আমরা ছোট বেলায় বইয়ে পড়েছি আল্লা নিরাকার। এখন আমার এলাকার এক কাকু আল্লহর আকার আছে এবং এর পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছেন। আল্লাহ নিরাকার এর পক্ষে যুক্তি চাই বা আল্লা নিরাকার কোথায় লেখা আছে তা চানতে চাই ?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আল্লাহ তা‘আলার আকার আছে, তিনি নিরাকার নন। নিরাকার অর্থ যা দেখে না, শুনে না। কিন্তু আল্লাহ সবকিছু দেখেন, শোনেন। তিনি এ বিশ্বজাহান ও সমস্ত সৃষ্টির একমাত্র স্রষ্টা, নিয়ন্তা ও পরিচালক। তিনি মানুষকে রিযিক দান করেন, রোগাক্রান্ত করেন ও আরোগ্য দান করেন। সুতরাং তাঁর আকার নেই, একথা স্বীকার করা তাঁর অস্তিত্বকে অস্বীকার করারই নামান্তর। আল্লাহ শুনেন, দেখেন, উপকার-ক্ষতি, কল্যাণ-অকল্যাণ বিধান করেন। তিনি জীবন-মৃত্যুর মালিক, সকল সমস্যার একমাত্র সমাধানদাতা। সুতরাং মহান আল্লাহ নিরাকার নন; বরং তাঁর আকার আছে। (১) আল্লাহ বলেন, ﻟَﻴْﺲَ ﻛَﻤِﺜْﻠِﻪِ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻫُﻮَ ﺍﻟﺴَّﻤِﻴْﻊُ ﺍﻟﺒَﺼِﻴْﺮُ. ‘কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নয়, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা’ (শূরা ৪২/১১) । (২) আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺳَﻤِﻴْﻌﺎً ﺑَﺼِﻴْﺮﺍً. ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা’ (নিসা ৪/৫৮) । (৩) অন্যত্র আল্লাহ বলেন, ‘ওটা এজন্য যে, আল্লাহ রাত্রিকে প্রবিষ্ট করেন দিবসের মধ্যে এবং দিবসকে প্রবিষ্ট করেন রাত্রির মধ্যে এবং আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সম্যক দ্রষ্টা’ (হজ্জ ২২/৬১) । (৪) ‘হে নবী! তুমি বল, তারা কত কাল ছিল, আল্লাহই তা ভাল জানেন, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর অজ্ঞাত বিষয়ের জ্ঞান তাঁরই। তিনি কত সুন্দর দ্রষ্টা ও শ্রোতা’ (কাহফ ১৮/২৬) । ইবনু জারীর (রহঃ) বলেন, ‘সমস্ত সৃষ্টজীবকে আল্লাহ তা‘আলা দেখেন ও তাদের সকল কথা শুনেন। তাঁর নিকট কোন কিছুই গোপন থাকে না’। [13] ক্বাতাদা (রহঃ) বলেন, ‘আল্লাহর থেকে কেউ বেশী দেখেন না ও শুনেন না’। [14] ইবনু যায়েদ (রহঃ) বলেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা সৃষ্টজীবের সকল কাজকর্ম দেখেন এবং তাদের সকল কথা শুনেন। তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা’। [15] বাগাবী (রহঃ) বলেন, ‘সমস্ত সৃষ্টজীব যেখানেই থাকুক না কেন আল্লাহ তা‘আলা তাদের দেখেন এবং তাদের সর্বপ্রকার কথা শ্রবণ করেন। তাঁর দেখার ও শুনার বাইরে কোন কিছুই নেই’।[16] (৫) আল্লাহ তা‘আলা মূসা ও হারূণ (আঃ)- কে লক্ষ্য করে বলেন, ﻻَ ﺗَﺨَﺎﻓَﺎ ﺇِﻧَّﻨِﻲْ ﻣَﻌَﻜُﻤَﺎ ﺃَﺳْﻤَﻊُ ﻭَﺃَﺭَﻯ ‘তোমরা ভয় করো না, আমি তো তোমাদের সঙ্গে আছি, আমি শুনি ও আমি দেখি’ (ত্ব-হা ২০/৪৬) । এখানে আল্লাহ মূসা ও হারূণের সাথে থাকার অর্থ হচ্ছে- তিনি আরশের উপর সমাসীন। আর মূসা ও হারূণ (আঃ)-এর উভয়ের সাথে আল্লাহর সাহায্য রয়েছে এবং তিনি তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করছেন। সুত্র:ইসলামিক অনলাইন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আপনি যে ছোট বেলা বইতে পড়েছেন, আল্লাহ নিরাকার এ কথাটা সঠিক নয়। নিরাকার অর্থ আকার-আকৃতিহীন।  আল্লাহর আকার আকৃতি নেই এ কথা কুরআন হাদীসে কোথাও নেই। তাঁর শরীক নেই, তাঁর সমতুল্য নেই এভাবে  কথাগুলো আছে। তবে আল্লাহর আকার আকৃতি সম্বন্ধে আমাদের কিছু জানানো হয় নি। সুতরাং আল্লাহ নিরাকার এর পক্ষে আপনি যুক্তি চাইলেও আমরা দিতে পারবো না। এবং আল্লাহ নিরাকার এটা কোথায় লেখা আছে এটাও আমরা দেখাতে পারব না। সুতরাং আপনার কাকুর সাথে আর এ নিয়ে বিতর্কে জড়ানোর প্রয়োজন নেই। ধন্যবাদ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

Call

আল্লাহর আকার কেমন তা সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে আমাদের জানা সব নয়। তার আকার কেমন হবে তা আমাদের জ্ঞানের বাইরে ।  ছোটবেলায় সহজে এই বিষয়টি বোঝাবার জন্য এরুপ লেখা হয়ে থাকে।  যা একটি বড় ভুল।  আল্লাহর অবশ্যই  আকার আছে। কিন্তু কেমনএটা দুনিয়ায় কল্পনা করা মানুষের পক্ষে অসম্ভব      

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ