Call

আমাদের সমাজে একটি কথা প্রচলিত আছে যে স্বামীর বাঁ পাজরের হাড় থেকে তার স্ত্রীকে তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এটি পুরোপুরি ভুল এবং মিথ্যা একটি কথা। আসল ব্যাপার হলো, কেবলমাত্র বিবি হাওয়া (আ:) কে তৈরি করা হয়েছে হযরত আদম (আ:) এর পাজরের হাড় থেকে। আর বাকি সকল নাড়িজাতিকে সাধারন অবস্থায় সৃষ্টি করা হয়েছে। কারো হাড় থেকে তৈরি করা হয়নি। কাজেই কোন স্ত্রী'ই তার স্বামীর পাজরের হাড় থেকে সৃষ্টি নয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

- ﴿ ﻳَﺎﺃَﻳُّﻬَﺎﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﺍﺗَّﻘُﻮﺍْﺭَﺑَّﻜُﻤُﺎﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻤﻤِّﻨﻨَّﻔْﺲٍ ﻭَﺍﺣِﺪَﺓٍﻭَﺧَﻠَﻘَﻤِﻨْﻬَﺎﺯَﻭْﺟَﻬَﺎﻭَﺑَﺜَّﻤِﻨْﻬُﻤَﺎﺭِﺟَﺎﻻًﻛَﺜِﻴﺮﺍًﻭَﻧِﺴَﺎﺀ﴾ - হে মানব সকল! তোমাদের পরওয়ারদিগারকে ভয় কর। যিনি তোমাদেরকে একক সত্তা থেকে সৃষ্টি করেছেন। আর তা থেকে তার সহধর্মিণীকেও এবং ঐ দু’জন থেকে অনেক পুরুষ ও নারী সৃষ্টি করেছেন (নিসা : ১)। - ﴿ ﻫُﻮَﺍﻟَّﺬِﻳﺨَﻠَﻘَﻜُﻢ ﻣِّﻨﻨَّﻔْﺴٍﻮَﺍﺣِﺪَﺓٍ ﻭَﺟَﻌَﻠَﻤِﻨْﻬَﺎﺯَﻭْﺟَﻬَﺎ ﴾ -তিনিই তোমাদেরকে একক সত্তা থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তার থেকে তার স্ত্রীকেও (আ’রাফ : ১৮৯)। - ﴿ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻤﻤِّﻨﻨَّﻔْﺲٍ ﻭَﺍﺣِﺪَﺓٍﺛُﻤَّﺠَﻌَﻞَ ﻣِﻨْﻬَﺎﺯَﻭْﺟَﻬَﺎ ﴾ - তোমাদেরকে এক সত্তা থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তা থেকে তার স্ত্রীকেও (যুমার : ৬)। - ﴿ ﻭَﻣِﻨْﺂﻳَﺎﺗِﻬِﺄَﻧْﺨَﻠَﻘَﻠَﻜُﻤﻤِّﻨْﺄَﻧﻔُﺴِﻜُﻢْ 1571# َ;ﺯْﻭَﺍﺟﺎً ﴾ - আর এটা তাঁর নিদর্শনমূহের নমুনা স্বরূপ যে, তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সহধর্মিণী সৃষ্টি করেছেন (রূম : ২১)। - ﴿ ﻭَﺍﻟﻠّﻬُﺠَﻌَﻠَﻠَﻜُﻢ ﻣِّﻨْﺄَﻧﻔُﺴِﻜُﻤْﺄَﺯْﻭَﺍﺟﺎً ﻭَﺟَﻌَﻠَﻠَﻜُﻤﻤِّﻨْﺄَﺯْﻭَﺍﺟِﻜُﻢ ﺑَﻨِﻴﻨَﻮَﺣَﻔَﺪَﺓ ﴾ - আর আল্লাহ্ তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রী নির্দিষ্ট করেছেন এবং তোমাদের স্ত্রীদের থেকে সন্তান ও পৌত্রদের সৃষ্টি করেছেন (নাহ্ল : ৭২)। - ﴿ ﺟَﻌَﻠَﻠَﻜُﻤﻤِّﻦْ ﺃَﻧﻔُﺴِﻜُﻤْﺄَﺯْﻭَﺍﺟﺎً ﴾ - তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীগণকে সৃষ্টি করেছেন (শুরা: ১১)। বাহ্যিকভাবে দেখা যায় যে, প্রথম তিনটি আয়াতে বলা হয়েছে সমস্ত মানুষ একটি নফস (সত্তা) থেকে সৃষ্টি হয়েছে এবং তাদের স্ত্রীগণও ঐ নফস থেকেই সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু পরের তিনটি আয়াতে উক্ত বিষয়টিকে সমস্ত পুরুষের প্রতি ইশারা করে বলা হচ্ছে যে, তোমাদের স্ত্রীগণকে তোমাদের থেকেই সৃষ্টি করা হয়েছে। যদি আমরা একটুখানি এই বিষয়ের প্রতি গভীর দৃষ্টি দেই তবে এটা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে, এ আয়াতসমূহে আল্লাহ্ তা’য়ালা এটাই বুঝাতে চেয়েছেন যে, তাদের স্ত্রীগণ সৃষ্টিগত উৎসের দৃষ্টিতে তাদেরই প্রকৃতির, ভিন্ন প্রকৃতির নয়। এটা নিশ্চয় বুঝাতে চাননি যে, স্ত্রীগণ তাদের দেহের অংশ থেকে সৃষ্টি হয়েছে। যদি তাই হয়ে থাকে তবে বলতে হয় যে, প্রতিটি স্ত্রীই তার স্বামীর দেহের অংশ থেকে সৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তী তিনটি আয়াত প্রথম তিনটি আয়াতকে ব্যাখ্যা করেছে, যাতে করে বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ