Call

সুস্থ,সুন্দর ও ঝলমলে চুল প্রত্যেক নারীর স্বপ্ন কিন্ত এই চুল ঝরতে শুরু করলে এই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে রূপ নে য়।এই চুল পড়ে যাওয়া, ঝরে বা কমে যাওয়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনেও কিছুটা প্রভাব ফেলে। চুল পড়লে ব্যথা লাগে না ঠিকই কিন্তু মন ভেঙ্গে যায়। অতিরিক্ত চুল পড়তে থাকলে তা বিড়ম্বনাও সৃষ্টি করে। ছেলেদের ক্ষেত্রে অল্প বয়সে মাথায় টাক পড়া জাতীয় সমস্যা দেখা যায়। বিউটি এক্সপার্টদের মতে প্রতিদিন ১০০টি চুল পড়া স্বাভাবিক। এর বেশি হলেই সেটি চুল ঝরে পড়া সমস্যা বলে চিহ্নিত হবে। কেন চুল পড়ে? বেশ কিছু কারণে চুল ঝরতে পারে,যেমনঃ চুলে পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব, চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি (রঙ বা ট্রিটমেন্ট)করতে নানা রকমের রাসায়নিক উপাদানের অতিরিক্ত ব্যবহার, অপর্যাপ্ত ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, হরমোনের (থাইরয়েড)ভারসাম্যহীনতা, অতিরিক্ত ঔষধ গ্রহণ, খুশকি ও চর্মরোগ জাতীয় সমস্যা ইত্যাদি। অনেক সময় দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপও চুল পড়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে। চুল ঝরে পড়া কমানোর উপায়ঃ ১। চুলের জট ছাড়ানোর জন্য মোটা ও প্রশস্ত দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুন। তাতে চুল ছিঁড়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে। এরপর স্বাভাবিক চিকন দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল সাজানোর বা বাঁধার কাজ করতে পারেন। ২। ভেজা চুল আঁচড়ানো বন্ধ করুন। চুল ভেজা থাকা অবস্থায় চুলের গোড়া নরম থাকে, ফলে চিরুনি করলে চুল বেশি ওঠে বা ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। চুল শুকিয়ে গেলে বা অল্প ভেজা থাকা অবস্থায় চিরুনি করুন। ৩।অনেকেরই ভেজা চুল তোয়ালে দিয়ে অতিরিক্ত ঘষাঘষি করার অভ্যাস থাকে। আসবাবপত্র ঝাড়পোছের মত তোয়ালে দিয়ে চুলে বাড়ি দেয়ারও প্রবণতা থাকে। এমন অভ্যাসে চুলের আগা ফেটে যাওয়া, চুল ভেঙ্গে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। এসকল বদভ্যাস পরিত্যাগ করুন। ৪। নিয়মিত আপনার চিরুনি পরিষ্কার করুন। প্রতিদিনের ব্যবহারে চিরুনি দ্রুত ময়লা হয়। কাজেই সবান, পানি ও ব্রাশের সাহায্যে এটি পরিষ্কার করে নিন। অপরিচ্ছন্ন চিরুনি ব্যবহার ও চুল ঝরার একটি কারণ। প্রতিদিন গোসলের সময় বা শ্যাম্পু করার সময় খুব সহজেই এটি পরিষ্কার করা যায়। ৫। চুল পড়া কমানোর একটি সহজ ও কার্যকরী উপায় হলো চুলের গোড়ায় উষ্ণ তেল ম্যাসাজ করা। সুপ্রাচীন কাল থেকেই উপমহাদেশে চুলের যত্নে তেল ব্যবহার করা একটি স্বাভাবিক ও সাধারন ব্যাপার। নারিকেল, জলপাই, বাদাম, সরিষা প্রভৃতি তেল, চুলের যত্নে যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নিয়মিত চুলের গোড়ায় উষ্ণ তেল ম্যাসাজ করলে ফলে মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে, ত্বকের মৃত কোষ ও খুশকি দূর হবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। তেল হালকা গরম করে আঙ্গুলের বা কটন বলের সাহায্যে পুরো মাথায় চক্রাকারে ম্যাসাজ করুন। কয়েক ঘণ্টা অথবা পুরো রাত অপেক্ষা করুন, তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। চুলে তেল দেয়া অবস্থায় বাড়ির বাইরে না যাওয়ায় ভালো, কারণ তেল ধূলা, ময়লা বেশি আকর্ষন করে। এতে করে চুলে খুশকির উপদ্রব হতে পারে, তাতে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যাবে। ৬। যে সকল শ্যাম্পুতে সালফেট, সিলিকন বা প্যারাবেন জাতীয় রাসায়নিক উপাদান আছে,সেগুলো বর্জন করুন। এই ধরণের উপাদান মাথার ত্বকের ক্ষতি করে, চুলকে রুক্ষ, শুষ্ক ও মলিন করে ফেলে। চুল ভঙ্গুর ও নিষ্প্রান হয়ে যায়, ফলে চুল ঝরে পড়া ত্বরান্বিত হয়। ৭। কমপক্ষে তিন দিন পর পর চুল শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, তা না হলে ত্বকে ধুলা, ময়লা, তেল জমে ও জীবাণু জন্মাতে পারে, খুশকি হতে পারে। মাথার ত্বক সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। চুল ঝরে পড়া বন্ধে চুলের যত্নঃ ১। চুলের যত্নে অতিরিক্ত হেয়ার ট্রিটমেন্ট ও রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার বন্ধ করুন। চুলের রঙ ঘন ঘন পরিবর্তন করা, চুলে আয়রন করা, ব্লো ডাই ইত্যাদির ফলে চুল বেশি ঝরে। ২। একটি কুসংস্কার প্রচলিত আছে-“চুলের গোড়া শক্ত করে বাধঁলে চুল বড় হয়”। ধারণাটি ভুল। সবসময় চুলে শক্ত বিনুনি বা ঝুটি করলে চুলের গোড়া দূর্বল হরে পড়ে। রাবার বা ইলাষ্টিকের ব্যান্ড দিয়ে চুল শক্ত করে না বাঁধাই ভালো। চুল কম ঝরবে। ৩। চুল পড়া কমাতে ও নতুন চুল গজাতে রান্না ঘরে হানা দিন। দ্বিধার কিছু নেই, নতুন চুল গজানোর একটি ঔষধি উপায় হলো পেঁয়াজের ব্যবহার। পেঁয়াজের রস এক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী। কয়েকটি পেয়াজের রস করে তুলার সাহায্যে মাথার ত্বকে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত একদিন করে ব্যবহার করুন,উপকার পাবেন। ৪। আপনার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন। সুষম ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস আপনার চুল ও মাথার ত্বককে পর্যাপ্ত পুষ্টি সরবরাহ করবে। এতে চুল ঝরে পড়ার প্রবনতা হ্রাস পায়। যে সকল খাবারে আয়রন, ফলিক এসিড, ভিটামিন ই,ভিটামিন সি,জিংক, ভিটামিন বি ও ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ, সেগুলো বেশি করে গ্রহণ করুন। জাঙ্ক ফুড, তেলেভাজা, মেয়নেজ,বাটার যুক্ত খাবার কম খাওয়াই ভালো। তাজা শাকসবজি ও ফলমূল খান। চুল পড়া কমাতে হেয়ার প্যাকঃ উপকরণঃ ১। সদ্যপ্রস্তুত করা গ্রীন টি(গাঢ়) ৩ টেবিল চামচ ২। ১টি ডিমের কুসুম প্রস্তুত প্রণালিঃ একটি পাত্রে সদ্যপ্রস্তুত করা গ্রীন টি(গাঢ়)নিন। তাতে ডিমের কুসুম যোগ করুন। গ্রীন টি হালকা গরম হতে হবে। ভালো করে নেড়ে একটি ক্রিমের মতো মাস্ক তৈরী করতে হবে। বেশি ঘন হয়ে গেলে তাতে আর একটু গ্রীন টি যোগ করতে পারেন। পুরো চুল প্রথমে ভালো ভাবে আচঁড়ে নিন। মাথার চুল দু ভাগে ভাগ করে ধীরে ধীরে পুরো চুলে মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন। সম্ভব হলে একটি শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে পুরো মাথা ঢেকে ৩০-৪৫ মিনিট আপেক্ষা করুন,যেন মিশ্রণটি মাথার ত্বক ও চুলে সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে। এবার ঠান্ডা পানি দিতে চুল ধুয়ে ফেলুন। একটি হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল সম্পূর্নভাবে পরিষ্কার করুন। কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। সপ্তাহে দুই দিন করে ব্যবহার করলে ফল পাওয়া যাবে। উপকারিতাঃ গ্রীন টিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা চুল ঝরে পড়া রোধে সাহায্য করে। ডিমে প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন, ফ্যাট ও মিনারেলস থাকে,যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

প্রত্যেক মানুষের চুল উঠে তাদের বংশগতির জিনের প্রভাবে.ফলে কার চুল হালকা ভাবে এবং কার চুল গাঢ় ভাবে উঠে..আপনি এখন ভাল মানের সেম্পো বেবহার করতে পারেন ফলে চুল গাঢ় ও কাল হতে পারে..

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

চুল পড়ার কারণ # খুস্কি তো চুলের বিশ্বস্ত শত্রু, চুল তো সে ফেলবেই। • অতিরিক্ত শ্যাম্পু করা, স্টাইল করা ও রঙ করা চুলের জন্য ক্ষতিকর। • থাইরয়েড হরমোনজনিত বা লিভারের সমস্যাজনিত কারণেও চুল পড়তে পারে। • কেমোথেরাপি নিলে চুল পড়ে যায়। • মহিলাদের মেনোপজ হলে অর্থাৎ মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে চুল পড়ে। • অতিরিক্ত ডায়েট কন্ট্রোল করছেন ? সাবধান! এতেও কিন্তু চুল পড়ে। • ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক জনিত ইনফেকশনের কারণে চুল কমে • চুলের অযত্ন হলে সে কি আর থাকে মাথায়? • কেমিক্যাল ব্যবহারেও চুল পড়ে। • মানসিক চাপ চুলের উপরেও চাপ তৈরি করে • পরিবারের কারো রিউমাটয়েড আথ্রাটিস, হাপানি, প্যারনেসিয়াস অ্যানিমিয়া ইত্যাদি রোগ থাকলে সেই পরিবারের লোকজনের চুল পড়া রোগও হতে পারে। • রক্তস্বল্পতা, যেমনঃ আয়রনের অভাবজনিত রক্তস্বল্পতা চুল পড়ার কারণ । • বিভিন্ন রকমের রোগ যেমনঃ ডায়াবেটিস, অটোইমিউন রোগ যেমন- লুপাস, মূত্রনালীর প্রদাহ, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম ইত্যাদি চুল পড়ার কারণ। • নানা ধরনের ওষুধ যেমনঃ জন্মনিয়ন্ত্রিন পিল, এনটি ডিপ্রেসেন্ট, বিটা ব্লকার, কিছু এনএসএআইডি, ইমিউনো সাপ্রেসিভ এজেন্টস ইত্যাদি সেবন করলে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে চুল পড়ে যেতে পারে। • হঠাৎ করে ওজন কমে যাচ্ছে ? চুলও কমে যেতে পারে। • হজমের সমস্যায়ও চুল পড়তে দেখা যায়। আসুন জেনে নেই চুল পড়ার কি চিকিৎসা – • চুল পড়া রোধ করতে এবং পুনরায় চুল গজাতে 5% মিনোক্সিডিল (যা ৫% মিন্টপ টপিকাল লোশন বা সল্যুশন নামে বাজারে পাওয়া যায়)খুবই ভাল একটি ওষুধ যা ৯০% ক্ষেত্রেই উপকারী। এই ওষুধ দিনে দুবার ব্যবহার করতে হয়। • ফাংগাসের কারণে চুল পড়লে অ্যান্টিফাংগাল ক্যাপসুল (যেমনঃ ফ্লুকোনাজল) খেতে হবে আর মাথায় অ্যান্টিফাংগাল শ্যাম্পু (যেমনঃ কিটোকোনাজল যা ডানসেল / নিজোরাল / সিলেক্ট প্লাস ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়) সপ্তাহে ২ / ৩ বার দিতে হবে। • ট্যাবলেট. ফিনেসটেরাইড ৫ মিঃ গ্রাঃ (যা প্রোনর / প্রসফিন ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়) প্রতিরাতে একটা খেলে চুল পড়া অনেকাংশে প্রতিরোধ হয়। এটি প্রায় ৮৮% পুরুষের ক্ষেত্রে চুল পড়ার গতি কমাতে এবং প্রায় ৬৬% পুরুষের ক্ষেত্রে পুনরায় চুল গজাতে সাহায্য করে, তবে গর্ভধারণ করার ক্ষমতা বা বয়স আছে এমন মহিলারা এ ওষুধ সেবন করবেন না। • থাইরয়েড হরমোনজনিত সমস্যা, লিভারের সমস্যা, ডায়াবেটিস, অটোইমিউন রোগ, আয়রনের অভাবজনিত রক্তস্বল্পতা, মূত্রনালীর প্রদাহ, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম ইত্যাদি রোগের কারণে যদি চুল পড়ে তাহলে রোগের চিকিৎসা করলে চুল পড়া কমে যাবে। • দেহের প্রদাহ জনিত কারণে বা অটো ইমিউন রোগে চুল পড়লে স্কাল্পে (মাথার চামড়ায়) করটিকোস্টেরয়েড ইনজেকশন দিতে হবে। • চিড়নী, ব্রাশ ও অন্যান্য হাত দিয়ে ধরা যায় এমন ডিভাইস যা আলো নিঃসরণ করে, চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আসলে চুল পরার অনেক কারনই আছে কিন্ত তার মধ্যে দুশ্চিন্তা অন্যতম অতিরিক্ত টেনশনের কারনে চুল পড়ে যায়। চুল পরার কারন :- ঔষধের প্রতিক্রিয়াঃ ঔষধের কারণে হঠাৎ চুল পরে যেতে পারে এবং সারা মাথার চুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অসুখ হওয়ার কারণে শারীরিক অসুস্থতার কারণে চুল পরতে পারে। মাথায় ফাংগাল ইনফেকসান হলে মাথার কোন অংশে টাক পরে যেতে পারে বংশগত টাক পরার ধাত ছেলেদের চুল পরার একটা ধরণ আছে (প্রথমে মাথার সামনে তার পর মাথার মাঝখান) এটা বেশির ভাগ পুরুষদের হয় এবং এটা অল্প বয়সেই শুরু হতে পারে। নিবারণ করাঃ চুল পরা কিছু মাত্রায় কমানো যায় ঠিক ঠাক প্রয়োজনীয় খাবার খেলে, চুলে ব্যবহার করা তেল,সাবান ঠিক করে বাছলে এবং চুল পরা বন্ধ করে এমন ঔষধ খেয়ে। ফাংগাল ইনফেকসান হলে চুল পরিষ্কার রাখতে হবে কারোর সাথে চিরুনি, টুপি অদলবদল করা যাবে না। বংশগত চুল পরা চিকিত্সার মাধ্যমে সারানো যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

মাসে ৩বার মাথায় গাছের মেহেদি বেটে ব্যাবহার করুন আমি প্রমানিত আমার হয়েছিল।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Masumakonda

Call

সকল কিছু বিবেবেচনা করে চুল পরার চিকিৎসার সহায়তার জন্য ২০ টি প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে যা নীচে বর্ণনা করা হয়েছে। ১. দৈনিক চুল ধোয়ার জন্য হালকা ধরণের শ্যম্পুর ব্যবহারঃ অনেক পরিমাণে চুল ঝরে পরা রোধ করার জন্য সব সময় চুল এবং মাথার ত্বক পরিস্কার রাখার জন্য সুপারিশ করা হয় যার জন্য দৈনিক চুল ধোয়া প্রয়োজন। রোজ চুল ধোয়া মাথার ত্বকে খুশকি বা সংক্রমণের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। এই খুশকি বা সংক্রমণই হল চুল ঝরে পরার আসল কারণ। এছাড়াও এই পরিষ্কারকটি চুলের পরিমাণকে অনেক বেশী করে দৃশ্যমান করে। ২. ভিটামিন গ্রহণের পরিমাণ বাড়িয়ে দিনঃ ভিটামিনকে শুধুমাত্র সমস্ত দেহের জন্যই কার্যকর মনে করা হয় না বরং চুলের জন্যও তা প্রযোজ্য। বিশেষত মাথার ত্বকে থাকা sebum এর উৎপাদনে সহায়তার জন্য ভিটামিন A কে প্রয়োজনীয় মনে করা হয়। আরেকটি ভিটামিন হল E যা মাথার ত্বকে রক্ত ভাল ভাবে সংবহনে সহায়তা করে যার ফলে চুলের কোষ বৃদ্ধির মাধ্যমে আরও বেশী চুল গজাতে সাহায্য করে। এছাড়াও চুলের রঙ বজায় রাখার জন্য ভিটামিন B এর গ্রহণ বাড়িয়ে দেয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়। ৩. খাদ্য তালিকায় প্রোটিন যোগ করুনঃ চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রোটিনের প্রয়োজন হয় যা মাছ, চর্বি বিহীন মাংস, সয়া এবং আরও নানা ভাবে পাওয়া যায় যা চুল ঝরে পরাকেও প্রতিরোধ করে। ৪. ম্যসাজের জন্য এসেন্সিয়াল অয়েল ব্যবহার করুনঃ যারা পূর্ব থেকেই চুল ঝরে পরা সমস্যায় ভুগছেন তারা এসেন্সিয়াল অয়েল দিয়ে মাথার ত্বক কয়েক মিনিট ধরে ম্যাসেজ করে দেখতে পারেন। সরিষার তেল বা কাঠবাদামের তেলের মত এসেন্সিয়াল তেলের সাথে ল্যাভেন্ডার মিশিয়ে ব্যবহার করলে এটা নিশ্চিত হওয়া যায় যে চুলের গোঁড়ার কোষ সমূহ দীর্ঘ সময়ের জন্য সক্রিয় থাকবে। ৫. ভেজা চুলে চিরুনি ব্যবহার করবেন নাঃ যখন চুল পানিতে ভেজা থাকে তা সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় থাকে এজন্য ভেজা চুলে চিরুনি চালালে চুলের ঝরে পরার পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই ভেজা চুলে চিরুনি না ব্যবহার করার সুপারিশ করা হয়। যদি কখনো ভেজা চুলে চিরুনি করার প্রয়োজন হয় তবে চওড়া দাঁত বিশিষ্ট চিরুনি ব্যবহার করুন। যেহেতু অতিরিক্ত চুল আঁচড়ানো চুলের ক্ষতির কারণ এবং চুল ঝরে পরার কারণ বলে মনে করা হয় তাই এতে কোন জট পরলে চুলের ভেতর আঙ্গুল চালিয়ে তা ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে বলা হয়। ৬. পিঁয়াজ, আদা বা রসুনের রসঃ এগুলোর যে কোনটির রস করে মাথার চামড়াতে ভাল করে ঘষে মেখে সমস্ত রাত রেখে দিন এবং সকালে ধুয়ে পরিস্কার করে ফেলুন। এটি যদি অন্তত এক সপ্তাহ দৈনিক ব্যবহার করা হয় তবে চুল ঝরে না পরার ব্যপারে ভাল কিছু ফলাফল পাওয়া যায়। ৭. পানি গ্রহণের মাত্রা বাড়িয়ে দিনঃ প্রতি গোছা চুলে বেশ পরিমাণে পানি থাকে এজন্য নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার জন্য সুপারিশ করা হয়। এতে করে চুলে পানির সঠিক পরিমাণ বজায় থাকে এবং চুলের স্বাস্থ্য নিশ্চিত হয়। ৮. সবুজ চাঃ একটি জরিপে দেখা গেছে যে চুলে সবুজ চা ঘষে চুল ঝরে পরার চিকিৎসা করা যায়। এর জন্য প্রয়োজন শুধুমাত্র দুইটি টি ব্যাগ। টি ব্যাগ দুটি কাপে নিয়ে তাতে ফুটন্ত পানি দিন। এর পর তা ঠাণ্ডা হলে চুলে প্রয়োগ করুন। ধুয়ে ফেলার পূর্বে অন্তত এক ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। ভাল ফলাফল পেতে অন্তত এক সপ্তাহ ধরে বা আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী এর বেশী সময় ধরে এ পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। ৯. চুলের জন্য যা ক্ষতিকর তা চিহ্নিত করুনঃ আপনার চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য প্রথমেই কিভাবে ভাল ভাবে চুলের যত্ন নিতে হবে তা শেখার জন্য সুপারিশ করা হয়। টাওয়েল দিয়ে না ঘষে স্বাভাবিক ভাবে চুল শুকিয়ে যেতে দেয়া অনেক ভাল। ১০. অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুনঃ যারা চুল ঝরে পরা সমস্যার শিকার তাদের অ্যালকোহল গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে দেয়া উচিত। এটা জানা গেছে যে অ্যালকোহল পান চুলের বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্থ করতে পারে। ১১. ধূমপান নয়ঃ সিগারেট পানে মাথার চামড়াতে রক্ত সংবহনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। এটি সরাসরি চুলের বৃদ্ধিকে কমিয়ে দিয়ে প্রভাবিত করে। ১২. নিয়মিত শরীরচর্চাঃ দৈনিক কিছু সময় নিয়মিত শারীরিক কার্যক্রম করলে, যা হতে পারে অন্তত আধ ঘণ্টার জন্য হাঁটাহাঁটি বা সাঁতার কাটা, শরীরের হরমোনের ভারসাম্য সঠিক থাকে এবং একই সাথে মানসিক চাপ এবং চুল ঝরে পরা কমায়। তাই নিয়মিত ভাবে এ ধরণের কাজ করার জন্য সুপারিশ করা হয়। ১৩. মানসিক চাপের বিরুদ্ধে লড়াই করুনঃ চুল ঝরে পরার জন্য মানসিক চাপকে অন্যতম কারণ হিসাবে গন্য করা হয়। এজন্য চুল ঝরে পরা বন্ধের জন্য প্রথমেই মানসিক চাপকে পরাস্ত করার জন্য বলা হয়। মানসিক চাপ কমানোর কয়েকটি প্রচেষ্টার মধ্যে আছে ইয়োগা এবং মেডিটেশন যেগুলিকে মনে করা হয় হরমোনের সঠিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার জন্য অন্যতম উপায়। ১৪. ঘন ঘন heating and drying থেকে বিরত থাকুনঃ চুলকে ঘন ঘন heating and drying প্রক্রিয়ার মধ্যে যেতে দিবেন না, কারণ এর ফলে চুলের প্রোটিন কমে যায়। এতে করে চুল দুর্বল হয়ে যায় এবং একে ভঙ্গুর করে ফেলে। ১৫. মাথা ঘামতে দিবেন নাঃ যাদের মাথার চামড়া তেলতেলে হয় তাদের খুসকি সমস্যা হতে দেখা যায়, বিশেষ করে গ্রীষ্ম কালে। এ কারণে মাথা ঘামার কারণে চুলের ঝরে পরার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। খুসকিতে চুল আক্রান্ত হওয়া প্রতিরোধ করতে অ্যালোভেরা এবং নিম সমৃদ্ধ শ্যাম্পু চুলে ব্যবহার করার জন্য সুপারিশ করা হয়। যারা নিয়মিত হেলমেট পরেন তাদেরকে চুল ঝরে পরা সমস্যায় ভুগতে বেশী দেখা যায়। এর কারণ বদ্ধ অবস্থায় মাথার চামড়া ভেজা থাকলে চুলের কোষগুলি বন্ধ হয়ে যায় ফলে চুল ঝরে পরে। হেলমেট পরার কোন বিকল্প না থাকলে মাথায় স্কার্ফ বেধে তারপর হেলমেট পরে চুল ঝরে পরার সমস্যা কমানো যায়। ১৬. চুলের স্টাইল পরিবর্তন করুনঃ Braids এবং ponytails এর মত চুলের স্টাইলে চুল টেনে বাধা হয় ফলে চুলের গোঁড়ার কোষে ক্রমাগত টান পরার ফলে চুল উঠে টাক পরার সম্ভাবনা দেখা দেয়, এ জন্য আপনাকে চুলের স্টাইলের পরিবর্তন করতে হতে পারে। ১৭. সুস্বাস্থ্য বজায় রাখুনঃ চুলের সমস্যা সুস্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত। স্বাস্থ্যবান চুল পাওয়ার জন্য সংক্রমণ, জ্বর বা অন্য কোন অসুস্থতা থেকে মুক্ত থাকতে হবে। ১৮. উপযুক্ত ঔষধের খোজ করুনঃ কিছু ঔষধ আছে যা শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে যার ফলে চুল ঝরে পরে যেতে পারে। এজন্য ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে সঠিক ঔষধ বেছে নেয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়। ১৯. কেমিকেল পরিহার করুনঃ কিছু কেমিকেলের কারণে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এমনকি চুল রং করার রাসায়নিক পন্যের কারণেও অনেক সময় চুল ঝরে পরে যেতে দেখা যায়। ২০. নিয়মিত বিরতিতে ডাক্তারের সাথে দেখা করুনঃ চুল ঝরে পরার একটা কারণ হতে পারে হরমোনের পরিবর্তন যা একটি সুস্থ্যতা সংক্রান্ত বিষয় এবং এর সাথে ত্বকের বিষয়টিও জড়িত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call
চুলের সমস্যা এখন একটি common problem,ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে সবাই এই সমস্যায় ভোগেন। নানা রকম ভাবে তারা এটা সমাধান করার চেষ্টা করেন। দীর্ঘদিন ধরে চেস্টার পর তাদের হতাশা পেয়ে বসে। কিন্তু মাথায় নতুন চুলও উঠেনা চুল ঘনও হয়না। পাতলা বা টাক মাথা নিয়ে তৈরী হয় হীনমন্যতা। মেয়েরা তো পাতলা চুল নিয়ে নানান সামাজিক চাপেও পরেন বলে আমরা দেখতে পাই। অথচ সঠিক চিকিৎসা নিলে এইটা তেমন কোন সমস্যা হিসাবেই পরিগণিত হওয়ার কথা না। চুল পরা বন্ধ করা ,চুলের বৃদ্ধি ঘটানো বা চুল মোটা করতে সাহায্য করে PRP বা Platelet Rich Plasma পদ্ধতির চিকিৎসা। 
PRP ( Platelet Rich Plasma ): রক্তের Platelet বা অণুচক্রিকা আছে চুলের মধ্যে , আছে বিভিন্ন ধরনের growth Factor যা, নতুন চুল গজায় ও চুল মোটা করে। ডাক্তারের পরার্মশে আপনার শরীর থেকে সামান্য ইকটু রক্ত নিয়ে মেসিনের সাহায্যে রক্তের Platelet Rich Plasma(PRP) আলাদা করা হয় ও মাথার স্কিনে চিকন Insulin Syringe দিয়ে ইনজেকসন হিসাবে দেয়া হয়। ইনজেকসন দেয়ার আগে ওই স্থান টি অবশ করা হয় । 
  • চুল পড়া বন্ধ করে । 
  • নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। 
  • চুলের বৃদ্ধিতে ও চুল মোটা হতে সাহায্য করে । 
  • PRP চুল পড়া রোগীর নিজের রক্ত থেকে তৈরী করা হয় বলে এটি ১০০% নিরাপদ। এবং কোন ধরনের Side Effect নেই । 
  • PRP একটি দীর্ঘ মেয়াদি প্রক্রিয়া , পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়ম মেনে শেষ না করলে রেজাল্ট পাওয়া কঠিন। চিকিৎসা শুরুর আগে মেশিন দিয়ে চুলের শিকড় বা Root intact আছে কি না তা পরীক্ষা করে নেয়া হয়। 
আপনার চুলের সমস্যার সমাধান করতে আজই ডাক্তারের সাথে কনসাল্ট করুন। আপনার ফোন নাম্বার সহ আমাদেরকে message করুন আপনার চুলের সমস্যার কথা।

ডাঃ মোঃ মাহাবুবুর রহমান শাহিন

কসমেটিক, ডার্মাটোলজিক ও হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন

অরোরা স্কিন এন্ড এস্থেটিক্স, ইউনিয়ন হাইট (লেভেল-৪), স্কয়ার হাসপাতালের পাশে, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা-১২০৫

ফোন:  01717445255 
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ