সত্যিকারের ড্রাকুলা, ভ্লাড দ্যা ইমপেলার মারা গিয়েছিল উসমানীয় খেলাফতের হাতে।
বর্তমান রোমানিয়া, তৎকালীন ওয়ালেচিয়ার রাষ্টক্ষমতা ছিল ২য় ভ্লাড ড্রাকুল এর হাতে।তারই দুই ছেলে ভ্লাড ৩য় বা ভ্লাড দ্যা ইমপেলার এবং রাদু।
উসমানীয় খিলাফত ইস্তাম্বুলে প্রতিষ্ঠার পর,সুলতানরা ইউরোপের দিকে তাদের রাজ্যের বিস্তার শুরু করে।
উসমানীয়দের রীতি ছিল যদি কোন শাসক উসমানীয়দের আনুগত্য মেনে নেয় এবং জিজিয়া কর দেয় তাহলে তাদের সাথে যুদ্ধ করত না।
তাছাড়া সুরক্ষা হিসেবে শাসকের দুই ছেলে সন্তানকে উসমানীয়দের হাতে তুলে দিতে হত।উসমানীওরা তাদের ইসলামী শিক্ষায় বড় করে তুলত।
ভ্লাড ২ শর্ত অনুযায়ী তার দুই সন্তান ভ্লাড ড্রাকুলা এবং রাদুকে তাদের হাতে তুলে দেয়।
ড্রাকুলা এবং রাদু দু জনই বিজ্ঞান,ধর্ম,সাহিত্য,যুদ্ধ বিদ্যায় পারদর্শী হয়ে উঠে।দু জনেই কুরআন পড়তে জানত।রাদু পরবর্তীতে ইসলাম গ্রহণ করে।
ভ্লাড ড্রাকুলা তার পিতার মৃত্যুর পর ওয়ালিচায় ফিরে যায়।সে উসমানীয়দের আনুগত্য অস্বীকার করা শুরু করে এবং জিজিয়া দিতে অস্বীকার করে।
তৎকালীন সুলতান মুহাম্মাদ তার দু জন দূতকে ড্রাকুলার দরবারে প্রেরণ করলে ড্রাকুলা তাদের পাগরির সাথে মাথাকে পেরেক দিয়ে বিদ্ধ করে হত্যা করে।
সুলতান মুহাম্মাদ যুদ্ধের জন্য সৈন্য প্রেরণ করে কিন্তু।যেহেতু ড্রাকুলা উসমানীয়দের যুদ্ধ কৌশল জানত তাই তাদের হারাতে সামর্থ হয়।
ড্রাকুলা তার শত্রুদের ধাতব বা কাঠের লম্বা লাঠি পিঠ দিয়ে প্রবেশ করিয়ে শরীর ভেদ করিয়ে তা যুদ্ধক্ষেত্রে ঝুলিয়ে রাখত।সেদিনও প্রায় ২০ হাজার উসমানীয় সৈনিক এর মৃতদেহ যুদ্ধক্ষেত্রে এভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছিল।
এ ধরণের হত্যা কারণেই ড্রাকুলা তার উপাধি পেয়েছিল ইম্পেলার।
সুলতান মুহাম্মাদ পরবর্তীতে তার ভাই রাদুকে যুদ্ধের জন্য পাঠায়।
যুদ্ধে ড্রাকুলা পরাজিত হয়,তার খন্ডিত মাথা ইস্তাম্বুলের প্রাসাদের সামনে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।
ড্রাকুলা অত্যাচারী রাজা ছিল,সে ভয়ংকর ভাবে তার শত্রুদের হত্যা করত।কখনও জীবন্ত গরম পানিতে ফেলে দিত,কখনও হাত, পা খন্ড খন্ড করা হত।তার পিতা ও বড় ভাই তাদের সাম্রাজ্যের অধিবাসীদের দ্বারাই খুন হয়।
পশ্চিমারা কখনও এটা বলে ড্রাকুলা মুসলিমদের হাতে মারা গিয়েছিল এমনকি গুগলেও এসম্পর্কিত তথ্য কম।
অন্যদিকে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে ভর্তি।যেগুলো পরস্পর বিরোধী।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে