পহেলা বৈশাখের দিন আমাদের স্কুলে একটা তর ক বিতর ক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিষয়ঃ পহেলা বৈশাখ পালন করা কী ঠিক এর পক্ষে ও বিপক্ষে ।।। আমি বিপক্ষে দলের সদস্য। তাই এই বিষয়ের উপর বিপক্ষে কিছু তথ্য ও যুক্তি চাই। ।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব হলেও,আজ প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে কেন আমরা পহেলা বৈশাখ পালন করা ঠিক কি না? আসলে বর্তমান আমাদের পরিবেশ এ আমাদের এমন একটি পরিবেশে দাঁড় করিয়েছে। আর বিপক্ষ দলের বক্তা হিসেবে আমি প্রমাণ করব পহেলা বৈশাখ পালন মোটেও যুক্তিগত নয়। লক্ষ্য করুন:- বিডিনিউজ এর একটি সংবাদ ২৩এপ্রিল ২০১৫ মহাভারতে পড়েছি দুর্যোধনের প্ররোচনায় দুঃশাসন যখন প্রকাশ্য সভায় দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ করছিল, তখন কর্ণ ও শকুনি তাকে উৎসাহ দিচ্ছিল এবং অধোবদনে নিশ্চেষ্ট বসেছিলেন ভীষ্ম, দ্রোণ, কৃপাচার্যর মতো প্রবীণ বীরপুরুষেরা। সেই সভায় উপস্থিত কেউ এগিয়ে আসেননি দ্রৌপদীকে রক্ষা করতে। বিপন্ন নারীর আকুতিতে বা আর্তনাদে কোনো বীরপুরুষের পৌরুষ জেগে ওঠেনি। সকলেই যেন অসহায়ভাবে দৃশ্য্যটি দেখছিলেন। দ্রৌপদীকে সমর্থন করেছিলেন একমাত্র বালক বিকর্ণ। আর শ্রীকৃষ্ণ রক্ষা করেছিলেন তাকে চরম লাঞ্ছনা থেকে। মহাভারতের যুগ থেকে আমরা এখন পৌছেছি একুশ শতকে। কিন্তু বিকৃত রুচির দুঃশাসনদের প্রবৃত্তির খুব একটা রদবদল ঘটেনি। পহেলা বৈশাখের দিনে আবার যেন সে নাটকেরই পুনরাভিনয় হল। পহেলা বৈশাখ আমাদের সবচেয়ে বড় জাতীয় উৎসব। এ দিনে ধর্মসম্প্রদায়নির্বিশেষে এদেশের জনগোষ্ঠী মেতে ওঠে আনন্দে। একমাত্র এই একটি উৎসবে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পাহাড়ি, সমতলবাসী, বাঙালি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির মানুষরা মিলতে পারে এক রঙে। এমন একটি পবিত্র দিনে যে কুৎসিত ঘটনাগুলো ঘটল তা কলংকজনক। একদল নরপিশাচ ভিড়ের সুযোগ নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে নারীদের নিপীড়ন করার পৈশাচিক উল্লাসে মেতেছিল। কিভাবে বলেন আবারো আমরা বৈশাখ পালন করি আর ইসলামে কোথাও বলা হয়নি আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে দিন অতিবাহিত করতে। এই দিনে সরকারি কোষাগার থেকে উৎসবে খরচ হয় কোটি কোটি টাকা। তাহলে চিন্তা করুন কি পরিমাণ অর্থনৈতিক লস হচ্ছে আমাদের। এই পরিস্থিতির উপর দাঁড়িয়ে কি বলবেন বৈশাখ পালন করা কি ঠিক? প্রশ্ন রইল?

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ