয়ে যায় । তার ভাল লাগার কিছু মুহূর্তের কথা জানতে চান । রোমাঞ্চকর কিছু গান সোনাতে পারেন । তার সাথে এমন আচরণ করুন যেতে সে বুঝতে পারে আপনি একজন রুচি সম্পন্ন মানুষ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।


বিবাহ পূর্ব প্রেম হারাম। আল্লাহ বলেন -

• "তোমাদের জন্যে হালাল সতী-সাধ্বী মুসলমান নারী এবং তাদের সতী-সাধ্বী নারী, যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তোমাদের পূর্বে, যখন তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর তাদেরকে স্ত্রী করার জন্যে, কামবাসনা চরিতার্থ করার জন্যে কিংবা গুপ্ত প্রেমে লিপ্ত হওয়ার জন্যে নয়।" (সূরা মায়িদা : ৫)

সুতরাং তারা স্বাধীনভাবে লালসা পূরণ কিংবা গোপনে লুকিয়ে প্রেমলীলা করবে না ।


পর্দার আয়াতে আল্লাহ বলেন -

• মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন। (সূরা নুর 30) 

এখানে পুরুষদের চোখ নীচু রাখতে এবং লজ্জা স্থান হিফাজত করতে বলা হয়েছে।


• "ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।" (সূরা নুর 31) 

এখানে নারীদেরও একই কথা বলা হয়েছে, পর্দা করার কথা বলা হয়েছে আর নারীরা কাদের সাথে সাক্ষাত করতে পারবে তাদের একটা তালিকা দেওয়া হয়েছে


• হে নবী পত্নীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে সেই ব্যক্তি কুবাসনা করে, যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে। (সূরা আহযাব 32) 

• হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। (সূরা আহযাব 33:59) 

এখানে পর্দাকরার নির্দেশ আরো পরিস্কার ভাষায় বলা হয়েছে। নবীপত্নীদের উল্লেখ করা হলেও তা সকল মুসলিম নারীর উপর প্রযোজ্য ।


যেখানে দৃষ্টি নীচু ও সংযত রাখা,কোমল ভাবে কথা না বলা, লজ্জা স্থান হিফাজত করার কথা এবং পর্দা করার কথা বলা হয়েছে আর সূরা মায়িদাতে গোপন প্রেমলীলাকে নিষেধ করা হয়েছে সেখানে বিবাহ পূর্ব প্রেম বৈধ হতে পারে কি করে? এটা হারাম।


ব্যভিচারের ব্যপারে আল্লাহ আরো বলেন । 

• আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ। (সূরা বনী ইসরাইল 32)

জিনার নিকট যাওয়াই নিষেধ অর্থাৎ যে সকল জিনিস জিনার নিকটবর্তী করে দেয় তার কাছে যাওয়াই নিষেধ। বিবাহ পূর্ব প্রেম নর-নারীকে জিনার নিকটবর্তী করে দেয় আর জিনা মারাত্মক একটি কবিরা গুণাহ।আল্লাহ বলেন - 

• এবং যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যের এবাদত করে না, আল্লাহ যার হত্যা অবৈধ করেছেন, সঙ্গত কারণ ব্যতীত তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যারা একাজ করে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে। কেয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দ্বিগুন হবে এবং তথায় লাঞ্ছিত অবস্থায় চিরকাল বসবাস করবে। (সূরা ফুরকান 68- 69) 


বিবাহপূর্ব প্রেম অনেক সময় বান্দাহকে শিরকের নিকটবর্তী করে দেয়। কারণ অনেক সময় তারা একে অপরকে এতটাই ভালবাসা শুরু করে দেয় যে প্রকার ভালবাসা পাওয়ার দাবীদার একমাত্র আল্লাহ। আল্লাহ বলেন -

• আর কোন লোক এমনও রয়েছে যারা অন্যান্যকে আল্লাহর সমকক্ষ সাব্যস্ত করে এবং তাদের প্রতি তেমনি ভালবাসা পোষণ করে, যেমন আল্লাহর প্রতি ভালবাসা হয়ে থাকে। কিন্তু যারা আল্লাহর প্রতি ঈমানদার তাদের ভালবাসা ওদের তুলনায় বহুগুণ বেশী। আর কতইনা উত্তম হ’ত যদি এ জালেমরা পার্থিব কোন কোন আযাব প্রত্যক্ষ করেই উপলব্ধি করে নিত যে, যাবতীয় ক্ষমতা শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহর আযাবই সবচেয়ে কঠিনতর। ( সূরা বাকারা 165) 


ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে প্রেম তৈরি হবে তখনই যখন তারা দুজনই হিজাব ভঙ্গ করলে । কোন একজন যদি হিজাব কোনমতেই ভঙ্গ না করে তবে কোন মতেই প্রেম দাঁড়াবে না । যেসব ছেলে মেয়ের অন্তরে আল্লাহর ভয় আছে তারা হিজাব কোনমতেই ভঙ্গ করে না । মনে মনে কাউকে ভাল লাগলেও তারা হিজাব ভঙ্গ করে পথচ্যুত হয় না । হিজাব মানে শুধু পোশাক নয় । পোষাক থকে আচার- আচরণ পর্যন্ত সব কিছুই এর অন্তর্ভূক্ত । তারা বিয়ের প্রস্তাব দেয় তা না হলে সবর করে ।


মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের মুসলিম ভাই ও বোনদের এই হারাম কাজ থেকে হিফাজত করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ