তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে উৎকর্ষতা এনে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। এ খাতের যে সম্ভাবনা রয়েছে তার পুরোটাই কাজে লাগানোর চিন্তা করতে হবে। সরকার অবশ্য ইতোমধ্যে এ খাতের উন্নয়নে বহুবিধ কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। হাইটেক পার্ক স্থাপনসহ ছেলেমেয়েদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তোলার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে দেশের নতুন প্রজন্ম তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আয়ত্ত করায় বেশ উৎসাহী এখন। অনেকে নিজের চেষ্টাতে দক্ষ হয়ে উঠেছেন। যদি তারা আরও প্রশিক্ষিত হয়ে ওঠেন তাহলে তাদের কাছ থেকে আরও ভালো কিছু আশা করা যাবে। ২০২১ সাল নাগাদ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত থেকে রফতানির মাধ্যমে ৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। এ লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। জানা যায়, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের আগ্রহী করে তোলা ও সম্পৃক্ততা বাড়াতে দেশের ৬৪ জেলার নির্বাচিত সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প শুরু করবে সরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বছরব্যাপী ক্যারিয়ার ক্যাম্প চালানো হবে। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে আমরা দুর্বার’ স্লোগান ছড়িয়ে দেওয়া হবে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায়। এর কার্যক্রমও শুরু হচ্ছে দ্রুত। বর্তমানে দেশজুড়ে কাজ করা ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সারের পাশাপাশি আইসিটি খাতে আরও ৪২ হাজার নতুন চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করতে এই কার্যক্রম শুরু করা হবে। দেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে ক্রমান্বয়ে শক্ত অবস্থান তৈরি হচ্ছে। এ নিয়ে সরকারের যে বিপুল উদ্যোগ তা বাস্তবায়িত হলে এ খাতে হাজার হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি যেমন হবে, পাশাপাশি বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনও সম্ভব হবে। যেসব দেশ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে উন্নত অবস্থান তৈরি করেছে, ওইসব দেশ এ খাত থেকে প্রচুর অর্থ আয় করছে। অন্যদিকে চাকরির সংস্থান করেছে। বাংলাদেশেও সেটা সম্ভব। যখন একটি দেশের যুবক শ্রেণির আত্নকর্মসংস্থান গড়ে উঠে,তথ্য প্রযুক্তির ছোঁয়ায়, যখন বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে তথ্য প্রযুক্তির ছোঁয়ায় তখন অবশ্যই আমরা বলতে পারি তথ্য প্রযুক্তির সুষম ব্যবহার একটি দেশের আর্শীবাদ,গড়ে তুলতে পারে স্বনির্ভর অর্থনীতি।