শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনি যে দুরুদের কথা বলছেন, এটাকে মিলাদ বলে, মিলাদ জায়েজ নাই।চার মজহাবের ইমামগন কেহই এটা করে নাই।দুরুদ পরলে, ফেরসতাগন সেই দুরুদ নবী করীম (সঃ) এর রওজায় নিয়ে পৌছে দেয়।কিন্ত দুরুদের সময় নবী এসে হাজির হয়েছে, মনে করে আপনি দারালে, আপনার ইমান থাকবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Yakub Ali

Call

মিলাদ কে বিশ্লেষণ করলে আমরা ৪ টা মৌলিক জিনিস পাই . ১ . দরুদ শরীফ ২. নাত শরীফ ৩. রাসূল (দ,) এর সম্মানে দাঁড়ানো। ৪. যিকির শরীফ। ওই ৪টা জিনিসের সমষ্টির নাম হল মিলাদ । দরুদ শরীফ , যিকির শরীফ নিয়ে তো কারো আপত্তি থাকতে পারেনা আর নাত শরীফ তো রাসূল (দ,) খুব পছন্দ করেন। যেমন রাসূল (দ,) হযরত হাসসান বিন সাবিত (রদি) এর নাত খুব শুনতেন ও তার নাত শুন খুশি হয়ে তাকে শায়েরে রাসূল উদাধি প্রদান করেন। সুবহানাল্লাহ । এখন আসুন ওয়াহাবী মঔদুদি লা মাযহাবি ততা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ব্যতিত যত দল আছে তারা মিলাদ কে নাজায়ের বলতে চায় কারণ আমরা মিলাদে রাসূল (দ,) এর দুনিয়াতে আগমনের মুহুর্ত থেকে স্বরন করে তার সম্মানে দারায়. বলে নাজায়েজ বলতে চায় । আরো বলে আল্লাহ ছাড়া কারো সম্মানে দাঁড়ানো শিরক , তারা এই ক্ষেত্রে বেদাত শব্দটা ব্যবহার করে । বেদাত নিয়ে তো গত পর্বে আলোচনা করেছি। এখন দেখি যেভাবে দরুদ শরীফ , নাত শরীফ , ও যিকির শরীফ রাসূল (দ,) এর যুগে ছিল অনুরূপ তার সম্মানে দাঁড়ানো তার যুগে ছিল কিনা ।

১. মেশকাত শরিফের কিতাবুল জিহাদে বুখারী শরীফ এর একটা হাদীস...... যখন হযরত সাদ বিন মুয়ায (রদি) বনু কুরাইজা সম্প্রদায়ের সাথে চুক্তি করে মদীনা শরীফ উপস্থিত হন তখন রাসূল (দ,) তার আগমনে খুশি হয়ে সকল আনসারদের বলেন قوْمُوْا اِلى سَيِّدِ كُمْ "তোমরা তোমাদের নেতার সম্মানে দারায়. যাও।". ২. মেশকাত শরিফের কিতাবুল আদাব, হাদীস ৪৪৮২ পৃষ্ঠা ১১২ .আবু দাউদ শরিফের একটা হাদীস ... হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রদি) হতে বর্ণিত (যখন রাসূল (দ,) তার কন্না ফাতিমা (রদি) এর ঘরে প্রবেশ করতেন তখন তিনি দাড়িয়ে যেতেন ,তারপর তার হাত মুবারক ধরে চুমো খেতেন ও তাকে তার বিছানাই বসাতেন". ৩, তিরমিযী শারীফের একটা হাদীস... "রাসূলে পাক (দ,) যখন অফাত বরণ করেন তখন প্রথমে সাহাবীগন জামাত সহকারে রাসূল (দ,) এর ঘরে তাকে সামনে রেখে দাড়িয়ে দরুদ পাঠ করেন , এরপর মহিলারা জামাত সহকারে দাড়িয়ে দরুদ পাঠ করেন তারপর ছোট বাচ্ছারা জামাত সহকারে দাড়িয়ে দরুদ পাঠ করেন". ৪. খতিব সাহেব জুমার ২য় খুতবা দাড়িয়ে দেন তাতে অনেক দরুদ আছে, ৫. জানাজার নামাজ দাড়িয়ে পড়া হয় তাতে দরুদে ইব্রাহীম আছে। উপরোক্ত দলিল থেকে নিৎসন্দেহে প্রমান হয় যে রাসূল (দ,) এর সম্মানে দাঁড়ানো ও দাড়িয়ে দরুদ পড়া সাহাবাগনের সুন্নাত । অথচ বেদাত বলে যা রাসূল (দ,) এর সময় ছিলনা তা। সুতরান প্রমাণিত হল মিলাদে যে ৪টা জিনিস আছে (দরুদ, নাত, যিকির, কিয়াম) তা রাসূল (দ,) এর যুগে ছিলো। মিলাদ বিরোধীদের বলছি আপনারা কেন বেদাত বলেন? বেদাত হলেও তাতো বেদাতে হাছানা .আপনারা কেন রাসূল (দ,) এর তাজিম,মুহাবাত সয্য করতে পারেন্‌না?

ওটাই একটা প্রমান যে একমাত্র আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ই মিলাদ ততা রাসূল (দ,) এর প্রতি মোহাব্বত রাখার সর্বদা চেষ্টা করে বাকি ৭২ ফেরকা ওয়াহাবী ,মঔদুদি ,লা মাযহাবি সবাই রাসূল (দ,) এর মুহাব্বতে কিছু করা হলে তা বেদাত ,শিরক বলে পালাতে চায়। এটাইত একমাত্র প্রমান ৭২ ফেরকা সব এক ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ